
একদিনের ব্যবধানে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকার নাম। রোববার সকাল
পৌনে ৮টায় বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৬৭ স্কোর। বায়ুর
মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
এ তালিকায় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৬২ ও ১৬১ একিউআই নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এর আগে শনিবার (২৭ মে) ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯২, সে অনুযায়ী বাতাসের মান ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় ছিল।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। ১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ‘শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে’
সাধারণত একিউআই
নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক
৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বস্তুকণা পিএম-২.৫
হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন- প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের
সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ
কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে
তৈরি হয়।
পরিবেশ অধিদফরের
গবেষণায় প্রকাশ, ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটার ধোঁয়া ৫৮ শতাংশ দায়ী। বাকি ৪২ শতাংশের
জন্য দায়ী নির্মাণ ও মেরামতকাজের সঙ্গে আসা ধুলা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন থেকে বের
হওয়া ধোঁয়া।