আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

আইসের ভয়াবহতা শিউরে ওঠার মতো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আইস। ইংরেজি শব্দ। অর্থ বরফ। এই আইস দেখতে বরফের মতো হলেও আসলে বরফ নয়। এটি এখন মাদকের সর্বশেষ সংস্করণ। এক ভয়ংকর মাদকের নাম আইস। আবার এর পরিচিতি রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নামে। অভিজাত শ্রেণির কাছে স্কোর, কেউ বলেন, স্টাফ। কারও কাছে আবার সাদা নামে পরিচিত। তবে গোপন যোগাযোগের সময় অনেকেই ডাকেন বরফ নামে। স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণহীন বলে বহির্বিশ্বে পরিচিত ক্রিস্টাল মেথ হিসাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদক হিসাবে আইসের ভয়াবহতা শিউরে ওঠার মতো। এটি ইয়াবার চেয়ে শতগুণ শক্তিশালী। আইসের জালে একবার জড়ালে একমাত্র মৃত্যুই হতে পারে মুক্তির উপায়। কারণ একবার আইসসেবনে অন্তত ৩০টি ইয়াবাসেবনের চাইতেও বেশি ক্ষতি হয়। এ কারণে আইসে আসক্ত হওয়ার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ব্যক্তির কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।

শতগুণ ভয়ংকর: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়াবা ও আইসের মূল উপাদান একই। মিথাইল অ্যামফিটামিন বা মেথা অ্যামফিটামিন। বড় আকারের একটি ইয়াবায় অ্যামফিটামিনের সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ থেকে ১৫ শতাংশ। কিন্তু আইসে অ্যামফিটামিন থাকে ৯৬ শতাংশ বা তারও বেশি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারের প্রধান ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, মিথাইল অ্যামফিটামিন একধরনের স্টিমুলেটিং এজেন্ট। এটি মানবদেহের কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেমকে ক্ষণিকের জন্য আন্দোলিত করে তোলে। ফলে সেবনকারী প্রফুল্লতা অনুভব করেন। চারপাশের সবকিছু তার কাছে রঙিন মনে হয়। কিন্তু নেশার ঘোর কেটে গেলে শুরু হয় প্রতিক্রিয়া। মাদকাসক্ত ব্যক্তি ক্রমশ বিমর্ষ হয়ে পড়েন। গায়ের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। টানা কয়েক মাস আইসসেবনের ফলে হার্ট, কিডনি, ফুসফুস ড্যামেজ হয়ে যায়। তখন কেবলই মৃত্যুর হাতছানি।

জেনেশুনে বিষপান: আইস ব্যয়বহুল নেশা। এক গ্রাম আইসের বাজারমূল্য ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফলে স্বাভাবিকভাবে আইসের ব্যবহার হচ্ছে ধনাঢ্য শ্রেণির মধ্যে। এখন পর্যন্ত আইস-সংশ্লিষ্টতায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই কোটিপতির সন্তান। কেউ কেউ নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেও নাম লিখেয়েছেন নেশার জগতে।

সূত্র বলছে, গত বছর ৬ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার হন আফিফ আফতাব খান সুহৃদ নামের এক ধনাঢ্য যুবক। অভিজানের সময় সৃহৃদ কথা বলছিলেন ইংরেজিতে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি উচ্চতর ডিগ্রিধারী। স্ত্রীও উচ্চশিক্ষিত এবং রাজধানীর একটি নামকরা কলেজের অধ্যাপক। বাবা ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার। পরিবারের অন্য সদস্যদের সবাই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। দুই ভগ্নীপতির একজন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য এবং অপরজন একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। ঢাকায় একাধিক বাড়ি এবং ফ্ল্যাট ছাড়াও তাদের পরিবারের রয়েছে অঢেল সম্পদ। সুহৃদ ছাড়াও আইসসহ গ্রেফতার হন বাড্ডার হোসেন মার্কেটের মালিকের ছেলে রহিত। তিনি মালয়েশিয়া থেকে উচ্চতর ডিগ্রিধারী। ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার হন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইভান।

ঢাকায় আইস ছড়িয়ে পড়ার একেবারে শুরুর দিকে একাধিক অভিযানে নেতৃত্ব দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, আইস হচ্ছে পার্টি ড্রাগ। এটি সব সময় কয়েকজন মিলে গ্রুপে সেবন করা হয়। ফলে হাই সোসাইটির পার্টি সংস্কৃতির মধ্যে আইস সহজেই ঢুকে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, আইস সেবনে বেশি পরিমাণে এনার্জি পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া বিদেশি সিনেমা ও সিরিয়াল দেখেও অনেকে আইসের মতো ভয়াবহ নেশার জগতে পা বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে ব্রেকিং ব্যাড নামের একটি বিদেশি সিরিয়াল দেখে আইসসেবনে প্রলুব্ধ হচ্ছে অনেকে।

