আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

আবারও দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের ঠিক আগে এই পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া দুটি অচিহ্নিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে এর বেশি কিছু জানাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। তারা জানিয়েছে, আরও বিশ্লেষণ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে।

এদিকে, জাপানের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ধারণা করছি, দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র দুটি সাগরে পড়েছে। 

আরও পড়ুন>> লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় প্রাণহানি ৫ হাজারের বেশি

এই পরীক্ষা এমন এক সময় চালানো হলো, যখন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন রাশিয়া সফরে রয়েছেন এবং আজ তাঁর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। কিমের এই সফরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। কারণ এই সফরে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এই সফরে কিমের সঙ্গে তাঁর দেশের একাধিক শীর্ষ জেনারেল সঙ্গী হয়েছেন।

এর আগে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। বিষয়টি নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া মূলত শত্রুদের হুমকি দিতেই পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। বিশেষ করে যদি কখনো যুক্তরাষ্ট্র কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যায়, সে ক্ষেত্রে সামরিকভাবে নিজেদের সক্ষমতা এগিয়ে রাখতেই এই মহড়া। 

আরও পড়ুন>> মরক্কোর ভূমিকম্পে বিস্মিত গবেষকরা

ক্ষেপণাস্ত্র দুটি কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। পরে সেগুলো উপকূল থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পশ্চিম সাগরের দেড় শ ফুট ওপরে নির্ধারণ করা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। বিগত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। এর আগে গত মাসে দেশটি একটি স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়।


আরও খবর



মেসির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির জোড়া গোলে নাশভিলের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। মেসির জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

রবিবার ভোরে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নামে ইন্টার মায়ামি ও নাশভিল। মায়ামির ৩-১ গোলে জয়ের এই ম্যাচে মেসি ছাড়া দলের পক্ষে অন্য গোলটি করেন সার্জিও বুসকেটস।

আটবারের ব্যালন ডিঅর বিজয়ী মেসি এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা জুড়ে ৯টি খেলায় নয়টি গোল করেছেন।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মায়ামিকে। দলটির ডিফেন্ডার ফ্রাঞ্চো নেগ্রির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় নাশভিল। অবশ্য মেসির জাদুতে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। খেলার ১১ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত এক গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টাইন তারকা ব্যবধান সমান করেন।

প্রথমার্ধেই মায়ামি লিড গোলের দেখা পেয়ে যায়। ৩৯ মিনিটে মেসির কর্নার কিক থেকে হেডের মাধ্যমে গোলটি করেন বুসকেটস। এরপরে লিড নিয়েই এগিয়ে যায় মেসি বাহিনী। ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এলএমটেন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি।


আরও খবর



শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



সাগর থেকে বাংলাদেশের ২৭ জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় সীমানায় ভাসতে থাকা বিকল বাংলাদেশি ফিশিং বোট এফভি সাগর-০২-এর ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া হতে এফভি সাগর-০২ নামক একটি ফিশিং বোট ২৭ জন জেলেসহ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হঠাৎ বোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং স্রোতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে।

বিষয়টি ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা দ্রুত জেলেসহ বোটটিকে উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে।

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ ২৭ জন জেলেসহ বোটটিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে।


আরও খবর



৫১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারঘোষিত ছুটি শুরু হওয়ার একদিন আগেও দেশের ৫১ শতাংশের বেশি মিল-কারখানা এখনো কর্মচারীদের মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।

তাদের তথ্যে দেখা গেছে, ৯ হাজার ৪৬৯ কারখানার মধ্যে ৪ হাজার ৮৪৯টি সোমবার পর্যন্ত মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের তথ্যানুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা চার হাজার ৬২০টি মিল ও কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। কারখানা ও মিলগুলো আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নরসিংদীর শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত।

অন্যদিকে, ঈদের আগে বোনাস পরিশোধ করেছে ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কারখানা, যেখানে ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক হাজার ৭৬৬টি মিল-কারখানা এখনো বোনাস দেয়নি।

এক বিবৃতিতে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১১৬টি মিল ও কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করবে না এবং ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বা তিন হাজার ৩৮১টি মিল ও কারখানা ইতোমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে। গতকাল পর্যন্ত ৬৩১টি মিল ও কারখানা বন্ধ ছিল এবং ৭১টি আংশিকভাবে খোলা ছিল।

গত ২৭ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ঈদের ছুটি শুরুর আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

শ্রম মন্ত্রণালয়ে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তখন কোনো নির্দিষ্ট তারিখের কথা না বললেও ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর আগেই অর্থ পরিশোধ করার কথা বলেন তিনি।


আরও খবর