আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আজ বাঙালি ও বাংলার উৎসবের দিন চৈত্র সংক্রান্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। একসময় বাংলায় প্রতিটি ঋতুরই সংক্রান্তির দিনটি উৎসবের আমেজে পালন করতো বাঙালি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সে উৎসব। তবে আজো বাঙালি আগলে রেখেছে সংক্রান্তির দুটি উৎসবকে। একটি চৈত্র সংক্রান্তি, অপরটি পৌষ সংক্রান্তি। 

কথিত আছে, বাংলা পঞ্জিকার চৈত্র মাসের নামকরণ করা হয়েছিল তিক্রা নক্ষত্র হতে। পুরাণে আছে, সাতাশটি নক্ষত্রের নামে দক্ষ রাজ সুন্দরী কন্যাদের নামকরণ করেছিলেন। তার দু'কন্যার নাম যথাক্রমে চিত্রা ও বিশাখা। এক মাস ব্যবধানে জন্ম বলে এই দুই কন্যার নাম থেকে জন্ম নিল বাংলা দুই মাস; যথাক্রমে চৈত্র ও বৈশাখ।

চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরু। বাঙালির সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব পালিত হয় এই দুই দিনে। তবে দুয়ের মধ্যে উৎসবের তালিকায় চৈত্র সংক্রান্তির পাল্লা ভারী। বাংলা বর্ষের সর্বাধিক উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চৈত্র সংক্রান্তির দিনটি। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে বাঙালি কিংবা বাংলার মানুষ এই দিনকে কেন্দ্র করে উৎসব পালন করে। কখনো ধর্মীয় বিশ্বাস, কখনো আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর লোক লোকায়িত উৎসবের ধ্বনি পাওয়া যায় এই একটি দিনকে ঘিরে।

এবছর চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল)। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে শুক্রবার সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর।

পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে কাল বাঙালি মিলিত হবে পয়লা বৈশাখের সার্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সব কিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




চারদিক অন্ধকার করে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার। বেলা গড়াতেই রীতিমতো সূর্যের রুদ্রমূর্তি। গরমে যখন নগরবাসীর হাপিত্যেশ অবস্থা, ঠিক তখনই শীতল পরশ নিয়ে এলো বৃষ্টি।

রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীতে বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে। রোজাদারদের জন্য কখনো কখনো তা বেশ কষ্টকরও হয়ে উঠছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। ধীরে ধীরে তা গাড় হয়ে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। পৌনে তিনটার দিকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি।

হঠাৎ ভারী বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন পথচারিরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সময় সংবাদের কর্মীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি শুরু হলে অনেকে রাস্তার আশপাশের দোকানপাট, ভবন এবং বিভিন্ন স্থাপনার নিচে আশ্রয় নেন।

অফিসে যাচ্ছিলেন আব্দুল আজিজ। বৃষ্টির কারণে মগবাজার এলাকায় একটি দোকানের নিচে আশ্রয় নেন তিনি। বলেন, বৃষ্টির কোনো প্রস্তুতি ছিলো না। এখানে দাঁড়িয়ে থেকে অফিসে দেরি হচ্ছে। আবার ভিজেও গেছি।

এদিকে আবহাওার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: স্বস্তির বৃষ্টি

আরও খবর



জাবিতে তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মারধর এবং ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন, কৃষ্ণ, উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার। তারা সকলেই সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা।

অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান রাফি।

ভুক্তভোগীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আমরা দুটি বাইক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভাই এসে আমাদের পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দেওয়ার পর বহিরাগত জানতে পেরে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর আরও তিন ভাই এসে আমাদের অচেনা একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। সেখানে আমাদের আটকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমাদের কাছে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে তাদের দেই। এছাড়া ভ্লগিংয়ে ব্যবহৃত আমাদের ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের টাকা উঠিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সক্ষম হই।

ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তরা বলেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিলো। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিলো। এসময় আমরা তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরবর্তীতে এক প্রকার জোর করে টাকা এবং ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের মোবাইলে থাকা জিপিএস ট্র‍্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সমর্থ হই। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা এবং ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, দুর্ঘটনার ঝুঁকি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

