আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

আইপিএল ফাইনাল: বৃষ্টি থামার পর নতুন টার্গেট পেল চেন্নাই

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথমবারের মতো আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ গড়াল রিজার্ভ ডে-তে। বৃষ্টিতে গতকাল (রোববার) নির্ধারিত দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ার পর আজ রিজার্ভ ডে-তে শিরোপার লড়াইয়ে নেমেছিল গুজরাট টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। এদিনও বৃষ্টি শঙ্কা মাথায় নিয়ে প্রথম ইনিংস ভালোভাবেই শেষ করেছিল গুজরাট। তাদের দেওয়া ২১৫ রানের লক্ষ্যে নেমে চেন্নাই মাত্র ৩ বল খেলতেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি থামার পর নতুন টার্গেট পেয়েছে চেন্নাই, ১৫ ওভারে তাদের লক্ষ্য ১৭১ রান।

আরও পড়ুন: আইপিএল ফাইনাল: রিজার্ভ ডে’তেও বৃষ্টির হানা

আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকায় চেন্নাইকে জিততে হলে ১৫ ওভারে ১৭১ রান করতে হবে। একইসঙ্গে কমানো হয়েছে পাওয়ার প্লের নির্ধারিত ওভারও। ইনিংসের প্রথম ৪ ওভার পাওয়ার প্লে এবং গুজরাটের প্রতি বোলার সর্বোচ্চ তিন ওভার করে বল করতে পারবেন। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৪০ মিনিটে।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ ডেতে গড়াল আইপিএল ফাইনাল

এর আগে গুজরাটের রানতাড়ায় চেন্নাই মাত্র তিন বল ব্যাট করতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক খেলা বন্ধ থাকার পর পিচ থেকে কভার সরানো হয়। পরবর্তীতে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় মাঠ পর্যবেক্ষণের পর সাড়ে ১১টায় পুনরায় পরিস্থিতি দেখার কথা জানান আম্পায়াররা। এরপর দুদলের অধিনায়কদের উপস্থিতিতে তারা নতুন টার্গেট ও নির্দেশনা জানিয়ে দেন।বৃষ্টির জেরে গতকাল রোববার চেন্নাই-গুজরাটের ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। তবে রিজার্ভ ডে থাকায় সেই ম্যাচ মাঠে গড়ায় আজ। আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে গুজরাটের আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন চেন্নাই দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি। অন্যদিকে গতবার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির প্রথম আসরেই শিরোপা ঘরে তোলে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট। এবার টানা দ্বিতীয় মৌসুমে তারা ফাইনাল খেলছে।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন হতে চেন্নাইর দরকার ২১৫ রান

এদিন আগে ব্যাট করে সাই সুদর্শনের ৪৭ বলে ৯৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের পাশাপাশি ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। এছাড়া শুভমান গিল ২০ বলে ৩৯ এবং অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ১২ বলে ২১ রান করেন।

নিউজ ট্যাগ: আইপিএল ফাইনাল

আরও খবর



পাকিস্তানকে রেকর্ড রানে বিধ্বস্ত করল ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গ্রুপপর্বে ভারত ছিল কিছুটা কোণঠাসা। মনে হচ্ছিল, বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। সুপার ফোরপর্বে ঠিক যেন উল্টো চিত্র। বৃষ্টিবাধায় পড়া ম্যাচটি রিজার্ভ ডেতে গড়ালেও পাকিস্তানি সমর্থকরা হয়তো খুব করে চাইছিলেন, বৃষ্টি খেলাটা পণ্ড করে দিক।

ভারতের ইনিংস শেষ হতেই যে কার্যত ম্যাচটা পাকিস্তানের হাতছাড়া হয়ে যায়। এরপর ব্যাটাররা বাজে শুরু করলে বৃষ্টিই ছিল পাকিস্তানের শেষ ভরসা। কিন্তু বৃষ্টিবাধায় পড়লেও শেষপর্যন্ত ম্যাচে কোনো ওভার কাটা যায়নি।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের ছুড়ে দেওয়া ৩৫৭ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ৩২ ওভারে অলআউট হয়ে গেছে ১২৮ রানেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ভারত হারিয়েছে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।

রান তাড়ায় শুরু থেকেই কোণঠাসা ছিল পাকিস্তান। ইমাম উল হক ৯ আর বাবর আজম ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পাকিস্তান ২ উইকেটে ৪৪ রান করার পর নামে বৃষ্টি।

প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ানও (২)। ১২তম ওভারে মাত্র ৪৭ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান।

