আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আজ বিশ্ব মাসিক সচেতনতা দিবস

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৮ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ ২৮ মে, বিশ্ব মাসিক সচেতনতা দিবস। ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। যেহেতু নারীদের রজঃচক্র গড়ে ২৮ দিন পর পর হয়, তাই সে প্রতীক হিসেবে দিবসটি পালনে ২৮ তারিখকেই বেছে নেয়া হয়েছে। বার্ষিক এ দিবসটি মূলত মাসিক চলাকালে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পালিত হয়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় মাসিক চলাকালে পরিচ্ছন্ন থাকতে যেসব সামগ্রী প্রয়োজন হয়, দামের কারণে সেগুলোর প্রাপ্যতা সীমিত থাকে। আবার সামাজিক নানা রীতিনীতির কারণে সবসময় তারা সেগুলো ব্যবহারও করতে পারে না।

গবেষণা বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় মাসিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ব্যবহূত পণ্যগুলো সহজলভ্য না হওয়ায় প্রতি মাসে অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়। পানি ও যথাযথ শৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় ঘরের বাইরে বের হওয়া যেকোনো নারীর জন্য সমস্যাজনক। এসবের পাশাপাশি মাসিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা এবং যথাযথ শিক্ষারও অভাব রয়েছে। মাসিক সচেতনতা দিবসে মাসিকের সময় পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে প্রকাশ্যে আলোচনা হয়। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।

মূলত ২০১২ সাল থেকে মাসিক নিয়ে আলোচনার বিষয়ে নীরবতা ভাঙতে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন সামাজিক ও নারী অধিকারবিষয়ক সংগঠন। তবে বাংলাদেশের মতো দেশে এখনো নারীর জীবনের নিয়মিত এ বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয় না। এমনকি প্রকাশ্যে দোকান থেকে মাসিকের সময় ব্যবহূত স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতেও স্বস্তিবোধ করেন না বেশির ভাগ নারী।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এ বিড়ম্বনায় সবচেয়ে বেশি পড়তে হয়। ক্লাস চলাকালে হুট করে মাসিক শুরু হলে নিজের কাছে যদি স্যানিটারি ন্যাপকিন না থাকে তাহলে বিপদে পড়ে যায় তারা। কেবল স্কুল-কলেজই নয়, ঘরের বাইরে বের হতে হয়—এমনসব নারীর জন্যই পিরিয়ড স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার মূল বাধা ন্যাপকিনের সহজলভ্যতা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মক্ষেত্রে যেখানে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতে হয় সেখানে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সহজলভ্যতা না থাকার কারণে তাদের অধিকাংশ নারীই দীর্ঘ সময় ন্যাপকিন ব্যবহারজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। এছাড়া দেশের অধিকাংশ নারীর মধ্যে আছে পিরিয়ডের সময় কাপড় ব্যবহারের মতো অস্বাস্থ্যকর বিষয় নিয়ে সচেতনতার অভাব।

নারীদের এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্র্যান্ড ফ্রিডমের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে ভেন্ডিং মেশিন। যা কয়েক বছর ধরে নারীদের পিরিয়ড স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়াতে অগ্রগামী ভূমিকা রাখছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে স্থাপন করা হয় দেশের প্রথম স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন। প্রাথমিকভাবে ১০টি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্কালীন ১৫ হাজার নারী শিক্ষার্থীর জন্য সাশ্রয়ী দামে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা হয়।

এর পর থেকে বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে শতাধিক প্রতিষ্ঠানে ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে ৩৫ লাখেরও বেশি নারী পাচ্ছেন যেকোনো সময়ে সাশ্রয়ী দামে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সুবিধা। মাত্র ১০ টাকায় এখন যেকোনো সময়ে মেয়েরা ভেন্ডিং মেশিন থেকে ন্যাপকিন কিনতে পারেন। মেশিনে একটি ১০ টাকার নোট প্রবেশ করালে সহজেই বেরিয়ে আসে এক পিস ন্যাপকিন। ফ্রিডমের এ চমত্কার উদ্যোগ মেয়েদের জীবনে এনে দিয়েছে সাশ্রয়ী ন্যাপকিন ব্যবহারের সহজলভ্যতা।

