আজ বিশ্ব এইডস দিবস। রোগটি ভাইরাসজনিত হলেও এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ওষুধ অথবা কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি। অন্য দিকে একেবারেই নতুন রোগ হলেও এক বছরের মধ্যে করোনার টিকা চলেও আসে। এখন করোনা অতীতের বিষয়ে পরিণত হলেও ৪০ বছরের বেশি পুরনো রোগ এইডস এখনো মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত। এদের মধ্যে ৬৭ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম এইডস রোগীর মৃত্যু ঘটে ২০০০ সালে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ২৩২ জনের মৃত্যু হয় রোগটিতে। যারা এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত তাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় এসেছে। বিশ্বের ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে এ বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কত মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে এই সংখ্যা আজ ১ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
রোগটির বিরুদ্ধে কোনো টিকা আবিষ্কার না হলেও কিছু ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে যেগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে মানুষের শরীরে এইচআইভির জীবাণু বা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থাকে, ভাইরাসের সংখ্যা বাড়ে না। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থতার সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। বাংলাদেশে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে দেয়া হয়ে থাকে।
রোগটি শরীরে সুপ্ত অবস্থায় লক্ষণ প্রকাশ করা ছাড়া যত দিন থাকে সেই অবস্থাটাকে এইচআইভি বলা হয়। লক্ষণ প্রকাশ হয়ে পড়লে তখন এইচআইভি আক্রান্তকে এইডস আক্রান্ত বলা হয়ে থাকে।