ফাখর জামান যে টেস্ট খেলছিলেন। তারপরও রক্ষা হয়নি। ৫০ বলে ২৭ রান করে কুলদীপ যাদবের শিকার হন পাকিস্তানি ওপেনার। এরপর ভয়ংকর হয়ে উঠেন কুলদীপ।

বাঁহাতি এই স্পিনার আঘা সালমান (২৩), শাদাব খান (৬), ইফতিখার আহমেদকে (২৩)। ১১৯ রানে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তান ৩২ ওভারেই গুটিয়ে যায় ১২৮ রানে।

ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদব ২৫ রান খরচায় একাই নেন ৫টি উইকেট। এর আগে বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভারত ২ উইকেটেই দাঁড় করিয়েছিল ৩৫৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ।

আগের দিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু ২৪.১ ওভারে তারা ১৪৭ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। আম্পায়াররা অনেকটা সময় অপেক্ষার পরও খেলা শুরু করা না গেলে ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে।

রিজার্ভ ডেতেও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে সময়মতো খেলা শুরু করা যায়নি। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর মাঠ প্রস্তুত হয়। আগের দিন রোহিত শর্মা ৫৬ আর শুভমান গিল ৫৮ রানে আউট হয়েছিলেন।

কিন্তু ২৪.১ ওভারে ১৪৭ রান নিয়ে মাঠে নামা ভারত আজ আর কোনো উইকেট হারায়নি। লোকেশ রাহুল ১০০ বলে আর বিরাট কোহলি ৮৪ বলে করেন সেঞ্চুরি।

১৯৪ বলের জুটিতে তারা ২৩৩ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। ৯৪ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৭তম সেঞ্চুরি।

অন্যদিকে ১০৬ বলে ১২ চার আর ২ ছক্কায় ১১১ রানে অপরাজিত থাকা লোকেশ রাহুলের ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি এটি।


আরও খবর



রোনালদোর জাদুতে আল নাসরের বড় জয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পর পর দুই ম্যাচে হলুদকার্ড দেখায় লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে পর্তুগালের সর্বশেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মাঠে না নামলেও তার দল জিতেছে বিশাল ব্যবধানে। নিজ দেশের হয়ে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের এবারের মিশন শেষ করে ক্লাবের লড়াইয়ে ফিরেছেন তিনি।

ক্লাব জার্সিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই মাঠে নামলেন, গোলও করলেন। আল রাইদের বিপক্ষে শনিবার রাতে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে রোনালদোর আল নাসর। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে আল নাসরের তৃতীয় গোলটি করেছেন সিআর সেভেন।

ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় আল নাসর। ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া জোরালো শটে বল জালে জড়ান সেনেগাল তারকা। এর দুই মিনিট পর মানেকে বক্সের বাইরে ফেলে দিয়ে লালকার্ড দেখেন আল রাইদের বান্দের হোয়াইশি।

১০ জনের আল রাইদেকে আরও চেপে ধরে নাসর। বিরতি থেকে ফিরে ৪৯ মিনিটে ডি-বক্সের বেশ বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে বল জালে পাঠান তালিসকা। এতে ২-০ গোলে এগিয়ে যান সফরকারীরা। একের পর এক শট আর ফ্রি-কিকে হতাশ হওয়া রোনালদো গোল পান ম্যাচের ৭৮ মিনিটে।

বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন পর্তুগিজ তারকা। এটি চলমান লিগে তার সপ্তম গোল। ক্যারিয়ারের ৮৫১তম। ম্যাচের যোগ করা সময়েও একবার বল জালে পাঠান রোনালদো। তবে অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়। ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে ব্যবধান কমায় আল রাইদের মোহাম্মদ ফুজাইর।

শেষ পর্যন্ত রাইদের বিপক্ষে ৩১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নাসর। এটি লিগে আল নাসরের ৬ ম্যাচে চতুর্থ জয়। ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে অবস্থান ৫ নম্বরে।


আরও খবর



ইউক্রেনের বাজারে বোমা হামলা, নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের একটি বাজারে বোমা হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ৩৩ জন। বৃহস্পতিবার দেশটির কোতান্তিনিভকা শহরের একটি ব্যস্ত বাজারে এই হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার দাবি, শান্তিপূর্ণ শহরে ইচ্ছা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।  