লাইসেন্স ছাড়াই জয়পুরহাটে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন দোকানে এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে সাধারণ মানুষ। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলছেন এসব লাইসেন্স বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার কারণে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জয়পুরহাট জেলা শহর ছাড়াও পাঁচটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারের তিন শতাধিক দোকানে দেদারছে চলছে এলপি গ্যাস সিল্ডিারের ব্যবসা। অথচ জেলায় এলপি গ্যাস ব্যবসার লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ১শ টির মতো। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন দোকানে এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে সাধারণ মানুষ। লাইসেন্স ছাড়া অরক্ষিত অবস্থায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কারণে যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। অনুমোদন ছাড়া খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় অনুমোদন ভুক্ত ব্যবসায়ীরা। লাইসেন্স ছাড়া এসব গ্যাস বিক্রি বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকার শামীম হোসেন জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। নজরদারি না থাকায় যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘর বিশা এলাকার দুলাল হোসেন বলেন সরকার নির্ধারিত দামে আমরা কখনো গ্যাস সিলিন্ডার পাইনা। সরকার দাম বেঁধে দেয় একটা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হয় বেশি দামে। সরকারের হস্তক্ষেপে আমরা এর প্রতিকার চাই।

এ প্রসঙ্গে উপ-সহকারী পরিচালক ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স জয়পুরহাট মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স ছাড়া অরক্ষিত অবস্থায় এমন দেদারছে গ্যাস ব্যবসার কারনে এসব এলপিগ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এতে করে সাধারণ ক্ষয়-ক্ষতিসহ প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। এই পণ্য বাংলাদেশ বিতরণ এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তিগনই বিক্রয় করতে পারেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যত্রয় ঘটে। এ রকম যেন ব্যত্রয় না ঘটে এ জন্য জেলা প্রশাসক জয়পুরহাট প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে জেলার সাধারণ মানুষকে রক্ষায় এমন যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ছাড়াও এ জেলার সচেতন নাগরিকগণ দ্রুত অবৈধ সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপির সংখ্যা বেড়ে ১৭৯

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ ঘিরে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজিপির মোট ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

গত বছরের অক্টোবর থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথ হামলা শুরু করে বিদ্রোহীদের জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। তাদের হামলার মুখে রাখাইনের অনেক জায়গা থেকে পালিয়ে গেছে জান্তার সদস্যরা।

রাখাইনভিত্তিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ জানিয়েছে, যে কোনো সময় পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে।


আরও খবর



পিরোজপুরে আইনজীবীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভা চলাকালীন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আক্রমণে পাঁচজন আইনজীবীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পিরোজপুর কোর্ট চত্ত্বরে জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশার সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট সরদার ফারুক আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট চন্ডী চরণ পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম ডি আউয়াল, অ্যাডভোকেট আহাসানুল কবির বাদল, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার মাঝি, জিপি অ্যাডভোকেট প্রেমানন্দ হালদার, অ্যাডভোকেট শ.ম হায়দার, অ্যডভোকেট শওকত, অ্যাডভোকেট তরুণ ভট্টাচার্য।

এসময় বক্তারা হামলাকারী ও হুকুম দাতাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

উল্লখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার  জেলা আইনজীবী সমিতির তলবি সভা এবং এডহক কমিটি গঠণকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন খানের নির্দেশে বহিরাগতদের হামলায় ৫জন আইনজীবী গুরুতর আহত হয়। ওই দিন দুপুরে সভা চলাকালীন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অ্যাডভোকেট তরুণ ভট্টাচার্য ও আহাসানুল কবির হিমুসহ আরো ১জনকে আহত করে। আহত ৩জনকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নেয়া হয়। পরবর্তীতের আহতদের দেখতে যাওয়ার পথে আরও দুই আইনজীবী রাজ্জাক খান বাদশা ও সাইদুর রহমান টিটুকে আহত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী সামতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ূণ তালুকদার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাজাহান হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।


আরও খবর