আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আজ কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আজ ৩ ডিসেম্বর। ৭১ এর এই দিনে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া হানাদার মুক্ত হয়েছিল। এদিন জনমনে বয়ে গিয়েছিল আনন্দের বন্যা। অনেক দুঃখ বেদনার পরও সেদিন এলাকার মানুষের মধ্যে ছিল আনন্দের জোয়ার। কেননা সে দিন কোটালীপাড়ার মানুষ মুক্তির স্বাদ পেয়ে দলে দলে রাস্তায় নেমে ছিল। এদিন কোটালীপাড়া হানাদার মুক্ত হয়েছিল।

ওই দিন হেমায়েত বাহিনী কাকডাঙ্গা রাজাকার ক্যাম্পে হামলা করে ক্যাম্পের পতন ঘটান। রাজাকার ক্যাম্পের সদস্যরা হেমায়েত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। রাজাকার ক্যাম্পের পতনের মধ্য দিয়ে ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াই প্রথম হানাদার মুক্ত হয়।

এ অঞ্চলে পাকবাহিনী ও তাদের দোসর ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। কোটালীপাড়ার সন্তান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সৈনিক হেমায়েতউদ্দিন যুদ্ধ শুরু হলে দেশে পালিয়ে আসেন। গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী। সাড়ে ৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন হেমায়েত বাহিনী। কোটালীপড়ায় তিনি একটি ট্রেনিং ক্যাম্পও গড়ে তোলেন। যেখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও যুদ্ধের ট্রেনিং দেয়া হতো। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে হেমায়েত বাহিনী হরিনাহাটি, মাটিভাঙ্গা, বাশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া, রামশীল, জহরের কান্দি, কোটালীপাড়া সদর প্রভৃতি স্থানে যুদ্ধ করে শত্রুদের পরাস্ত করে। আর এ সব যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন হেমায়েত বাহিনী প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম।

মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শুধু যৌথবাহিনীই দেশ মাতৃকার মুক্তিযুদ্ধ করেনি। পাক হানাদার বাহিনীকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করতে তৎকালীন সময়ে এদেশে কয়েকটি অঞ্চলে গঠিত হয়েছিল কয়েকটি বাহিনী। ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চল  নিয়ে গঠিত হয়েছিল হেমায়েত বাহিনী। আমরা এই হেমায়েত বাহিনীর অধিনে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ৭২টি গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত এই হেমায়েত বাহিনী যুদ্ধ করেছিল মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ হাজার। তার মধ্য থেকে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে ২৪জন আহত ও ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- কোটালীপাড়া উপজেলার গোলাম আলী, বেলায়েত, আবুতালেব, আবুল খায়ের, মোক্তার হোসেন, রতন কুমার, মোয়াজ্জেম হোসেন, টুঙ্গীপাড়া উপজেলার বেলায়েত হোসেন, মুকসুদপুর উপজেলার আবুল বাশার, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ছাত্তার মৃধা, সেকেন্দার, নুরু বেপারী, পরিমল শীল, আগৈলঝাড়া উপজেলার তৈয়াবালী, নলছিটি উপজেলার ওসমান, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার মকবুল হোসেন, আ. ছাত্তার এবং ঢাকার ইব্রাহিম।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হেমায়েত বাহিনীর সদস্যরা ১৩৪টি অপারেশন পরিচালনা করেন। এর মধ্যে রামশীলের যুদ্ধ অন্যতম। এই যুদ্ধটি অত্র অঞ্চলে ঐতিহাসিক রামশীলের যুদ্ধ বলে পরিচিত। হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন ঐতিহাসিক রামশীলের যুদ্ধে মারত্মক আহত হন। মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের কারণে দেশ স্বাধীন হবার পর হেমায়েত উদ্দিনকে বীর বিক্রম খেতাবে ভুষিত করা হয়।


আরও খবর



সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে। এজন্য তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বুয়েটে পরীক্ষা বর্জন

