আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে সড়ক, রেল ও নৌপথে রাতদিন পাহারায় থাকবেন। এই তিন দিন উন্নয়ন স্থাপনাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন তারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  জানিয়েছেন, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে দেশের উন্নয়ন স্থাপনাগুলো রক্ষায় দলের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবেন। কেউ সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবেন।

এদিকে, অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সভায় কয়েকজন এমপিও উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, অবরোধ নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুবই সতর্ক হয়ে জনগণের পাশে থাকবেন। শান্ত হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন। অবরোধ চলাকালে রাজধানীতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে আওয়ামী লীগ।

এ জন্য দলের ১৭ জন এমপি (ঢাকা-১, ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৫, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৫, ঢাকা-১৬, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮, ঢাকা-১৯ এবং ঢাকা-২০ আসন) তাদের নির্বাচনী এলাকায় দলের নেতাকর্মীকে নিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন।

আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম জানিয়েছেন, অবরোধ চলাকালে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সড়ক, রেল ও নৌপথে রাতদিন পাহারায় এবং সজাগ থাকবেন।

খুলনা বিভাগের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা দেবেন। এ বিষয়ে সাংগঠনিক নির্দেশনা জানিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন দলের আট সাংগঠনিক সম্পাদক। এর মধ্যে আহমদ হোসেন সিলেট, বি এম মোজাম্মেল হক খুলনা, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন চট্টগ্রাম, এস এম কামাল হোসেন রাজশাহী, মির্জা আজম ঢাকা, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বরিশাল, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ময়মনসিংহ ও সুজিত রায় নন্দী রংপুর বিভাগের আওতাধীন নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> এক পরিবারের ৯ জনের সবাইকে গুলি করে হত্যা

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেছেন, দলের নেতাকর্মীরা আজ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাগুলোর সামনে অবস্থান করবেন। থানা এবং ওয়ার্ডের পাশাপাশি রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলোতে অবস্থান করার পাশাপাশি সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে। নাশকতার অপচেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রায় একই কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, প্রতিদিন দলের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সমাবেশও অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা যে কোনো সহিংস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকবেন।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা বলেছেন, সব সময়ই আওয়ামী লীগ সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ অশান্তি করলে সভা-সমাবেশ তো দূরের কথা কোথাও দাঁড়াতেই পারত না বিএনপি। তারা ২৮ অক্টোবর খুন, অশান্তি, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা করলেও আওয়ামী লীগ শান্ত থেকেছে। কিন্তু অবরোধের নামে খুন ও অগ্নিসন্ত্রাসের সৃষ্টি করা হলে বিএনপিকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ নেতারা আরও বলেছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্ত ও সজাগ থাকবেন। সতর্ক পাহারা দেবেন। কোনো ধরনের উস্কানিতে পা দেবেন না, সংঘর্ষে জড়াবেন না। তারা জনগণের সম্পদ ধ্বংসের মতো কোনো অঘটন ঘটলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন। তার পরও সম্ভাব্য সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজধানীর চার প্রবেশ পথ যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, গাবতলী ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায় সতর্ক অবস্থানে থাকবেন দলের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর



গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৯ বগি লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর রেল স্টেশন পার হলে কাজীপাড়ায় আউটার সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এতে ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

জয়দেবপুরের স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটে কোনো ট্রেন চলছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার। তিনি বলেন, এখন ওই রুটে ট্রেন নেই। আর শুধু জয়দেবপুরে কোনো ট্রেন যাবে না। দুপুরের পরে ওই রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ভুল সিগনালের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীশূন্য ট্রেনটি ঢাকায় ফিরছিল। অন্যদিকে তেলবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল রংপুরে। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনটি তেলবাহী ট্রেনের লাইনে ঢুকে পড়লে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

সিইসি বলেন, যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।


আরও খবর



গত এক সপ্তাহে সৌদিতে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ৫০৫ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সৌদির আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৪ হাজার ৩২৩ জন, সীমান্ত সুরক্ষা আইনে ৪ হাজার ৭৭৮ জন এবং শ্রম আইনের আওতায় ২ হাজার ৪০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৯৫ জনকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৭ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬১ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ২ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।

এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টটার সময় আরও ৬১ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ৯ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বসবাসের অনুমতি, শ্রম ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের দায়ে সৌদি আরবে বর্তমানে ৬১ হাজার ৩০১ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৭ হাজার ১৩ জন এবং নারী আছেন ৪ হাজার ২৮৮৮ জন। আটককৃত প্রবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ১৬৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১ হাজার ৬৬৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৭ হাজার ৪২৩ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।


আরও খবর



যেকোনো সময় ইরান থেকে ইসরায়েলে হামলা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শুক্রবার যেকোনো সময় ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে হামলা চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তেল আবিব। সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। দেশের বড় একটি অংশজুড়ে জিপিএস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত সোমবার সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হবার পর ইরান ও ইসরালের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।হামলায় ইরানের একজন সিনিয়র জেনারেল নিহত হয়েছে। হামলায় ইসরায়েল জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস ঘোষণা দিয়েছে যে সেনাবাহিনীতে যেসব সৈন্য কমব্যাট ইউনিটে রয়েছে তাদের সব ছুটি স্থগিত করা হয়েছে।

ইসরায়েল আশঙ্কা করছে ইরানের দিক থেকে হামলা হবে যেকোনো সময়।শুক্রবার এই হামলা হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে। কারণ এই দিনটিকে আল কুদস দিবস বা জেরুসালেম দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাছাড়া এই দিনটি মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার, যেটি জুমাতুল বিদা হিসেবে পরিচিত। এই দিনটিতে ইরানে ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ করা হয়।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে জিপিএস সিস্টেম বিঘ্ন হতে দেখা গেছে। প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে ইসরায়েল এ কাজ করেছে। কারণ, জিপিএস সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দূরপাল্লার অস্ত্রের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ঠিক করা হয়।

ইসারায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস-এর মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি নিশ্চিত করেছেন যে ইসরায়েলের ভেতরে জিপিএস ব্লক করা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলিদের আহবান জানানো হয়েছে তারা যাতে তাদের মোবাইল ফোনের অ্যাপে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জিপিএস সেট করে। এর মাধ্যমে তারা যে কোনো রকেট আক্রমণের সতর্কবার্তা আগে থেকে পাবে।

ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যম রিপোর্ট করেছে যে ইরানের হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের বিভিন্ন দূতাবাসকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে অথবা খালি করা হয়েছে।


আরও খবর