অ্যাপস গ্রুপে কেনাবেচা: সূত্র বলছে, আইস পার্টি অনুষ্ঠিত হয় কঠোর গোপনীয়তায়। বিশেষ লিংক ছাড়া আইস পার্টিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। অর্থাৎ বন্ধুর পরিচিত বন্ধু এবং তার বন্ধু-এভাবে বাছাই করা লোক নিয়ে আসর বসে। গোপনীয়তা বজায় রাখতে পার্টির স্থান, টাইম প্রভৃতি সম্পর্কে কথাবার্তা হয় অ্যাপচ্যাট নামের বিশেষ অ্যাপে। এতে যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কেউ গ্রেফতার হলেও চক্রের অন্য সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় না।

এছাড়া আইসের বেচাকেনা হচ্ছে টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি এনক্রিপ্টেড অ্যাপে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীতে আইস পার্টির আয়োজন হচ্ছে অভিজাত এলাকা গুলশান, ধানমন্ডি ও বারিধারায়। এছাড়া ভাটারা এলাকার একটি বৃহৎ আবাসিক এলাকায় বসছে আইস পার্টি। মাদকসেবনের কার্যক্রম শুরু হয় গভীর রাতে, চলে শেষ রাত অবধি। আইস পার্টি করতে গভীর রাতে অনেকে গাড়িবহর নিয়ে ছুটছেন ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস রোডে।

সূত্র বলছে, রাজধানীতে আইস চক্রে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। কেউ কেউ আছেন শোবিজ জগতের গ্ল্যামার গার্ল। এর মধ্যে গুলশান এলাকায় আইসের প্রধান ডিলার হিসাবে জাবির খান নামের এক ধনাঢ্য যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের গুলশান সার্কেলের পরিদর্শক সামসুল কবির যুগান্তরকে বলেন, জাবির খানকে ধরতে পারলে রাজধানীর আইস নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তাকে ধরতে ইতোমধ্যে কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তিনি পলাতক। তবে অচিরেই তিনি ধরা পড়বেন।

সূত্র বলছে, প্রযুক্তির সহায়তায় কথোপকথনের সূত্র ধরে রাজধানীতে আইস চক্রের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ইয়াসির, রাসেল ও উর্মিলা নামের এক তরুণীকে। এছাড়া গুলশানের আইস পার্টিতে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন তরুণীর ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এদের মধ্যে আজমিন সারিকা, পুনম, ম্যাকরনা আলম, আমান এশা ও ইডেন ডি সিলভা অন্যতম। আইস পার্টির গডফাদারের ভূমিকায় আছেন গুলশানের বাসিন্দা জায়েদ। এছাড়া রাজধানীর উত্তরা এলাকায় প্রাইভেট আইস পার্টির আয়োজক হিসাবে নারকোটিক্সের নজরদারিতে আছেন এক শ্রীলংকান তরুণী। অন্তত ৬ মাস তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। জান্নাত ওরফে ইমু নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মাধ্যমে আইস নেটওয়ার্ক চালাচ্ছেন তিনি।

লুফে নিচ্ছে ইয়াবার বাজার: দিনদিন আইসের বিস্তার বাড়ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইসপ্রবণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইস ছড়াচ্ছে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। বনানী এলাকার কয়েকটি সিসা লাউঞ্জ আইস পার্টির পিকআপ পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বনানীর আল গিসিনো, ঢাকা ক্যাফে, টিজিএস এবং কিউডিএস সিসা লাউঞ্জে আড্ডা শেষে আইস পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, দেশে ব্যবহৃত মাদকের ৪৫ শতাংশ ইয়াবার দখলে। বাকিটা হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন নেশা উপকরণ। তবে ধীরে ধীরে ইয়াবার বাজার চলে যাচ্ছে আইসের দখলে। এক বছরের মধ্যে হয়তো ইয়াবার বাজার পুরোটাই আইসের দখলে চলে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুমনুর রহমান বলেন, মাদক হিসাবে আইস হালের ক্রেজ। মাদক বিস্তারের ক্রমধারা বিশ্লেষণ করলে সহজেই বোঝা যায় অল্পদিনের মধ্যেই হয়তো এটি ইয়াবার স্থলাভিষিক্ত হবে। কারণ একসময় দেশে হেরোইনের বিস্তার ছিল। এরপর মহা ধুমধামে আসে ফেনসিডিল। ফেনসিডিলের চাপে হেরোইনের বাজার কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। আবার ইয়াবার বিস্তার শুরু হলে ফেনসিডিলের বাজার সীমিত হয়ে পড়ে।

