আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত রোগী ছোট বয়স থেকেই রক্তস্বল্পতায় ভোগে। থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দুই প্রকার হয়ে থাকে, আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া। আলফা থ্যালাসেমিয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে আলফা তীব্র হয় না। অনেক সময় উপসর্গও বোঝা যায় না, রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করে। তবে বিটা থ্যালাসেমিয়া হলে রক্তের স্বল্পতা দেখা দেয়, ক্লানি্ত, অবসাদ, শ্বাসকষ্ট ও ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়। দেশে এ ধরনের আক্রানত সবচেয়ে বেশি।

রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সারাবিশ্বের মত সোমবার (৮ মে) দেশে পালিত হবে বিশ্ব থেলাসেমিয়া দিবস-২০২৩। আন্তর্জাতিক থেলাসেমিয়া ফেডারেশন এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- বি অ্যাওয়ার, শেয়ার কেয়ার থ্যালাসেমিয়া: স্ট্রেংদেনিং এডুকেশন টু ব্রিজ দ্য থেলাসেমিয়া কেয়ার গ্যাপ। যার মানে দাঁড়ায় থেলাসেমিয়া সম্পর্কে নিজে জানি, যত্নবান হই, সেবার গ্যাপ পূরণে জ্ঞান অর্জন করি।

চিকিৎসকদের মতে, এ রোগের ফলে আক্রান্তের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি হয় না, যার ফলে অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়। বাবা-মা উভয়ই ত্রুটিযুক্ত জীন বহন করলে সে ক্ষেত্রে প্রতি গর্ভাবস্থায় সন্তানের ২৫ শতাংশ থেলাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ২৫ শতাংশ সুস্থ্য এবং ৫০ শতাংশ বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের পেছনে বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া বাহক হওয়ার কারণ রয়েছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ বিয়ের আগে অবশ্যই থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করানো উচিত। যাতে বাবা-মা বাহক হলেও ৭৫ শতাংশ রোগী ও বাহক কমিয়ে আনা সম্ভব।

দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল এবং ক্ষেত্র বিশেষতা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়েতোলার বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়া বিস্তাররোধে বাহকদের মধ্যে এবং আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

পৃথক আরেক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এ রোগের জীন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় বিবাহের পূর্বে এই রোগের জীন বাহক কি না তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।


আরও খবর



২১০০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে, গবেষণায় সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে বা সঙ্কুচিত হবে। এমন তথ্য সামনে এনেই সতর্ক করা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জন্মহার এতোটাই কমে যাবে যে দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে বলে বড় এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে গত সোমবার এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৯৮টি দেশের জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হবে। আর সেসময বেশিরভাগ শিশু জন্মের ঘটনা দরিদ্র দেশগুলোতেই দেখা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে বিশ্বে জন্ম নেওয়া প্রতি দুই শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম হবে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে। আর সেসময় কেবল সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাদ, সামোয়া এবং তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যা (বৃদ্ধির ধারা) বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

আইএইচএমই-এর সহ-প্রধান লেখক এবং প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী নাটালিয়া ভি ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রাপ্ত ফলাফলের অর্থগুলো অপরিসীম। জন্মহার এবং জীবিত জন্মের এই ভবিষ্যৎ প্রবণতাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করবে এবং সমাজগুলোকেও পুনর্গঠন করতে হবে।’

গবেষণার লেখকরা বলেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন সেসময় দেশগুলোকে বেবি বুম’ এবং বেবি বাস্ট’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে, যেখানে ধনী দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে এবং দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে সহায়তা করা যায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লড়াই করবে।

গবেষণার সহ-প্রধান লেখক এবং আইএইচএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক অস্টিন ই শুমাখার বলেছেন, সর্বোচ্চ জন্মহারের কারণে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করা।’

তিনি আরও বলেন, জন্মের সংখ্যার এই বিশাল পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় এবং চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস অব্যাহত রাখা, পরিবার পরিকল্পনা এবং মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি প্রতিটি সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, নানা সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্য এবং ১৯৫০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরি অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডির অংশ হিসাবে গবেষণাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েক দশক-ব্যাপী হওয়া এই গবেষণায় বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন।


