আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়বে ৩৩ শতাংশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভর্তুকি ও ঋণ সার্ভিসিং এর স্ফীত চাহিদা মেটাতে আগামী অর্থবছরে (২০২২-২৩) সরকারকে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ৩৩ শতাংশ বেশি ঋণ নিতে হবে। আসন্ন অর্থবছরে এর পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। এই প্রাক্কলনের ফলে  আবারও বেসরকারি খাতের জন্য উপলদ্ধ ঋণ সরবরাহ কমে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্য ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এরমধ্যেই চলতি অর্থবছরে জ্বালানি ও সারের মতো খাতে বেড়েছে ভর্তুকির বিল। জুলাই থেকে শুরু হতে চলা নতুন অর্থবছরে তা আরও বাড়বে বলেই বোঝা যাচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি দিয়েও বাড়তি এ ব্যয়ের চাপ কমানো যাবে না, ফলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে ব্যাংকিং খাত থেকেই ঋণ নিতে হবে।

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ১,০১,৮১৮ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৮.৬০% বেশি। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক থেকে ৭৬,৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আদায়ে ১৫% প্রবৃদ্ধি হলেও সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তা মেটাতে সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক থেকে ৮৭,২৮৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির চলতি অর্থবছরের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাকে খুবই 'অস্বাভাবিক' বলে উল্লেখ করে বলেন, ব্যাংকখাত থেকে সরকারের এত বেশি ঋণ নেওয়া ঠিক হবে না। মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ নিতে অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারকে পরামর্শ দেন তিনি। তখন অর্থসচিব বলেন, আগামী জুন মাসে সরকার যেসব চেক ইস্যু করবে, সেগুলো জুলাই-আগস্টে ক্যাশ হবে। ওই সময় সরকারের একাউন্টে ব্যালেন্স ঋণাত্মক থাকে। তাই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েই তা পরিশোধ করতে হবে।

এবিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমানেই ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটের মুখে রয়েছে, এরমধ্যেই কলমানি রেট বেড়ে ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এই বাস্তবতায় সরকারের বিপুল ঋণ চাহিদা মেটাতে টাকার সরবরাহ বাড়ানো হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ঋণ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নেওয়ার প্রথা সেরকম নেই, তাছাড়া এটি ভালোও নয়। জিম্বাবুয়ে এ কাজ করেছে, শ্রীলঙ্কার সরকারও করেছে- উদাহরণ দিয়ে জানান তিনি। 

ব্যাংক থেকে আরও ঋণ কেন নিতে হবে?

আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত ৬,৭৭,৮৬৪ কোটি টাকার বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ২,৪৪,৮৬৪ কোটি টাকা। বাকি ৪,৩৩,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ১২.২৯% বাড়লেও মোট বাজেট ঘাটতি বাড়ছে ১৪.০৬%। অর্থাৎ, সরকারের ব্যয় যে হারে বাড়ছে, রাজস্ব আয় তার তুলনায় কম বাড়ায়, বাজেট ঘাটতি বাড়ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যাপক বিভাগের শিক্ষক রাশেদ আল তিতুমীর বলেন, সরকার যতদিন প্রত্যক্ষ আয়কর থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে না পারবে এবং মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট)  উপর নির্ভর করবে, ততোদিন সরকারের বাজেট ঘাটতিও বাড়বে। আর এই ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার সবচেয়ে সহজ পন্থাটি বেছে নিচ্ছে, তা হলো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যদি তা বেতন-ভাতা বা সুদ পরিশোধের মতো খাতে ব্যয় করা হয়, তাহলে খুবই উদ্বেগজনক হবে।

বাজেট ঘাটতি বাড়লেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সরকারের ব্যয় সে তুলনায় বাড়েনি। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাজস্ব আয় না বাড়লেও সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা, ঋণের কিস্তি ও ভর্তুকি ব্যয় বাড়ার কারণে ঘাটতি অর্থায়ন বাড়ছে। আগামী অর্থবছর বেতন-ভাতায় ৭৬,৪১২ কোটি, সুদ পরিশোধে ৮০,২৭৫ কোটি  এবং ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণে ৮২,৭৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই তিনখাতে মোট ব্যয় হবে ২,৩৯,৪৩২ কোটি টাকা, যা বাজেটের ৩৫.৩২%।