আরও পড়ুন>> ভারতের মাটিতে প্রথম অতিথি বোলা টিনুবু

কোস্তানতিনিভকা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলে অবস্থিত। যুদ্ধের শুরু থেকেই এই অঞ্চলে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর বেশিরভাগই রাশিয়ার দখলে চলে গেছে। তারপরও দিনের বেলা বাজারে এমন হামলার ঘটনা বিরল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

১৭ জন নিহতদের মধ্যে শিশুও ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, দিনের বেলা ব্যস্ত বাজার হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। সেসময় অনেক মানুষ কেনাকাটা করছিলেন।

ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, যেসব মানুষদের হত্যা করা হয়েছে তাদের কোনো দোষ ছিল না। রাশিয়া নিজেদের অপরাধকে যেন দেখেও দেখছে না বলে অভিযোগ করেন। 

আরও পড়ুন>> ‘ইন্ডিয়া’ বাদ দিয়ে নাম কি শুধুই ভারত ?

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিস্ফোরণে বাজার, বেশ কয়েকটি দোকান ও একটি ওষুধের দোকানে আগুন লেগে যায়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখনো এই হামলা নিয়ে মন্তব্য করেনি রাশিয়া।


আরও খবর



প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে গত ১২ সেপ্টেম্বর এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হইবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমবার ১১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাইরে থাকবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময়কালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসরে গেছেন ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সে সময় সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি থাকায়, গত ৩১ আগস্ট ছিল তার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস। 

আরও পড়ুন>> খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ: প্রধানমন্ত্রী

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। টানা ২০ মাস বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার ৬৭ বছর পূর্ণ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। তাই সংবিধান অনুসারে এদিন তিনি অবসরে গেছেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ড. মো. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদপ্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন। এরপর ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন। এরপর ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন ১১টি মামলার রায় দেওয়া হয়। তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৯১ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সিঙ্গাপুরে আইন সম্মেলনে যোগদান করেন এবং আর্জেন্টিনায় আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক একটি কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের শেষদিকে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তৎকালীন যুগোস্লোভিয়ার বিচারকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন।

অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র: একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য এবং বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ: একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য নামক দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি।


আরও খবর



লোকসানে চাটমোহরের পাট চাষিরা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
Image

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:

চলতি মৌসুমে পাটের চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার কৃষকরা। বাজারে পাটের যে দর পতন, তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। গত দুই মৌসুমে পাটের ভালো দাম পেলেও, এবার কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা। পাট বিক্রি করে খরচের টাকা উঠানো কঠিন।

এ বছর পাটের বাজারমূল্য গত বছরের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম প্রতি মণে গড়ে ৬০০- ৮০০ টাকা কমেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। পাটের বীজ বপন থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা পর্যন্ত যে খরচ হয় তাতে করে বর্তমান বাজারদরে পাট বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে চাষিদের। এমনটাই আশঙ্কা করছেন উপজেলার সাধারণ কৃষকরা।

পাটের ফলন মৌসুমের শুরু থেকে বাজারে দাম ছিল মণ প্রতি ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা। বর্তমানে এ সপ্তাহে পাটের বাজারদর কমে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৭শ পর্যন্ত কেনাবেচা  হচ্ছে।

কৃষকেরা বলছেন, মাসখানেক আগে বাজারে ওঠা নতুন পাট ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে পাটের দাম কমছে। বর্তমান পাটের দাম কমতে কমতে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় তাঁদের উৎপাদন খরচ তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে।

উপজেলার হান্ডিয়ালের পাট চাষি রায়হান আলী বলেন, গত বছর প্রতি মণ পাট ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আশা করেছিলাম এ বছর প্রতি মণ পাট ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারব। কিন্তু দর কমে যাওয়ায় এ বছর প্রতি মণ পাট গড়ে প্রায় ১ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক মো. মন্টু মিয়া বলেন, পাট ঘরে তুলতে যে খরচ হয় তাতে করে বর্তমান দাম অনুযায়ী বিক্রি করে খরচ উঠানো যাচ্ছে না, লোকসানে পড়তে হচ্ছে। এভাবে বাজারে দাম কমে গেলে আমাদের মতো কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বে। আমরা ফসল ঘরে তুলে মজুদ করতে পারি না। টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করতেই হয়।

উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বাহের আলী বলেন, পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের ভয়ে বিক্রি করতে পারছি না। মজুদ করার মতো জায়গাও নেই আমাদের।

পাট ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, তাঁদের কাছে এখনো গত বছরের পাট রয়েছে। এ জন্য তাঁরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। এ ছাড়া বাজারে পাটের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে।


আরও খবর