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩১ মার্চ) ২০তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় একজন ব্যতীত সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুয়েটের ২০তম ব্যাচের এক হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৪ জনই টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেননি। এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কতোটা সুদৃঢ় তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এর আগে, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে রোববার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বুয়েটে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নানানভাবে শিক্ষার্থীদের দাওয়াত দিচ্ছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির দেশবিরোধী মিটিং করছে। তাই বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক। এই নাটক বন্ধ করে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে।

সমাবেশে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানায় ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।

সমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর তারা বুয়েট ত্যাগ করেন।


আরও খবর



হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগিতা করেছে সৌদি!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে সৌদি আরব। সৌদিতে ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ।

সৌদি রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সৌদি আরব নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের পাশাপাশি ইসরায়েল,যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোটকে সহযোগিতা করেছে।

এই সহযোগিতার কারণ হিসেবে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাত থেকে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালিত করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ। সৌদি আরব কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। সেই সঙ্গে যেসব দেশ যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাদেরকেও সমর্থন করে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রহিমিও ছিলেন।

হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল তা পরিষ্কার। গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

তারপর শনিবার রাত ও রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে।


আরও খবর



নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই: কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। রাজনীতির বিরোধীতার জন্যই অনেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলছে- শপিং করতে গিয়ে কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি। তারপরও রাজনীতির বিরোধিতার জন্য কথা বলে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে। কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সব নেতা একে একে জেল থেকে বের হয়েছে। তারপরও বলে তাদের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনের শিকার। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কে বলেছি, নির্যাতিত ৮০ ভাগ নেতাকর্মীর তালিকাটা প্রকাশ করেন। কেউ অপরাধ করলে, আগুন সন্ত্রাসের মামলা, মানুষ খুনের মামলার আসামি যারা জেলে রয়েছে তাদের জন্য বিএনপির এত মায়া কান্না কেন?

দ্রব্যমূল্য নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাজারে তেলের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে, গরিবের জন্য মায়া কান্না করে। তাদের আমলে জিয়াউর রহমানের সময়ে অভাবের তাড়নায় রংপুর কোর্টে গিয়ে পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিল অনেক নারী। সে ইতিহাস কি ভুলে যান!

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশে যারা ঢাকা সিটিতে, এত ভিক্ষুক কেন এমন প্রশ্ন করেন তাদের লজ্জা করে না তারা একজন গরিব মানুষকেও এই কষ্টের দিনে রোজার মাসে কোন প্রকার সাহায্য করেনি। ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেনি। বড়লোকদের নিয়ে বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টি করেছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্দেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে দান খয়রাতের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত না খেয়ে মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে আছে এমন কেউ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির উদ্ভট কথায় আওয়ামী লীগ কান দেবে না। বিপদে অসহায় মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের রাজনীতি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। পরে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



২১ নাবিক ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহ নিয়ে, দুজন বিমানে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহতে চড়েই দেশে ফিরবেন জাহাজটির ২১ নাবিক। বাকি দুই নাবিক ফিরবেন বিমানযোগে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী বিমানযোগে অথবা জাহাজে দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছিল। এরপর নাবিকেরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের পথে আছে। ওই বন্দরে ২২ এপ্রিল জাহাজটি পৌঁছার কথা রয়েছে। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপরই দেশের পথে রওনা হবেন নাবিকেরা।

কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছিলাম। ২১ নাবিক জাহাজে ও বাকি ২ জন বিমানে বাংলাদেশে আসবেন। তবে চাইলে সবাই উড়োজাহাজে আসতে পারবেন, যদি তারা আসতে চান। তবে ২১ নাবিক জানিয়েছেন তারা এমভি আবদুল্লাহকে নিয়েই বাংলাদেশে ফিরবেন।’

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিওবা তখন সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল জাহাজটি। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মির ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার (১৩ এপ্রিল) জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।


আরও খবর