আরও খবর



পাকিস্তানে হঠাৎ তুষার ও ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৩৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও অপ্রত্যাশিত তুষারপাতে কমপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু রয়েছে। তাদের অনেকেই ভূমিধসের ফলে বাড়িঘর চাপা পড়ে মারা গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে মার্চ মাসে সাধারণত হালকা আবহাওয়া থাকে। এবার হয়েছে ঠিক তার উল্টো। অসময়ে তুষারপাত দেখে বেশ অবাক হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকৃতির এমন অস্বাভাবিক আচরণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মোশতাক আলি শাহ।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কির্ক জেলার বাসিন্দা হাজিত শাহ বলেছেন, তিনি নিজের জীবনে আগে একবার মাত্র এই ধরনের তুষারপাত দেখেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, যতদূর মনে পড়ে প্রায় ২৫ বা ৩০ বছর আগে কয়েক মিনিটের হালকা তুষারপাত হয়েছিল।

অন্যদিকে ভারী বর্ষণে অন্তত ১৫০টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও ৫০০ বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশের। অনেক জেলায় গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই।

খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণসহায়তা সরবরাহ করেছে। আহত ও যারা মারা গেছে তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর সাপ্তাহিক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের বাকি দিন দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে প্রধানত ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। তবে বেলুচিস্তান ও কাশ্মীরের কিছু অংশে তুষারপাত হতে পারে।


আরও খবর



২৭ বছর ধরে ফাঁকা বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৭ বছর ধরে ফাঁকা পড়ে আছে বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন। বিরোধীদলীয় নেতাদের কেউ বাড়ি বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি, কেউ বা আবার বরাদ্দ চেয়েও পাননি। বাড়িটি পরিত্যক্ত পড়ে থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। যে কেউ যখন তখন প্রবেশ করতে পারেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে আড়াই একর জমির ওপর বাড়িটির পেছনের অংশে বেশ কয়েকটি আধাপাকা টিনশেড ঘর। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন পানির লাইনের মিস্ত্রী।

এ ছাড়াও সেখানে বসবাস করছেন কয়েকটি সরকারি দপ্তরের মালি, গাড়িচালক ও পাহারাদারদের পরিবার। আরও দুটি টিনশেড ঘরে ১০-১২ জন ব্যাচেলর থাকেন।

মূল ভবনটি বসবাস অনুপেযাগী। দরজা-জানালা ভাঙা। বেশিরভাগ আসবাবপত্র নষ্ট। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বাড়িটি দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি দেশের বিরোধী দলের নেতার সরকারি বাসভবন।

১৯৯১ সালে প্রথম বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বাড়িটিতে ওঠেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে ২০০১ সালে বরাদ্দ পেয়েও তিনি ওঠেননি। আর ১৯৯৬ সালে বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি খালেদা জিয়া।

তবে ২০১৪ সালে রওশন এরশাদ বাড়িটি বরাদ্দ চেয়েও পাননি। ২০১৮ সালে  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি। সবশেষ জিএম কাদের বরাদ্দ পেলেও বাড়িটিতে ওঠা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, অব্যবহৃত একটা বাড়ি আছে। আমরা গেলে হয়ত সেটা ব্যবহার করব। দেশের স্বার্থে যদি কিছু হয় আমরা সেটার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব ওখান থেকে অফিস মেইনটেইন করার। আবাসিক ছাড়াও ওই বাড়িতে কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে। ওই বাড়িতে আমাদের কাজের কিছু সুবিধা হবে বলে মনে করছি।

তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, বাড়িটি সংস্কার করতে ঠিকাদার খোঁজা হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হাসান বলেন, বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাড়িটির সংস্কার কাজের জন্য ঠিকাদার দেখা হচ্ছে। কাজ শেষ হতে তিন থেকে চার মাস লাগতে পারে।

