আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আগস্টে উৎপাদন শুরু করবে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে দেশটির বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি আদানি পাওয়ার। ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হলে আগামী জুলাই-আগস্ট নাগাদ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট কমিশনিং করা হবে। তবে কমিশনিংয়ের পরই কেন্দ্রটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পাবে না বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বিদ্যুৎ দেশে আসতে আরো কিছু সময় লাগবে। এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট আগামী বছর জানুয়ারি নাগাদ চালু হতে পারে বলেও জানা গেছে।

বর্তমানে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আদানির বিদ্যুৎ গ্রিড লাইনে যুক্ত হলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। এতে ভারত থেকে আমদানীকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট, যা দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ১০ শতাংশ। শুরুতে কথা ছিল, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং মে মাসে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে। পরে সময় বাড়িয়ে প্রথম ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়ার সময় হিসেবে জুলাই-আগস্টের কথা বলা হচ্ছে।

মূলত কভিড মহামারীর কারণেই আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যথাসময়ে উৎপাদনে যাওয়ার বিষয়টি বিলম্বিত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারত ও বাংলাদেশ অংশের গ্রিড লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ও বগুড়ায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের কাজ চলছে। এ উপকেন্দ্রের জন্য চীন থেকে যন্ত্রাংশ আসছে। তবে এক্ষেত্রেও পড়েছে মহামারীর প্রভাব। সম্প্রতি চীনে কভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যন্ত্রাংশ বাংলাদেশে আসতে দেরি হচ্ছে। এসব যন্ত্রপাতির দেশে পৌঁছার ওপরই নির্ভর করছে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী দুই দেশই দ্রুত কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। দেশেও পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত হওয়ার পর যেন বসে থাকতে না হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তবে বিপিডিবির অন্য একটি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে গেলেও তখনই তা বাংলাদেশে পৌঁছবে না। এজন্য আরো কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ বিদ্যুৎ দেশের গ্রিডে যুক্ত হতে পারে। কারণ হিসেবে সূত্রটি জানিয়েছে, আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে আসার জন্য দেশের উত্তরাঞ্চলে যে ধরনের সঞ্চালন অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন তা এখনো নির্মাণ করা যায়নি। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এ সঞ্চালন প্রকল্পের কাজ করছে। তবে চীন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আসতে দেরি হলে ঠিক কবে নাগাদ আদানির বিদ্যুৎ দেশে আসবে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মূলত উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগের বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসন করার লক্ষ্য থেকেই আদানির বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত্প্রবাহ বাড়ানোও ছিল অন্যতম লক্ষ্য। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বাংলাদেশের ডেডিকেটেড একটি সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত হলেও বাকি রয়েছে বড়পুকুরিয়া-বগুড়া ও কালিয়াকৈর সঞ্চালন লাইন। এটির কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পিজিসিবি।

জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের কাজ চলছে। প্রতিটি ইউনিটের সক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট। এরই মধ্যে প্রথম ইউনিটের কাজ প্রায় শেষ। এখন প্রথম ইউনিটের কমিশনিং সংক্রান্ত কাজ চলছে। আগামী জুলাই অথবা আগস্টে প্রথম ইউনিট উৎপাদনে যাবে।

বাংলাদেশের জন্য আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ডে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে সেখান থেকে নিট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রেও আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে এ বিদ্যুৎ আমদানি করছে সরকার। আদানির বিদ্যুৎ দেশে আমদানির জন্য এরই মধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী মনাকষা থেকে রহনপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে পিজিসিবি।

এছাড়া এ বিদ্যুৎ উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগে সরবরাহের পাশাপাশি জাতীয় গ্রিড লাইনেও যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য বড়পুকুরিয়া থেকে বগুড়া হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পর্যন্ত ২৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বৃহৎ লাইন নির্মাণে ৩ হাজার ৩২২ কোটি টাকা ব্যয় করছে পিজিসিবি। তবে এ প্রকল্পে গতি না থাকায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে বলেও আশঙ্কার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণে চার ধাপে কাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনের পাশাপাশি সাবস্টেশন রয়েছে বেশ কয়েকটি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২০২২ সালের জুন নাগাদ এ প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি সাড়ে ১১ শতাংশ এবং আর্থিক কোনো অগ্রগতি নেই।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিজিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি হাতে নেয়ার পর এর প্রস্তুতিমূলক কাজেই প্রায় এক বছর শেষ হয়ে গেছে। এরপর করোনা মহামারী শুরু হলে প্রকল্পের কাজ থমকে দাঁড়ায়। মূলত প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগেই বিলম্ব হয়েছে বেশি। এছাড়া প্রকল্পের বড় একটি অংশে ভারতীয় অর্থায়ন থাকায় সেখানেও জটিলতা রয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার জন্য ২০১১ সালে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। মূলত এ চুক্তির লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতে ভারত সরকারের সহযোগিতা বাড়ানো। এরই অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে ভারতীয় বিদ্যুৎ খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের সঙ্গে সমঝোতা সই করে বিপিডিবি। এর মাধ্যমে ভারত থেকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে চুক্তি হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে বিপিডিবির সঙ্গে আদানির বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২৫ বছর মেয়াদি এ বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারিত হয় ৬ টাকা ৮৯০ পয়সা (৮ দশমিক ৬১২ সেন্ট)। যদিও বৈশ্বিকভাবে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এখন আর এ মূল্যে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিপিডিবি-সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



ইফতারের পর রাজধানীতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরছে। কিছু এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে শীতল বাতাসও। এতে শীত অনুভব হচ্ছে। তবে ঘরমুখো যাত্রী ও পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। মেঘের আড়ালে মাঝে মাঝে সূর্য উঁকি দিলেও গরমের প্রভাব ছিল না। ইফতারের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে শীলাও পড়তে দেখা যায়।

বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন ঘরমুখো মানুষ ও পথচারীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা গেছে, বৃষ্টি শুরু হলে অনেকে রাস্তার আশপাশের দোকানপাট, ভবন এবং বিভিন্ন স্থাপনার নিচে আশ্রয় নেন।

রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীতে বেশ গরম অনুভূত হচ্ছিল। রোজাদারদের জন্য কখনও কখনও তা বেশ কষ্টকরও হয়ে ওঠে। এর মধ্যে মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিরতি দিয়ে বৃষ্টি পড়ছে।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৫৬ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় রংপুরে ৩৪, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৫, নীলফামারির ডিমলায় ৩০ এবং রাজধানী ঢাকায় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং অন্যদিকে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি একটু কমতে পারে।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মেসেঞ্জারের সব ধরনের চ্যাট ও কলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থা চালু করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। মেসেঞ্জারে এর আগেও এনক্রিপশন ছিল, তবে তা নিজে থেকে চালু করতে হত। যার ফলে অনেক ব্যবহারকারী এ সম্পর্কে জানতেন না। অনেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও সঠিক অপশন খুঁজে না পেয়ে ব্যবহার করার সুযোগ পাননি।

এই ফিচারটি নিয়ে মেটা গত কয়েকবছর ধরে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করছিল। কিছু সংখ্যক মেটা ব্যবহারকারী ফিচারটি উপভোগও করছিলেন।

সম্প্রতি সকল ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হলো। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপের মতোই ফেসবুক চ্যাট ও মেসেঞ্জারের চ্যাট এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড হলো।

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ফেসবুক চ্যাট ও মেসেঞ্জার থেকে এই ফিচারটি চালু করতে কিছুই করতে হবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেটা ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের ফিচারটি চালু করে দিয়েছে।

বর্তমানে অনলাইনে নিরাপদ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এনক্রিপটেড মেসেজের সঙ্গে বিশেষ কোড যুক্ত করা থাকে। যার ফলে যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন, তিনি ছাড়া আর কেউ সে মেসেজ পড়তে পারেন না। প্রাপকের কাছে মেসেজ পৌঁছানোর পর স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় মেসেজটি 'ডিকোড' করে তাকে দেখানো হয়। কলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইরকম। এনক্রিপটেড কলে কোনো তৃতীয় পক্ষের আড়িপাতার সুযোগ নেই।

যার ফলে, প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া এই মেসেজ বা কলের বিষয়বস্তু অন্য কেউ জানতে পারেন নাএমন কী, ফেসবুক বা মেটা কর্তৃপক্ষও নয়।


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা, নিহত ১৯

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে আবারও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।

ইসরায়েল এর আগেও গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর এই ধরনের হামলা চালিয়েছে। যদিও সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর সর্বশেষ এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। রোববার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভূখণ্ডটির মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার মিডিয়া অফিস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একটি গণহত্যা চালিয়েছে। হাজার হাজার নাগরিক যখন আল-কুয়েত গোলচত্বরের কাছে আটা ও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিল তখন সেখানে হামলা চালিয়ে ১৯ জন হত্যা এবং আরও ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে আহত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ট্যাংকগুলো মেশিনগান দিয়ে অভুক্ত লোকদের দিকে গুলি চালায় যারা আটা এবং সাহায্যের ব্যাগগুলো নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেটিও আবার এমন একটি জায়গায় যা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য কোনও বিপদ সৃষ্টি করতে পারত না

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভারী গুলি চালানো হয়েছে এবং আহতদের নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার কারণে অনেককে বাইরে খোলা আকাশের নিচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। বাস্তবতা দুঃখজনক, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সাহায্যপ্রার্থী জনতার ওপর গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। এমনকি সাহায্য নিতে আসা এসব মানুষের ওপর গুলি চালানোর খবর ভুল বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) একটি ত্রাণবাহী গাড়িবহরের কাছে থাকা বহু সংখ্যক গাজাবাসীকে আক্রমণ করেছে বলে যেসব প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তা ভুল।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নির্ধারণ করা হয়েছে, কনভয়ের বিরুদ্ধে কোনও বিমান হামলা চালানো হয়নি এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে তেমন ঘটনাও পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



কাল খুলছে অফিস-আদালত, বাস-ট্রেনে শহরমুখী মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষ হচ্ছে। দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি চলছে। টানা পাঁচ দিন ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। এরইমধ্যে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা প্রতিটি ট্রেনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। প্রিয়জনের সঙ্গে সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরা সাধারণ মানুষ বলছেন নির্বিঘ্নে রাজধানীতে ফিরতে পারছেন তারা।

মাথায় কাজের তাড়না, মননে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সুখস্মৃতি। ফেলে আসা আপনজন আর ঈদের আনন্দ। সব পেছনে ফেলে আবারো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠবে রাজধানী। তবে স্কুল-কলেজ যেহেতু খুলছে আগামী সপ্তাহে, তখন রাজধানী স্বাভাবিকরূপে ফিরবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে যারা, নানা ব্যস্ততায় ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেতে পারেননি তারাও ছুটছেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




আজ থেকে যথা নিয়মে চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষে টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা আগের মতোই বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির এই গণপরিবহনে ভ্রমণ করতে পারবেন।

গত বুধবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমে বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে। গত বছরের ঈদেও বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল।

নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিনের বন্ধ। আর শুক্রবার তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুই দিন বন্ধ থাকবে। আগামী শনিবার থেকে যাথা নিয়মে চলবে মেট্রোরেল।

বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনে উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে যায়। দিনের শেষ ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়।


আরও খবর