বিশ্ব তামাকমুক্ত
দিবস আজ। তামাক চাষ, তামাকজাত পণ্য উৎপাদন, ব্যবহার ও তামাকের বর্জ্য পরিবেশের জন্য
কতটা ক্ষতিকর এ বিষয়ে জনগণ ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতি বছর ৩১
মে পালন করা হয় দিবসটি। বাংলাদেশ সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত ঘোষণা করার
রোডম্যাপ হাতে নিয়েছে।
এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘টোব্যাকো: থ্রেট
টু আওয়ার এনভায়রনমেন্ট’ (তামাক: পরিবেশের
জন্য হুমকি)। এছাড়াও বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হতে যাচ্ছে ‘তামাকমুক্ত পরিবেশ,
সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য
নিয়ে।
এক জরিপে দেখা
যায়, বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে। দেশে তামাকজনিত
রোগে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
তামাক কোম্পানি
বছরে ৮৪ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমণ, ৬ ট্রিলিয়ন সংখ্যক সিগারেট শলাকা উৎপাদনের
জন্য ২২ বিলিয়ন টন পরিমাণ পানি অপচয় করে।
এছাড়াও ৬০ কোটি
বৃক্ষ নিধনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট ও ইকোসিস্টেমে ব্যাপক
ক্ষতিসাধন করছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো জনসচেতনতা
মূলক নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ
ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এ দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করছে।