আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
২০১৬ সালের ১১ মে মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়নকারী গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

তবে এবার করোনা আবহের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।

একাত্তরে ত্রিশ লাখ শহিদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তারা শহীদ হন এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার সহধর্মিণী বাসন্তী গুহঠাকুরতার মতে, নীলনকশার রেখা অঙ্কন শুরু হয়েছিল একাত্তরের পয়লা মার্চের আগেই সত্তরের ১৭ ডিসেম্বর গণভোট বা তারও অনেক আগে উনসত্তরের গণআন্দোলনের সময় থেকেই, কিংবা বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের পরে। একাত্তরে তারা প্ল্যান করে যুদ্ধে নামে। যুদ্ধ তো নয়, কেবল নিরস্ত্র মানুষ নিধন। প্রথমে ওদের এলোপাতাড়ি মারা, তারপর শহরে, গ্রামেগঞ্জে বেছে বেছে ধনী, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী নিধন করে নদীতে খালে ফেলে দেওয়া।

অনেকে মনে করেন, চরম বিপর্যয় আসন্ন, পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে- তখনই তারা সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে। তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে। তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে এভাবেই অন্ধকার করার পাঁয়তারা করেছিল।

অপারেশন সার্চ লাইটের নামে একাত্তরের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনে নামে তখনই দেশে এবং দেশের বাইরে একটি উদ্বেগের বিষয় ছিল জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বুদ্ধিজীবীদের এভাবে হত্যা করা হতে পারে। কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের উদ্বেগের একটি খণ্ডচিত্র আঁকা আছে জন্মসূত্রে বরিশালের সন্তান ও কর্মসূত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শঙ্খ ঘোষের একটি বিখ্যাত গদ্যরচনায়।

এটি আদতে ১৫ মিনিটের একটি ভাষণ, যুদ্ধপরিস্থিতি প্রবল হয়ে ওঠার পর পরই আকাশবাণী কলকাতা থেকে সম্প্রচারিত। পরে চতুঙ্গ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

শঙ্খ ঘোষ লিখেন, জসীমউদদীন থেকে শুরু করে শামসুর রাহমান পর্যন্ত কবিরা এখন কোথায়, এই মুহূর্তে? ইয়াহিয়ার সৈন্যরা নাকি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইত্তেফাকের অফিস, ধ্বংস করেছে তার সাংবাদিক কর্মীদের? তা হলে আল মাহমুদ? কোথায়? কোথায় এখন তিনি? বোমায় বিধ্বস্ত রংপুর। কায়সুল হক? ঢাকার জসীমউদদীন রোডেও কি ঢুকেছিল ইয়াহিয়ার ট্যাঙ্ক? বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আজ পনেরো দিনের পুরোনো হলো, এর মধ্যে আমরা জেনেছি কীভাবে সামরিক অত্যাচার প্রথমেই ছুটে যাচ্ছে যেকোনো বুদ্ধিজীবীর দিকে। ইয়াহিয়ার দল ঠিকই বুঝতে পারে যে এইখান থেকেই জেগে উঠেছে অবিশ্বাস্য এই মুক্তিবাসনার প্রথম আগুন।

একাত্তরের সেই যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত অনেকের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়েছে। মানবতাবিরোধী হত্যা মামলায় দণ্ডিত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে। জামায়াতের অপর নেতা মো. কামারুজ্জামান এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার অন্যতম হোতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।

২০১৬ সালের ১১ মে মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা বাস্তবায়নকারী গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়। তবে বুদ্ধিজীবী হত্যায় সরাসরি জড়িত চৌধুরী মইনুউদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান পলাতক থাকায় তাদের বিচার এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

চৌধুরী মইনুদ্দীন যুক্তরাজ্য এবং আশরাফুজ্জামান খান যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছে। তাদের ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী আরো অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন,অ ধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড.আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিন প্রমুখ।


আরও খবর



ফেব্রুয়ারিতে ৪৪৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪৯ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হওয়ার কথা জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ফেব্রুয়ারিতে এত তৈরি পোশাক রপ্তানি হলো। তথ্যে জানা গেছে, আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এটি ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

এর আগে, জানুয়ারিতে পোশাক রপ্তানি ৪৯৭ কোটি ডলার হওয়ায় তা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৯৪৭ কোটি ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাবে জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে তিন হাজার ২৮৬ কোটি ডলার। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চার দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, 'এটি অবশ্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ২০২৪ সাল আমাদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ এনে দিয়েছে।'


