বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কারো পক্ষ নিবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রোববার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
পিটার হাস বলেন,
অর্থনীতিতে উন্নয়ন এবং ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব দিনদিন
বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক
ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।
তিনি বলেন,
যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলের অগ্রগতিতে এবং উভয় দেশের প্রতিবন্ধকতা
মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে প্রয়াস চালিয়ে যাবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত
তারিক এ করিম বলেন, বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয় বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল
অর্থনীতি। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন কারণ আমরা কি করছি, কোথায় অবস্থান করছি,
এজন্যই। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দুই দেশেরই সম্পর্ক ভালো হচ্ছে। কিন্তু দুই দেশের একসঙ্গে
কাজ করার আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত
হুমায়ুন কবীর বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবসময় দ্বিপক্ষীকভাবে সম্পর্ক অব্যাহত
রাখতে চেয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সঙ্গে
সঙ্গে আরও কিছু যোগ করতে চেয়েছে। তারপরেও দুই দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু সংকট
মোকাবিলা, সন্ত্রাস দমন থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল।
সাবেক নির্বাচন
কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও শান্তিরক্ষী
বাহিনীতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। বেশ
কিছু সামরিক মহড়া দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে, এর মধ্যে সমুদ্রসীমা অন্তর্ভুক্ত
রয়েছে।
বিআইআইএসএস
এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রোকসানা কিবরিয়া মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
আরও বক্তব্য
রাখেন বিআইআইএসএস এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন
মন্ত্রণালয়, সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বৈদেশিক দূতাবাসের প্রতিনিধি, সাবেক কূটনীতিক,
উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, একাডেমিয়া, সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,
আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের প্রতিনিধিরাও তাদের মতামত তুলে ধরেন।