চলতি আইপিএলে আবারও আলোচনায় বিরাট কোহলি।
এবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের নাবিন উল হকের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক।
সঙ্গে তর্কে জড়ান গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে। শাস্তি হিসেবে দুইজনকেই জরিমানা করা হয়েছে।
সেই প্রসঙ্গে এবার বোর্ডকে চিঠি দিলেন কোহলি।
১ মে লক্ষ্ণৌ খেলা ছিল আরসিবি এবং এলএসজি-র।
এই দুই দল বেঙ্গালুরুতেও খেলেছিল। সেবার গম্ভীর ঠোঁটে আঙুল দিয়ে দর্শকদের চুপ করতে
বলেছিলেন। জয়ের পর আগ্রাসীভাবে উল্লাস করতে থাকেন গম্ভীর। যা ছিল বেশ চোখে লাগার মতো।
লক্ষ্ণৌয়ে খেলতে এসে বিরাটও পাল্টা দিতে থাকেন। লক্ষ্ণৌয়ে অসংখ্য আরসিবি সমর্থকরা এসেছিলেন।
তারা বিরাটকে সমর্থন করছিলেন। বিরাট তাদের আরও জোরে চিৎকার করতে উৎসাহ দেন। মাঠের মধ্যে
আঙুল দেখিয়ে চুপ করতে বলেন কাউকে।
আরও পড়ুন<< প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
ম্যাচ শেষে উত্তেজনা আরও বাড়ে। লক্ষ্ণৌয়ের
কাইল মেয়ার্স কথা বলছিলেন বিরাটের সঙ্গে। সেই সময় লক্ষ্ণৌ দলের মেন্টর গম্ভীর এসে মেয়ার্সকে
সরিয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। গম্ভীর চলে যেতে গিয়েও
ফিরে আসেন। তাকে আটকে দেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু তাকে সরিয়ে দিয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে এগিয়ে
যান গম্ভীর। উল্টো দিক থেকে আসেন বিরাটও। তিনিও উত্তপ্তভাবে কথা বলতে থাকেন। পরিস্থিতি
হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই দলের বাকি ক্রিকেটাররা তাদের সরিয়ে নিয়ে যান।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে
উপস্থিত হন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার
ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লক্ষ্ণৌয়ের স্পিনার অমিত
মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তারা কোহলি, গম্ভীরকে
ভালো ভাবে চেনেন। তারাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেন। লক্ষ্ণৌয়ের অধিনায়ক লোকেশ
রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে যান আরসিবির অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিস।
আরও পড়ুন<< ১০২ রানের জয়ের ম্যাচে র্যাংকিংয়ে শীর্ষে পাকিস্তান
কিন্তু সেখানেই সব থেমে যায়নি। তিনি যে
গম্ভীরের কথা ভাল ভাবে নেননি সেটা কোহলির চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। বাউন্ডারির ধারে
দাঁড়িয়ে রাহুলের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা বলেন তিনি। ঠিক সেই সময় সেখানে উপস্থিত হন লক্ষ্ণৌয়ের
মালিক সঞ্জীব গোয়েনকা। তার সঙ্গে অবশ্য হাত মেলান কোহলি।