ফ্রিডমের লক্ষ্য বাংলাদেশে নারীদের জীবনযাপনে, উদযাপনে, স্বপ্ন পূরণে অথবা ক্ষমতায়নে পিরিয়ড যেন কোনো বাধা না হয় সে প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করা। এ লক্ষ্য পূরণেই নারীদের জন্য যেকোনো সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা থেকেই ফ্রিডম ভেন্ডিং মেশিনের পথচলা শুরু। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে হাইজিন নেটওয়ার্ক তৈরি করে নারীদের মেন্সট্রুয়েশন হাইজিন নিশ্চিত করতে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্রিডম।


আরও খবর



যাদের কাজ নেই, তারাই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহী: ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত আছেন। গড়ে তুলেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলন নামের সামাজিক সংগঠন। গেল দুই বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, সমিতির আগামী নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না।

এবার জানালেন, যাদের কাজ নেই এবং যারা এই সমিতিরি সদস্য হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না, তাদেরই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহ। আর তাদের সংখ্যা ও দাপট দুটোই বেশি।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও অভিযোগ করেন, ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয় এবং সব পক্ষের কাছ থেকেই তারা টাকা নেন।

জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে অনেক সদস্যের জন্য নিজের মতো করে কাজ করতে পারেননি তিনি।

তার কথায়, শিল্পী সমিতিতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার আছেন, যাদের আমিও চিনি না, অন্য অনেকেও চেনেন না। অথচ তারা শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য। ভোট প্রদান করেন, নির্বাচনও করেন। আর এ কারণে সিনিয়র শিল্পী ও প্রকৃত শিল্পীরা সমিতিতে আসতে চান না। আসলে একবার যদি পূর্ণ সদস্য দিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাদ দেওয়াটা মুশকিল।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমার কথা হচ্ছে, তারা থাকুন। সহযোগী হয়েই থাকুক। ভোটাধিকার না থাকুক। শুধু ভোটাধিকার থাকার কারণে নির্বাচনের সময়ে এরা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয়। সব পক্ষের কাছ থেকে তারা টাকা নেন। আমি আসলে সংখ্যাটা উল্লেখ করতে পারব না। আমি দূরে থাকতে চাই। আমি যখন এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম, তখন অন্যরা আমাকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। আমিও এসব নিয়ে তাই আর মাথা ঘামাতে চাই না।’

যাদের কাজ নেই তারাই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহী এমনটা দাবি করে এই অভিনেতা বলেন, সহযোগী সদস্য যাদের হওয়ার কথা, তাদের আগ্রহটা বেশি। প্রচণ্ড রকম বেশি। এই সংগঠন তাদের প্রধান পরিচয়। প্রকৃত শিল্পীদের আগ্রহ সহযোগীদের চেয়ে অনেক কম। প্রকৃত শিল্পীদের তো সমিতির পরিচয় লাগে না। তাদের এমনিতেই সবাই চেনেন, এক নামে জানেন। সমিতি বরং প্রকৃত শিল্পীদের কারণে আলোকিত-আলোচিত হয়।’


আরও খবর



বাউফলে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে অনুমতি ছাড়া একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম নিয়ে খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারের দোকান থেকে স্থানীয় তিন শিশু ইমাম হোসেন (৭), আবদুল্লাহ (৯) ও ফাহিম (১০) আইসক্রিম খায়। এ সময় ব্যবসায়ী আনোয়ার দোকানে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে শিশুদের আইসক্রিম খেতে দেখে রেগে যান আনোয়ার হাওলাদার। পরে দোকান থেকে শিকল এনে ওই তিন শিশুকে বেঁধে রাখেন। সন্ধ্যার পর তিনি শিশুদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অভিভাবকরা খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ৩ শিশুকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মুহুর্তেই এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ওই ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেন। ভোররাতে বাউফল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করে।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিশুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে চসিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উচ্ছেদ অভিযানে কারণে এবারের রোজায় সড়কে যানজট কমবে বলে মনে করেন মেয়র।

