ঘরের মাঠে প্রায় ৬ বছর পর সিরিজ হার। এবার
৯ বছর পর হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কায় টাইগারদের সামনে। সেই লজ্জা এড়ানোর মিশন নিয়েই চট্টগ্রামের
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আজ সোমবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ইংলিশদের বিপক্ষে মাঠে
নামছে তামিমের দল।
দেশের মাটিতে সবশেষ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের সবকটি ওয়ানডে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ১৬ সিরিজের তিনটিতে
হারলেও কোনোবার হোয়াইটওয়াশ হয়নি তামিম-সাকিবরা। এই ধারা অক্ষত রাখতে সোমবার জয়ের কোনো
বিকল্প নেই।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থেকেও জিতেছিল বাংলাদেশ। জিতেছিল লড়াকু ও আত্মবিশ্বাসী
ক্রিকেট খেলে। একযুগ আগে বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে ২২৬ রানের টার্গেটে ১৬৯ রান তুলতে ৮
উইকেট খুইয়ে বসেছিল সাকিব বাহিনী। দলের হার নিশ্চিত জেনে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন
দর্শক।
এরপর মাহমুদউল্লাহ ও শফিউল ইসলাম ইংলিশদের
সব বাধা বিপত্তি ডিঙিয়ে নবম জুটিতে ৫৮ রান যোগ করে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছিলেন দেশকে।
সেদিনের ইংলিশ বধের ম্যাচটি তামিম বাহিনীকে আত্মবিশ্বাস জোগাতেই পারে। বাংলাদেশ চাইছে
জয়। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে মাঠে নিজেদের উজার করে দিতে হবে শতভাগ।
দলের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথও গতকাল বলেন,
‘পরাজিত দলে থাকাটা
সহজ কিছু নয়। তবে এটা খেলারই অংশ। আমাদের শক্তিশালী হয়ে ফিরতে হবে। আমরা এই চ্যালেঞ্জটা
নিতে শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে
সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর একে একে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ
আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ভারতকে।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আজকের আগে
যে ২৬ ম্যাচ খেলা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের জয় ১৫ এবং হার ৯। পরিত্যক্ত ২। ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে ৩ ম্যাচের দুটিতে হার এবং জয় একটি। ২০১০ সালে প্রথম মুখোমুখিতে টাইগাররা হেরেছিল
৪৫ রানে। পরের বছর বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জিতেছিল ২ উইকেটে এবং ২০১৬ সালে সর্বশেষ লড়াইয়ে
ইংল্যান্ড জিতেছিল ৪ উইকেটে।
ওয়ানডে সিরিজের পর ৯ মার্চ শুরু টি-২০
সিরিজ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি চট্টগ্রামে ৯ মার্চ এবং শেষ দুটি ১২ ও ১৪ মার্চ মিরপুরে।
এই সিরিজ শেষ করার পরপরই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ও ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-২০
খেলবে টাইগাররা।