বর্তমানে আইসের বিস্তার বাড়ছে। একপর্যায়ে হয়তো ইয়াবার বাজার পুরোটাই আইসের দখলে চলে যাবে। এজন্য এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে। আইসের ক্রমবর্ধমান বিস্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের (ঢাকা) সহকারী পরিচালক রিফাত হোসেন বলেন, মাদকের জগতে নেশাগ্রস্তরা নিত্যনতুন মাদকের সন্ধান করে। কারণ একটি মাদক নিতে নিতে দেহে সহনশীলতা তৈরি হয়। তখন পুরোনো মাদকে নেশা হয় না। এ কারণে আগে যারা দীর্ঘদিন ইয়াবা নিতেন, এখন তাদের অনেকেই আইসের দিকে ঝুঁকছেন। এছাড়া ধানাঢ্য শ্রেণির অনেকেই ক্রেজ সৃষ্টির জন্য আইসের দিকে ঝুঁকছে। অভিজাত শ্রেণির কেউ কেউ আবার বিকৃত রুচি থেকেও জড়িয়ে পড়ছেন আইসের নেশায়।

নিউজ ট্যাগ: আইস মাদক আইস

আরও খবর



ইসরায়েলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ ইরানের হামলার হুঁশিয়ারির পর থেকে হার্ট অ্যালার্ট জারি করেছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যেই হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সব পাঠ্যক্রম বহির্ভূত শিক্ষা কার্যক্রম বাতিল করেছে তারা। খবর: জেরুজালেম পোস্ট

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে আক্রমণের জন্য উচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হামলা প্রতিহত করতে কয়েক ডজন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা ইরান সমর্থিতদের দ্বারা পাঠানো বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। সেই অনুযায়ী আমাদের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রেখেছি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭ ইরানি জেনারেল নিহত হয়। ওই ঘটনার জেরে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় পারস্য অঞ্চলের দেশটি। যেকোনো সময় ইসরায়েলের যেকোনো স্থাপনায় হামলা চালানো হবে বলে সে সময় হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।


আরও খবর



সিলেটে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের কৃষি খাতে উন্নতি করতে হবে। খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা। এ চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তি নির্ভর হবে আগামী বাংলাদেশ। দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের সবাইকে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ জমিতে চাষ করে কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ খয়ের উদ্দিন মোল্লাহ, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার।

এছাড়াও উদ্যোক্তা কৃষকের বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ আলভিনা গার্ডেনের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রব বুবেল। পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাফিজ মাওলানা জামিল সিদ্দিকী, গীতা থেকে পাঠ করেন নন্দ দুলাল।

এসময় সিলেট জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালবৃন্দ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএডিসি কর্মকর্তাবৃন্দ, এসডিআই কর্মকর্তাবৃন্দ, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট নার্সারী কল্যাণ সংস্থার সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



যমুনায় নানীর সাথে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মিনহাজ উদ্দিন (১০) ও মিনাল মিয়া (৮) নামে দুই সহোদর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের দুর্গম চরশিশুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারা উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকার আজাহার মিয়ার ছেলে। এর আগে ঈদের দুইদিন আগে বাবা-মার সাথে তারা নানা দুদু সরকারের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায় ওই দুই শিশু। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর তাদের মৃতদেহ নদীতে ভেসে উঠে।

সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ আলম মন্ডল জানান, তাদের নানা খুবই দরিদ্র। নদীতে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দুপুরে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



মার্কিন ভেটোতে জাতিসংঘে আটকে গেল ফিলিস্তিনের সদস্যপদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি।

খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে চলেছে। এই ভোটটি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্বের বিরোধিতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা চাই তারা সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুক।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন ভেটোকে অন্যায়, অনৈতিক এবং অযৌক্তিক বলে নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন ভেটো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ভেটো দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করে বলেছেন, লজ্জাজনক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হবে না।’

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তবে তাদের এই আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে।

২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। এরপর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিন এ মাসের শুরুতে আবারও সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।


আরও খবর



শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