বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলায় ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ
দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছেন।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর
বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের আদালতে আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায়
পরীক্ষায় এ কথা বলেন।
এদিন বিচারক আসামিদের দোষী কিংবা নির্দোষ
প্রশ্ন করলে, আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এর আগে মামলার ২২ আসামিকে আজ সকালে কারাগার
থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তিন আসামি আগে থেকেই পলাতক।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা
হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন
আবরারের বাবা।
এ মামলায় আসামিরা হলেন—বুয়েট ছাত্রলীগের
বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ,
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন
ওরফে শান্ত, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা, উপসমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল,
ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ
মুন্না, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মো. মুজাহিদুর রহমান,
মো. মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ,
শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর
রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান
মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
আসামিদের মধ্যে মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান
মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ পলাতক। বাকি ২২ জন গ্রেপ্তার
আছেন। এ মামলায় আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
করোনাভাইরাসের কারণে আদালতের কার্যক্রম
বন্ধ থাকায় মামলার বিচারকাজ অনেকদিন বন্ধ ছিল।