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




তুরস্কের উপকূলে অভিবাসী নৌকা ডুবি, ৭ শিশুসহ নিহত ২২

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের এজিয়ান সাগরের গোকসিয়াদা দ্বীপের কাছে নৌকা ডুবিতে ৭ শিশুসহ ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানায়, তুরস্কের কোস্টগার্ড ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে ৭ জন শিশু রয়েছে। নিহত ২২ জন কোন দেশের নাগরিক তা প্রকাশ করা হয়নি। খবর আল জাজিরা

গর্ভনর ইলহামি আকতাস তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, তুর্কি কোস্টগার্ড কানাতালে প্রদেশের ইসেবাত শহরের উপকূল থেকে দুজনকে উদ্ধার করেছে এবং দুজন নিজ থেকে উপকূলে আসতে পেরেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। গোকসিয়াদার কাছে কাবাটেপেতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমান রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে, উদ্ধার কাজে একটি প্লেন, দুটি হেলিকপ্টার, একটি ড্রোন, ১৮টি নৌকা এবং ৫০২ জন উদ্ধারকর্মী অংশ নিয়েছেন।

তুরস্কের কোস্টগার্ড বলছে, সপ্তাহের শুরু থেকে তারা অবৈধভাবে গ্রীসে যাওয়ার পথে শতাধিক মানুষকে বাঁধা দিয়েছে। যার মধ্যে শিশুরাও ছিল।

অবৈধ অভিবাসী বোঝাই নৌকা ঠেলে দেওয়ায় এথেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তুরস্ক।

গত বছরের ডিসেম্বরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ান এথেন্সে ভ্রমণ করেন। এ ভ্রমণে গ্রীসের সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে দুই দেশ সমস্যা নিরসনে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অনেক অভিবাসী তুরস্কে থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এজন্য তারা গ্রীসকে বেছে নিচ্ছে। তবে সমুদ্র পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ১০ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি কর্মচারী এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে দুই দিনের ছুটি নিলেই তার টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাতে অনেকেই ২ দিনের ছুটির আবেদনও প্রস্তুত করছেন। সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরকারি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুসারে ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। সে ক্ষেত্রে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনের ছুটি নিলেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ রয়েছে। কারণ ১০, ১১ এবং ১২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। অর্থাৎ, মাত্র দুই দিনের ছুটি নিলেই একসঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন কর্মচারীরা।

আবার যদি রোজা ২৯টি হয় তাহলে ৯, ১০ এবং ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি থাকবে। সেক্ষেত্রে ৮ এপ্রিল মাত্র ১ দিনের ছুটি নিলেই টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ ১২ এবং ১৩ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার নির্বাহী আদেশে ছুটির ফাইল উঠার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। কারণ সরকারি ছুটির পরিমাণ অনেক বেশি।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দুই দিনের আগাম ছুটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন জমা দেবেন। অনেকে আবার ঈদের ছুটিতে বিদেশ সফর করবেন। তবে সেক্ষেত্রে অধিকাংশ উচ্চপর্যায়ের কর্মচারী চিকিৎসা সেবা নিতে বিদেশ সফরের আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় জমি ব্যবসায়ী সাধন মিয়া হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দুই জনকে একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতে বিচারক আক্তারুজ্জামান ভূইয়া এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালের ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানার আলোচিত জমি ব্যবসায়ী সাধন হত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৬ জুন রাতে সোনারগাঁওয়ের সাধনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে সাধনের পরিবারের পক্ষ থেকে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।


আরও খবর



চট্টগ্রামে উদ্বোধন হল নান্দনিক 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ' স্মৃতি স্মারক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নগরীর বহদ্দারহাট চত্বরে নান্দনিক 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ' স্মৃতি স্মারক উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়েছে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে এই স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছি। এই স্মৃতিফলক তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিবে স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ভূমিকার কথা।

কাঁচ দিয়ে নির্মাণ করা স্মৃতিস্মারকটি পিরামিড আকৃতির। কাচের ফ্রেমের ভেতর রয়েছে মাইক্রোফোন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের সময় যে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছে এটি তার প্রতীক। পিরামিডটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ কোটি বাঙালির ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক।

উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, হেলাল আহমেদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন জয়, জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কাবেদুর রহমান কচি, আশরাফুল গনি, সাইফুল ইসলাম লিটন, নেছার আহমেদ, পলাশ খাস্তগীর, শওকত হোসেন, ভাস্কর মান্না পাল, সুকান্ত প্রয়াস, স্থপতি আজমুল হক।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর