আদালতে বড় ধাক্কা
খেলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্পত্তির দাম বাড়ানো মামলা গ্রহণ
করেছেন নিউ ইয়র্কের আদালত।
জানা গেছে,
ব্যাংকে এবং বীমায় নিজের সম্পত্তির দাম বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ট্রাম্প। মূলত ঋণ পাওয়ার
সুবিধার জন্য এই কাজ তিনি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিউ ইয়র্কের আদালতে এ বিষয়ে মামলা
দায়ের হয়েছিল। আদালত জানিয়েছে, মামলাটির শুনানি হবে। অর্থাৎ, মামলাটিকে গ্রহণ করেছে
আদালত। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে নিউ ইয়র্কে ব্যবসা করার অধিকার হারাতে পারেন সাবেক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আগামী সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে মঙ্গলবারে ৩৫ পাতার মন্তব্যে নিউ ইয়র্ক আদালতের বিচারক আর্থার এনগোরোন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কাগজপত্রে জালিয়াতি আছে। তিনি বলেছেন, নিজের ব্যবসার জন্য ট্রাম্প যে কাগজপত্র তৈরি করেছেন, তাতে স্পষ্ট গণ্ডগোল আছে।
আরও পড়ুন>> ইরাকে বিয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত বেড়ে ৪৫০
এখানেই শেষ
নয়, তার বক্তব্য, ভাড়ার জন্য রেগুলেটেড অ্যাপার্টমেন্ট এবং আনরেগুলেটেড অ্যাপার্টমেন্টের
মূল্য এক। রেস্ট্রিক্টেড জমি এবং আনরেস্ট্রিক্টেড জমির মূল্য এক। বিচারকের ভাষায়, “এ কেবল আরব্যরজনীতেই সম্ভব, বাস্তব
জগতে নয়।”
নিউ ইয়র্কের
অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতে বলা
হয়েছিল, ব্যাংকে এবং বীমা সংস্থাকে ট্রাম্প নিজের সম্পত্তির যে হিসেব দিয়েছেন, তাতে
তার মূল্য অন্তত দুই দশমিক দুই তিন বিলিয়ন ডলার বেশি দেখানো হয়েছে। লোন পেতে সুবিধা
হবে বলেই এভাবে নিজের সম্পত্তির মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ট্রাম্প, যা আইন বহির্ভূত।
আগামী সপ্তাহে
দোষী প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের বেশ কিছু ব্যবসার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। নিউ ইয়র্ক
থেকে তাকে ব্যবসা গোটাতে হতে পারে। তবে এই মামলার জন্য আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব
পড়বে না বলেই বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার দৌড়ে
আছেন ট্রাম্প। দোষী প্রমাণিত হলেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।