আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধ ৭

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাতবোমার আঘাত ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও ফারুক মাদবর গ্রুপ এবং জলিল মাদবর ও সালেক মাদবর গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো। গত নির্বাচনে কুদ্দুস বেপারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সালেক মাদবর ও জলিল মাদবর গ্রুপের লোকজন এলাকা ছাড়া হয়। তবে কিছুদিন ধরে তারা বাড়িতে আসার চেষ্টা করছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকালে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে এক পক্ষের নেতৃত্বে থাকা সালেক মাদবর ও জলিল মাদবর বলেন, বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই কুদ্দুস বেপারী ও ফারুক মাদবরের লোকজন আমাদের ভোটার-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে মারধর করে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে। সর্বশেষ আমরা প্রশাসনের আশ্রয় নিলে তারা আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে চলে আসার জন্য বলেন। তারা বাড়িতে আসলেই কুদ্দুস বেপারী ও ফারুক মাদবরের লোকজন আমাদের ওপর এই অতর্কিত হামলা চালালে সংর্ষের সৃষ্টি হয়।

অপরপক্ষের নেতৃত্বে থাকা চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও ফারুকের বক্তব্যের জন্য বার বার ফোন দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিলাসপুরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ এড়াতে ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। সন্দেহভাজন ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখির তাণ্ডব: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট ও সুনামগঞ্জে রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় এ শিলাবৃষ্টি। একেকটি শিলা ছিল বিশাল আকারের। চৈত্রের শেষে এমন শিলাবৃষ্টি বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টির পর থেকে সিলেটের প্রায় সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সিলেটে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলমান রয়েছে। কারো এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে থাকলে বা ব্যানার ফেস্টুন অথবা গাছের ডাল-পালা বৈদ্যুতিক লাইনে পরে থাকলে তাদের অবগত করতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, রবিবার তারাবীর নামাজের পর সিলেট মহানগরসহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এরপর শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ফলে রাস্তায় থাকা সাধারণ মানুষ, পথচারী ও ঈদের কেনাকাটায় যাওয়া লোকজন বিপাকে পড়েন। শিলায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একেকটি শিলা আকারে অনেক বড় বড় ছিলো।

এর আগে সিলেটে এরকম শিলাবৃষ্টি দেখা যায়নি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন অনেকেই। অনেকেই গাড়ি ভাংচুরের ছবি আপলোড দিয়েছেন। কারও কারও বাসার টিনের চালা ফুটো ও জানালার কাঁচের গ্লাস শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া অনেকের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক ও পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানা গেছে। আহত হয়েছেন খোলা জায়গায় ও রাস্তায় অবস্থান করা কেউ কেউ।

সিলেট মহানগরের টিলাগড় এলাকায় ঝড়ে আটকা পড়া বেসরকারি চাকরিজীবি সিরাজ উ্দ্দিন বলেন, যে বড় আকারের শিলা পড়েছে; তা আমরা ছোটবেলায় দেখেছি। এত বড় আকারের শিলাবৃষ্টিতে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউনিয়নের পশ্চিমদর্শা এলাকায় একটি গ্যাসের রাইজারে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া এলাকায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অপরদিকে, সুনামগঞ্জে ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে হাওরের আগাম জাতের ধানের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন- ঝড়ে পাগলা বাজারের টিনশেডের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সুনামগঞ্জ শহরের ইকবালনগরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানচলাচল বন্ধ ছিল। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাত সোয়া ১১টায় আবারও বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

ঝড়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাগলা, কান্দিগাঁও, আসামপুর, বাঘেরকোনাসহ একাধিক গ্রামের অন্তত ২০ টি কাঁচা, আধাপাকা ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাগলাবাজারের। বাজারে সড়কের দুইপাশের অস্থায়ী দোকানপাট ঝড়ের বেগে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

এদিকে, সুনামগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি এলাকায় চলন্ত সিএনজির উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় চালকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বৈষভেড় গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের হাছন তোরণ এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙ্গে সড়কে পড়ায় দুইপাশের পরিবহন আটকে তীব্র জানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টা ব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের চেষ্টায় সড়কে জান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. নিরুপন রায় চৌধুরী বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৫ জন রোগী আসেন। তাদের মধ্যে সাদ্দাম নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। রয়েল নামের আরেক যুবক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ঝড়ের সঙ্গে মাঝারি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে হাওরের আগাম ধানের জাতের কিছু ক্ষতি হতে পারে। আমরা সব জায়গায় খবর পাঠিয়েছি। তবে এখন হাওরে ফসলের ক্ষতি তেমন হবে না বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, রাত সোয়া ১০টায় তীব্র বেগে ঝড় আসে। সঙ্গে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝড়ে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের কেনাকাটা করে ফেরা হলো না মা-ছেলের

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় একই পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন উপজেলার উত্তর উল্যাবাজার এলাকার আব্দুল আজিজের স্ত্রী শান্তা বেগম (৩৬) ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম (১৪)।

রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাঘাটা-গাইবান্ধা আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার বিলবস্তা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী বগুড়া থেকে ঈদের কেনাকাটা শেষে সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে একই পরিবারের পাঁচজন উপজেলার উল্যাবাজারের নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। অটোরিকশাটি সাঘাটা-গাইবান্ধা আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার বিলবস্তা নামক এলাকায় পৌঁছলে রাস্তার পাশে রাখা মিস্কার ঢালাই মেশিনের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ওই পরিবারের পাঁচজনই গুরুতর আহত হন।

তাদের উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তির পরামর্শ দেন। অ্যাম্বুলেন্স যোগে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৩টার দিকে মা-ছেলে দুজনই মারা যান।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সারাবিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটি খুবই দুঃখজনক।

রোববার গণভবনে ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি এক ধরনের ভন্ডামি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য।

শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন। তিনি গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে মিশরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আওয়াজ তুলেছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রাত ১টার মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৪টা থেকে রাত ১টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে  ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এদিন (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (২-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ; বরিশাল, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলাসহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।


আরও খবর



গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার বিএনপি নেতা বাবু গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা সৃষ্টির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩।

র‍্যাব এক বিবৃতিতে জানায়, রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও এলাকায় ২০১২ সালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে ব্যাপক নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায়। উক্ত ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার ২০১২ সাল থেকে পলাতক এজাহার নামীয় কুখ্যাত আসামী রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণ বাসাবো এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবু (৫২)-কে গ্রেফতার করা হয়।

বিবৃতিতে আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালায়। উক্ত সময় সেখানে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস আসলে রাস্তা অবরোধ করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাড়ি থামিয়ে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার এবং গাড়ির যাত্রীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখে গাড়ির যাত্রী এবং এলাকার সাধারণ লোকজন উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লাঠি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে কিছুসংখ্যক সাধারণ লোকজন গুরুতর আহত হয়। গাড়ী ভাংচুরের শিকার ড্রাইভার বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

গ্রেফতারকৃত কাজী বাবু ২০১২ সালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার ৪নং ওয়ার্ড এর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিল। উক্ত সময়ে তার নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একাধিক নাশকতা কার্যক্রম চালায়। সে ২০১৩ সালের নাশকতা মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ২০ দিন জেল খেটে  জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তির পর থেকেই ধৃত আসামী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছে। উক্ত মামলায় কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য পলাতক সকল আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত কাজী বাবুর বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় ০৩ টি নাশকতা মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‍্যাব।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