২০১৯-২০ অর্থবছরে কোভিড সংক্রমণে রোধে ঘোষিত লকডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সব ধরনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে, দেশের ইতিহাসে রাজস্ব আদায় প্রথমবারের মতো ঋণাত্বক হয়ে পড়ে। তখন বেতন-ভাতাসহ সরকারের নিয়মিত ব্যয় মেটাতে ৭৯,২৬৮ কোটি ঋণ নিতে হয়,  টাকা ব্যাংকঋণ করতে হয়, যা ছিল জিডিপির ২.৮০%। অবশ্য পরের বছর এ হার কমে ০.৯০% এ নামে।     এক দশক ধরে সরকারের ঋণ ব্যাংক নির্ভরতা কমে আসছিল। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক থেকে মাত্র ৫১৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল, এর এক বছর পর সরকারের ব্যাংক ঋণ ঋণাত্বক হয়ে পড়ে। ওই বছর ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের চেয়ে ৮,৩৮৯ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করে সরকার। ২০১৭-১৮ অর্থবছর ব্যাংক থেকে প্রথমবারের মতো জিডিপির ১% এর বেশি ঋণ নেয় সরকার, যার পরিমাণ ছিল ২৯,৪৭৯ কোটি টাকা।

উচ্চ সুদের সঞ্চয়পত্রে বিপুল বিনিয়োগের কারণে ওই সময় সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা একদমই কমে গেলেও সরকারের সুদ ব্যয় বাড়ছিল। পরে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। কিন্তু কম সুদের বিদেশি ঋণ খরচের সক্ষমতা না থাকায় সরকারের ব্যাংকঋণ নির্ভরতা বাড়তে থাকে। 

অসম-প্রতিযোগিতায় বেসরকারি খাত কি বঞ্চিত হবে? 

আবার, বেসরকারি বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৪.৯%-এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করছে অর্থ বিভাগ। এতে বেসরকারিখাতে প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এজন্য বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহে ১৫% প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করা হচ্ছে। সরকার নিজেই বিপুল পরিমাণ ঋণ নিলে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ বাড়িয়ে বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো। আর এসব খাতের উদ্যোক্তারাই ব্যাংক থেকে ঋণ পেয়েছেন সবচেয়ে কম। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বেড়ে গেলে এসএমই খাতের উদ্যোক্তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।  কোভিডের ধাক্কা সামলে শিল্প খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনা, সম্প্রসারণ, কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির ব্যয় মেটাতে এখন বাড়তি অর্থের প্রয়োজন। এ অবস্থায় বেসরকারি খাতে ঋণের সুযোগ কমে আসলে করোনা থেকে ব্যবসাবাণিজ্যের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা। সরকারি ঋণে প্রক্রিয়াগত জটিলতা না থাকায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা সব সময় সরকারকে ঋণ দিতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে। সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বাড়লে এর প্রভাবে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর টিবিএসকে বলেন, বর্তমানে আমানত প্রবৃদ্ধি ভালো নয়। আগামী অর্থবছরও এটি ভালো হবে বলে মনে হয় না। মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণে মানুষের সঞ্চয় কমে যাচ্ছে, যা আগামী বছরও অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় নতুন অর্থবছরে সরকার এত বেশি ঋণ নিলে বেসরকারিখাতে 'ক্রাউড-আউট' পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। 

তবে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় অর্থসচিব বলেন, টানা তিন বছর ধরে ১৪.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকলেও গত দুই বছর ধরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮-৯ শতাংশের মধ্যে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৮৭%। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ ও ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল। এ অবস্থায় কোনো খাতে নতুন বিনিয়োগ হবে না। দেশেও গ্যাসের রেশনিং শুরু হয়েছে, আগামীতে হয়তো গ্যাস-বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে কেউই নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না।