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক বাজার মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে আমাদের দুটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং যানজট। কেবল আইন বা শাস্তির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পান সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেউ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করবে চসিক। আমরা বাজার মনিটরিং করব। প্রয়োজনে রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একারণে অসাধুদের সাবধান করছি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিলে আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যানজট কমাতে সাহায্য করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে যানজট বেড়ে যায়। তবে এবার নিউ মার্কেট ও আগ্রাবাদ মোড়ে আমরা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি তার কারণে যানজট কম হবে বলে মনে করি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখব। যারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে হুমকি দিচ্ছে এবং নানাভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব কোন হুমকিতে অভিযান বন্ধ হবেনা। উদ্ধারকৃত জায়গা প্রতিটি থানা মনিটরিং করলে জনগণকে মুক্ত ফুটপাত, রাস্তা দেয়ার আমার যে পরিকল্পনা তা বাস্তব রূপ নিবে।

সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, মেয়রের উদ্যোগে নগরীর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অবৈধ হকারমুক্ত হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তবে, দখলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম অবৈধ হকারমুক্ত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে৷ কারণ, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সরকারকে ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে৷ পক্ষান্তরে, অবৈধভাবে রাস্তা-ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করে তারা অপরাধীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে, যা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি৷ চসিক যেহেতু ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সেহেতু লাইসেন্সধারী প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আমরা অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করব৷ মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাত ও হাঁটার রাস্তা দখল না করার আহ্বান জানান৷

সভায় বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুমসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷ সভায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম,  চৈতী সর্ববিদ্যা,  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ,

চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক নিখিল রায়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই বড়। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এজন্য সরকারি উচ্চপদে নারীদের ‍সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।’

শুক্রবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না, এটা আমি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ, নারীকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী কোথাও মেয়েদের সুযোগ ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সেই সুযোগ করে দিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারাই সুনাম বয়ে আনছেন বাংলাদেশের।’

এসময় শেখ হাসিনা তার মায়ের বিচক্ষণতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমার বাবা রাজনীতি করতেন। তিনি বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। এ সময় তার কাজগুলো গোপানে আমার মা করতেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাও আমার মাকে ধরতে পারেনি। আমার মা নিজের পোশাক পরিবর্তন করে গোপনে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করতেন, পরামর্শ দিতেন- সে বিষয়টি ধরতে পারেনি। এতোটাই দক্ষ-বিচক্ষণ ছিলেন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওই সময়ের প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু কোথাও আমার মায়ের বিষয়টি নেই। তবে আগরতলা মামলা যখন দেয়া হয় তখন তারা মাকে টার্গেট করে, বুঝতে পারে। গ্রেফতার করার একটা শঙ্কা তৈরি হয়।’


আরও খবর



এক মাসে ১৫৯ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ করেছে বিজিবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৯ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান সামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিজিবির অভিযানে জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪ কেজি ৩৩৫ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি রূপা, ২ লাখ ৬২ হাজার ৬৮১টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪ হাজার ১৮৮টি ইমিটেশন গহনা, ২১ হাজার ৭টি শাড়ি, ১৯ হাজার ২২৬টি থ্রিপিস, ৬ হাজার ৫৩৪ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ৬১২ কেজি চা পাতা, ৪০ হাজার ৬৩৫ কেজি কয়লা, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৬টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি বাস, ৪টি পিকআপ, ৩৩টি সিএনজি-ইজিবাইক এবং ৯৪টি মোটরসাইকেল।

এ ছাড়া ৩টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ৫টি এসএমজি, ৪টি রিভলভার, ৯টি বিভিন্ন প্রকার গান, ১৯টি ম্যাগাজিন, ৪ কেজি গান পাউডার, ১৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং ১ হাজার ১১ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছে বিজিবি। পাশাপাশি ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫ কেজি ১০৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪০ দশমিক ৭৫১ কেজি হেরোইন, ১৩ হাজার ৩৪৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ৩০১ বোতল বিদেশি মদসহ আরও বেশকিছু নেশা দ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি।

একইসঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১২১ জন চোরাকারবারি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ১০ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪৩৫ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


আরও খবর