বাড়িটিকে ২০০৯ হেরিটেজ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। যে কারণে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাড়িটি ভেঙ্গে নতুন করে বানানো যাচ্ছে না।


আরও খবর



প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার তারিখ জানাল মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত  ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (পার্বত্য জেলা বাদে) ২১ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ছয় হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

এ পরীক্ষায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪১৪টি। মৌখিক পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৫ থেকে ২০ মে, চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি জানান, এই দুটি বিভাগে অন্যান্য বিভাগের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেশি। তাই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি সম্বলিত ট্রাংক ঢাকা হতে গ্রহণ, জেলার ট্রেজারিতে সংরক্ষণ এবং উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠানোসহ জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোনো জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকলে বিভাগীয় কমিশনাররা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল ক্ষমতা সম্পন্ন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছে।

তিনি জানান, পরীক্ষার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল, বোর্ড ও পাসের সাল দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন শুরু হয়েছিল ২৪ জুন, আবেদনের শেষ সময় ৮ জুলাই।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



সোনার নিলামেও সিন্ডিকেটের থাবা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

স্থায়ী খাতের প্রায় ২৫ কেজি সোনা বিক্রি করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিলাম ডেকেও কাঙ্ক্ষিত দাম মেলেনি। এই সোনা বিক্রি করতে গত বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় নিলাম ডাকা হয়। সন্তোষজনক দাম না পাওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের এক সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সর্বশেষ নিলামের সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে দাম আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠানটি রাজি না হলে পুনরায় নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়া সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে জমা করা হয়। এর পর মামলা নিষ্পত্তি হলে তা স্থায়ী খাতে নেওয়া হয়। স্থায়ী খাতে নেওয়া স্বর্ণ আন্তর্জাতিক মানের হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করে। আর আন্তর্জাতিক মানের না হলে সেটি নিলাম করে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

২৫ কেজি সোনা বিক্রির সবশেষ নিলামে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ভেনাস জুয়েলার্সসহ মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি হারের কাছাকাছি দাম প্রস্তাব করেনি। অর্থাৎ বৈধ সোনাও কাক্সিক্ষত দামে কিনতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। সূত্রগুলো বলছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেটের কারণে নিলামে প্রত্যাশিত দামের দেখা পাচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিক্রিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।

তবে ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেট থাকার কথা জানা নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) নির্বাহী সদস্য ও মুখপাত্র ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ব্যাংক বেশি দামে বিক্রি করতে চাইবে, আর ক্রেতা যতটা কমে সম্ভব কিনতে চাইবে। ফলে আমরা নিজেদের প্রফিটের দিক খেয়াল করেই সেটা কিনব।

নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়ত সোনার দাম ওঠানামা করছে। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না গেলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা বিক্রির নির্ধারিত একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ায় একটা প্রজেকশন প্রাইস থাকে। সেই প্রাইস যদি আমরা না পাই, তাহলে সেক্ষেত্রে রি-অকশন করা হয়। এ ধরনের অকশন আগেও একবার হয়েছিল।

জানা গেছে, স্থায়ী খাতে নেওয়া সোনার প্রায় ২ হাজার ৪২৯ কেজি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম। সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে স্থায়ী খাতের আরও ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের নভেম্বরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিলেও অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে। যে কারণে সে সময় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের মে মাসে। এর পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত অক্টোবরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠাগুলোর প্রস্তাবিত দর গত মাসে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যে দামের প্রস্তাব করেছে, তাতে ২৫ কেজি সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজেকশন রেটের চেয়ে কম হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিলাম কমিটি। এর পর বিষয়টি নিয়ে গত মাসে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হলেও বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রদত্ত রেটের (বাজার রেট) চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম ধরে সোনা বিক্রির প্রজেকশন রেট ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি নিলামে ওই রেটের সমান বা বেশি পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত কমিটি সোনা বিক্রি করে দেয়।

চলতি বছরও বাংলাদেশে সোনার দামে আরও রেকর্ড হয়েছে। বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে বর্তমানে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা।


আরও খবর