স্বল্প-সুদের ঋণ বাড়ছে না

বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ ঠিক রাখা ও সরকারের সুদ ব্যয় কমাতে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা কম সুদের বিদেশি ঋণ গ্রহণের উপর গুরুত্ব দিলেও; নতুন অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাড়ছে না। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,০৩,০৪৬ কোটি টাকা, এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটের লক্ষমাত্রার তুলনায় মাত্র ১.৮০% বেশি।

অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈদেশিক ঋণ পেলেও, বাস্তবায়ন সক্ষমতার অভাবে বিদেশি ঋণ খরচ করতে পারে না বাংলাদেশ। প্রতিবছরই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে বৈদেশিক ঋণের অংশ কমিয়ে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ বাড়ানোর চাহিদা আসে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষমাত্রা ছিল ১,০১,২২৬ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ৮০,২১২ কোটিতে নামানো হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের ব্যয় যে হারে বাড়ছে, তাতে উচ্চ সুদের দেশি ঋণের বদলে কম সুদের বিদেশি ঋণ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু বিদেশি ঋণ ব্যবহারে বৈশ্বিক দাতা সংস্থাগুলোর কঠোর কড়াকড়ি ও বিদেশি ঋণ ব্যবহারে দক্ষতার ঘাটতির কারণে সে সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার বেশি সুদের সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ইতিবাচক। কিন্তু ব্যাংক থেকে অধিক ঋণ নিলেও সরকারের সুদ ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। তাই, সরকারের উচিত হবে বেশি করে বিদেশি ঋণ নেওয়া। কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, এডিপির আকার সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি বাড়লেও বিদেশি সহায়তা খাতে বাড়ছে মাত্র ৫ শতাংশ। এ অবস্থায় বিদেশি ঋণের ৫০ বিলিয়ন ডলারের পাইপলাইন থেকে বছরে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার করে ব্যয় করতে পারলে বাজেটে চাপ কমবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন সভায় বলেন, সুদের হার বিবেচনা করলে এখনও বিদেশি ঋণ বেশি সাশ্রয়ী। তবে ঋণচুক্তি হওয়ার অনেক পরেও বেশ কিছু জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় না। এর ফলে সরকারকে 'কমিটমেন্ট ফি' দিতে হয়। আবার রেয়াতকাল শেষ হয়ে ঋণ পরিশোধ শুরু হলেও, অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না। বিদেশি ঋণের ব্যবহার বাড়লে আরও বেশি প্রকল্প নেওয়া যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বাজেট

আরও খবর



লিচুতে অনেক উপকার, তবে যে কারণে আছে ক্ষতির ঝুকি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাজারে এখন ফলের সমাহার। হরেক রকম দেশি ফলের ঘ্রাণে সুরভিত আশপাশ। পাকা আমের সঙ্গে রসালো টসটসে লিচু আমাদেরকে আকৃষ্ট করে। এসব দেশি ফল যেমন মুখরোচক সঙ্গে রয়েছে নানা গুণে সমৃদ্ধ। লিচু আমাদের শরীরের হাজারো উপকার করে। তবে এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা নয়।

লিচুতে যত উপকার

লিচুতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, নানা খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ফলেট যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। রয়েছে এনটিঅক্সিডেনট যা আমাদের ত্বকের উজ্জল্য বৃদ্ধি করে।

লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যেটি আমাদের রক্ত ও নালীর চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি করে। তাই লিচু সেবনের একটি উপকার হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা।

ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস থেকে আমরা রক্ষা পাই।

মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে

১) রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়। লিচু আমাদের রক্তের গ্লুকোজ কমাতে সহায়তা করে। তাই পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললে তা হাইপোগ্লাইসেমিয়া করতে পারে বিশেষত ইফতারের সময় এমনটি করলে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, যারা ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করেন, তারা লিচু গ্রহণে সাবধান থাকা উচিত। কারণ ওষুধ এমনিতেই রক্তে গ্লুকোজ কমিয়ে রাখে সঙ্গে লিচুও যদি একই কাজ করে তাহলে যেকোনো বিপত্তি ঘটতে পারে। ছোট বাচ্চারা লিচু গ্রহণ করলে কোনও অবস্থাতেই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে এতে।

২) রক্তচাপ পড়ে যাওয়া- মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে। লক্ষণ হিসাবে শ্বাসকষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, মাতাহ ঘুরানো, বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।

৩) লিচু একটি গরম ফল- গরম ফল হওয়াতে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার ব্যালেন্স নষ্ট হয় ফলে গলা ব্যাথা হওয়া, মুখের ভিতরে ক্ষত হওয়া এমন কি নাক দিয়ে রক্তপাতও হতে পারে বিশেষ করে আমাদের দেশের বর্তমান আবহাওয়ার কারণে।

৪) লিচু খেলে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে- লিচু একটানা বেশ কয়েকদিন পরিমানের বেশি লিচু খেলে নানা রোগ যেমন রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরসিস, লুপাস ইত্যাদি রোগ থাকলে তা বেড়ে যেতে পারে অতিমাত্রায় আমাদের ইমিউনিটি বেড়ে যাওয়ার ফলে।

৫) সার্জারির রোগীদের অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ঝুঁকি: রক্তচাপ এবং রক্তের গ্লুকোজের ওপর সরাসরি প্রভাব থাকাতে যাদের সার্জারির প্রয়োজন তারা সার্জারির পূর্বের দুই সপ্তাহ এবং পরের দুই সপ্তাহ লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

৬) লিচু ওজন বৃদ্ধি করে- প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ ক্যালোরি রয়েছে। পরিমাণে বেশি লিচু খেলে তাই যে পরিমাণ ক্যালোরি জমা হয় তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে তাতে আমাদের ওজন বেশ ভালোভাবেই বৃদ্ধি পায়।

৭) অন্যন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি- লিচুতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জরুরি ফ্যাটি এসিড নেই। ফলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে।


আরও খবর



রাজধানীতে ফুটপাত বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নানা শ্রেণিপেশার মানুষের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত, অবৈধভাবে দখল ও বিক্রির সঙ্গে কারা কারা জড়িত তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ফুটপাত বিক্রি ও অবৈধ দখলকারীদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা আগামী ১৩ মে অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আরও খবর



প্রেম ও বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন ইশা সাহা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন ইশা সাহা। সোয়েটার সিনেমার প্রেমে পড়া বারণ গানটির মাধ্যমে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। একের পর সিনেমা এবং ওয়েব কনটেন্টে কাজ করছেন তিনি। এবারে এই অভিনেত্রী প্রেম এবং বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

কিছুটা বিরতি নিয়ে ওয়েবের কাজে ফিরলেন ইশা সাহা। পাশবালিশ নামে একটি সিরিজে অভিনয় করেছেন। সঙ্গে সৌরভ দাস ও সুহোত্র মুখার্জি। আগামীকাল (১০ মে) সিরিজটি মুক্তি পাচ্ছে জি-ফাইভে। এই কাজের সূত্র ধরেই  গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ইশা। 

বছর দুয়েক আগে গুঞ্জন ছড়ায় যে, অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করছেন ইশা। এ কারণেই ইন্দ্রনীলের এক যুগের সংসারে ভাঙন ধরছে। সম্পর্ক কি এখনও আছে এই প্রশ্নের জবাবে ইশা বলেন, সম্পর্ক আছে না নেই সেটা দূর থেকে অনুমান করে লোকে। বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের কথা বাদ দিন, পাশের বাড়ির কাউকে নিয়েও এই আলোচনা হয়। অনুমান, মুখরোচক আলোচনা ঠিক আছে, কিন্তু আপনি আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন না। বিবৃতি আমি দেবো বা আমার যার সঙ্গে নাম জড়াবে, তিনি দেবেন। আপনি তো তৃতীয় ব্যক্তি।

সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাননি অভিনেত্রী। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেন নি। অভিনেত্রীর ভাষ্য, যার সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হয়েছিল, তার সঙ্গে আমার কিছু থাকতেও পারে, আবার না-ও থাকতে পারে। বলার আগে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে তাদের। আন্দাজে ঢিল ছুড়লে ভিমরুলের কামড় খেতে হবে।

