রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩০ ইউনিট। এদিকে গরম আর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এ ছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে আহত ফায়ার সার্ভিসের ১৫ সদস্য।
আরো পড়ুন: নিউ সুপার মার্কেটে আগুন: অসুস্থ হয়ে ১৫ জন হাসপাতালে
এদিকে প্রায় চার ঘণ্টা হয়ে গেলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। এ ছাড়া তিনতলা ভবনটির চারপাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হওয়ায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা। ফায়ার সার্ভিসে ৩০টি ইউনিটের সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ, বিজিবি, র্যাব সদস্যরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অরক্ষিত বৈদ্যুতিক লাইনের কারণে শর্ট সার্কিট থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এক লাইন থেকে একাধিক সংযোগ দেওয়ার কথা। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বলছেন, বাতাসের কারণে বেশ ধোঁয়া হচ্ছে। এতে অন্ধকারে কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের সামনে তাদের আহাজারি করতে দেখা যায়। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ নিজেদের দোকান থেকে অক্ষত মালামাল বের করে আনার চেষ্টা করছেন। এদিকে মালামাল চুরি ঠেকাতে পাহারা দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।
আরো পড়ুন: আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, নিউমার্কেটের ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা, আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে রয়েছে বিজিবি। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ সেখানে ১২ প্লাটুন বিজিবির মোতায়েন করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা, ট্রাফিক মেনেজমেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে র্যাব।
আরো পড়ুন: নিউ মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ারের ২৮ ইউনিট
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউ মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনা ও বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপণী সাহায্যকারী দল যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া নৌবাহিনীও এতে যুক্ত হয়েছে।