তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী
জুনাইদ আহমেদ পলক আমেরিকায় ঢুকতে পারেননি-এমন গুজব ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর আমেরিকা সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র
করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে এ গুজব ছড়ানো হয়েছে।
অনলাইনে গুজবকারীরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় সফর
থাকার পরও প্রতিমন্ত্রী আমেরিকায় ঢুকতে পারেননি। তবে বিষয়টিকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তার সফরের বিস্তারিত উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক পেজে
পাল্টা পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
গত রবিবার কবীর আহমেদ নামের এক প্রবাসীর
আইডি থেকে প্রতিমন্ত্রী পলকের একটি ছবি এবং বাংলাদেশ সরকারের জিও (গভর্মেন্ট অর্ডার)
সংযুক্ত করে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘প্রতিমন্ত্রী
পলককে ঢুকতে দেয়নি আমেরিকা। তার নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে। কিন্তু
তাও তাকে ঢুকতে দেয়নি।’
প্রতিক্রিয়ায় প্রতিমন্ত্রী পলক নিজের ভেরিফাইড
ফেসবুক পেজে পোস্ট লিখেছেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
ডিরেক্টর অফ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি সাউথ এশিয়া ইন্সটিটিউটের প্রফেসর তারুন খান্নাকে।
এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অফ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি সাউথ এশিয়া ইন্সটিটিউট হিতেশ হাথি
এবং মিনাকে যে ক্রিসমাসের ছুটি এবং প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকা সত্বেও হার্ভার্ডে প্রায় দুই
ঘণ্টার বেশি আমাদের বাংলাদেশের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ার জন্য কিভাবে আমরা কাজ করতে
পারি নলেজ পার্টনার হিসেবে সে বিষয়ে আলোচনা করার জন্য এবং আমাকে হার্ভার্ডে আপ্যায়ন
করার জন্য।’
পলক লিখেছেন, এইবারই প্রথম আমি বোস্টন
থেকে (ডেল্টা ফ্লাইট নং ৫৭৯৮) ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ভ্রমণ করলাম। যার অভিজ্ঞতাও অত্যন্ত
ভালো ছিল। ২৫ ডিসেম্বর টরন্টো থেকে রওনা হয়ে ২৬-২৭ তারিখ বোস্টন ভিজিট শেষে ২৮ ডিসেম্বর
ওয়াশিংটনে পৌঁছাই।
ফেসবুক পোস্টে পলক আরো বলেন, ওয়াশিংটনের
হিষ্ট্রি মিউজিয়াম, সায়েন্স মিউজিয়াম, হোয়াইট হাউসসহ অনেক কিছুই পরিদর্শন করেছি। এবারের
বিশেষত্ব হচ্ছে, বাংলাদেশের তিনজন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে নিযুক্ত কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে
বৈঠক এবং আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমার দীর্ঘদিনের সখ ছিল তাদেরকে হোয়াইট হাউজ,
লিংকন মেমোরিয়াল এবং ওয়াশিংটনের বিভিন্ন মেমোরিয়াল দেখানোর। এর সঙ্গে সায়েন্স মিউজিয়াম
ওয়াশিংটন হিষ্ট্রি মিউজিয়াম দেখে আমার সন্তান অপূর্ব, অর্জন এবং অনির্বাণ ভীষণ খুশি।
আমি আরো ধন্যবাদ জানাই ওয়াশিংটনে নিযুক্ত
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলামকে। এই তীব্র শীতের মধ্যে এবং ছুটির মধ্যেও বেশ
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজন করার জন্য। ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ
সচিব এবং বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংকে নিযুক্ত আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধি শফিউল আলম এবং বিশ্বব্যাংককে
বাংলাদেশের আরো দুজন নিযুক্ত কর্মকর্তাকে তাদের বৈঠক এবং রাতের আপ্যায়নের জন্য।
গত ২৫-২৮ ডিসেম্বর বোস্টন ও ওয়াশিংটন সফর
শেষে ঢাকায় ফিরেছি। আশা করছি হার্ভার্ড এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে আমরা কাজ করবো।
২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি, উদ্ভাবনী জাতি
এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সফরটি সহযোগিতা করবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনলাইনে নানা
ধরণের গুজব তৈরি সৃষ্টি করছে জামাত-বিএনপির এজেন্টরা। আমার ক্ষেত্রে যেটি ঘটল সেটি
তাদের মিথ্যাচারের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এগুলোকে আমরা কেস স্টাডি হিসেবে দেখছি।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ২১ ডিসেম্বর সরকারি
সফরে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।