তবে প্রেম ও বিয়ে নিয়ে ইশার মনোভাব স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, এই সময়ে কেউ প্রেম করলে সেটা আর গোপন রাখা সম্ভব হয় না। নিজ থেকে সম্পর্কের কথা সময় নিয়ে, ভেবে-চিন্তে জানাবেন বলেন তিনি। ইশা বলেন, আমি চিরাচরিত চিন্তাধারায় বিশ্বাসী নই। ভালোবাসাটাই মূল বিষয়। সেটা না থাকলে বিয়েটার কোনও দাম নেই। বিয়ে আছে, প্রেম নেই, এ রকম জীবনের কোনও মানে হয় না। বিয়ে টিকিয়ে রেখেছি বলে চিৎকার করে কোনও লাভ নেই।প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময়ে হয়েই যাবে। দুটো সই করার ব্যাপার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রজাপতি বিস্কুট দিয়ে সিনেমায় অভিষেক হয় ইশার। এরপর তাকে দেখা গেছে গুপ্তধনের সন্ধানে, সোয়েটার, দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। ওয়েব দুনিয়াতেও সমাদর আছে এই অভিনেত্রীর। 

নিউজ ট্যাগ: ইশা সাহা

আরও খবর



গরমে তালের শাঁসের যত উপকারিতা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখে তালের শাঁস। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও সমাধান করে এই ফল।

জানেন কি, তালের শাঁসে থাকে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিংক ও ফসফরাস। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস নানা রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। জেনে নিন এই ফল কোন কোন রোগ সারায়-

১. এই ফল শরীরে শক্তি জোগায় ও দৈহিক তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলেই শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।

২. শরীরকে আর্দ্র রাখতেও তালের শাঁস বিশেষ উপকারী। তবে গরমে এই ফল বেশি খেলে আবার পেট গরম হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো।

৩. পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা, পেট গরমভাব ও জ্বালাপোড়া কমায় এই ফল। এই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দূর করে।

৪. বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই ভুগছেন লিভারের সমস্যায়। জানেন কি তালের শাঁস লিভারের সুরক্ষায় কাজ করে। লিভারের উপর এটি পাতলা আস্তরণের মতো কাজ করে।

৫. গরমে হাত পায়ে চুলকানি কিংবা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এমনটি ঘটে। এ সমস্যারও সমাধান করে তালের শাঁস। তাই গরমে দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাখুন তালের শাঁস।

নিউজ ট্যাগ: তালের শাঁস

আরও খবর



ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে নতুন দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় মাদারীপুরের শিবচর স্টেশন থেকে ট্রেন দুটির উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। আগামীকাল রবিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন দুটি চলাচল করবে।

গতকাল শুক্রবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা ইফতেখার আলম রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা ননস্টপ চন্দনা কমিউটার সার্ভিস রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৫টায়। ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। এরপর এই ট্রেনটি ভাঙ্গা কমিউটার নামে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। আর ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৯টায়।

ফিরতি যাত্রায় ভাঙ্গা কমিউটার ঢাকার কমলাপুর থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়। ভাঙ্গায় গিয়ে পৌঁছাবে রাত ৮টায়। এরপর এই ট্রেনটি চন্দনা কমিউটার নামে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাবে রাত ৮টা ১০ মিনিটে।

আর রাজবাড়ী স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। ট্রেনটিতে ৫২৮টি শোভন শ্রেণির আসন আছে।

গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের (পশ্চিম) পক্ষ থেকে সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়ালের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে এক জোড়া এবং অপারেশনাল সুবিধার্থে একই রেক দ্বারা রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করার জন্য মতামত পেশ করা হলো।

একই রেক দিয়ে পরিচালিত হলেও এই ট্রেন দুটির নাম হবে আলাদা। এর মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে চন্দনা এক্সপ্রেস।

উল্লেখ্য, চন্দনা ও ভাঙ্গা এক্সপ্রেস ট্রেনে ২৪টি প্রথম, ৪৪টি শোভন চেয়ার ও ৪২৪টি শোভন শ্রেণির আসন ব্যবস্থা থাকবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।


আরও খবর