আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আবারো ফুঁসে উঠলেন মমতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি নিয়ে এবার মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার নবান্নে এ নিয়ে কড়া ভাষায় তিনি বলেন, কোনো রকম ডিভাইড অ্যান্ড রুল আমরা করতে দেব না। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া এ সব করা যায় না।

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোকে নিয়ে পৃথক রাজ্য করার দাবি উঠতে শুরু করেছে বিজেপির অন্দরমহল থেকে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্টও হয়েছে। বিগত দিনে পৃথক রাজ্যের দাবিতে কেপিপি, জিসিপিএ, মোর্চার আন্দোলন দেখেছে উত্তরবঙ্গ।

এবার উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার নতুন দাবি তুলছে বিজেপি। তারই পরিপ্রক্ষিতে সোমবার ফুঁসে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি বলেন, মনে হচ্ছে যেন মহারাণী নিজেই যেন নিজের ঘরের অলঙ্কার বিলি করছেন। যেন দেশটাকে এমন মনে করছে বিজেপি। এত সহজ? উত্তরবঙ্গ আর দক্ষিণবঙ্গের পার্থক্যটা কোথায়। পশ্চিমবঙ্গ ইস পশ্চিমবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। উত্তরবঙ্গও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। কোনো রকম ডিভাইড অ্যান্ড রুল করতে দেব না।রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া এসব হবে না।

মমতা বলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানে কী? কাশ্মীরের মতো নজরবন্দি করে রাখা? মুখ বন্ধ করে রেখে দেওয়া? তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া? বাংলাটাকে টুকরো টুকরো করতে চেয়ে  কার স্বার্থ ওরা মেটাচ্ছে। এত বড় ধাক্কা খাওয়ার পরেও লজ্জা করে না। বাংলা ভাগের দিকে যারা তাকাবে বাংলার মানুষ তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ দুটোই আমার প্রিয়। দুটোই কন্যা। কোথাও কোথাও দক্ষিণবঙ্গের থেকেও উত্তরের কাজ বেশি হয়েছে।পুরোটা ঢেলে সাজানো হয়েছে। দিল্লিকা লাড্ডু খাবে, সব ভবিষ্যৎ বিক্রি করে দিয়ে। উত্তরবঙ্গকে পরাধীন হতে দেব না। বিজেপির এই দাবিকে ধিক্কার জানাই।


আরও খবর



হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করলেন মিন্নি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন। রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পান, মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


আরও খবর



ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আদালতের রায় মানতে হবে: বুয়েট উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আদালতের রায় মানতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, আদালত যা বলবেন, তা আমাদের মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। না হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে।

২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র বৈধতা নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম আজ রিট আবেদনটি করেন। ইমতিয়াজ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ সোমবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা রয়েছে ও দাপ্তরিক কাজগুলো চলছে।

এদিন একেবারেই ফাঁকা ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা প্রহরী জানান, আজ সকাল থেকে ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থী যাননি। ক্যাম্পাস একেবারেই ফাঁকা। গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা।

গত ২৮ মার্চ রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের প্রবেশকে ঘিরে পরদিন ২৯ মার্চ দুপুর থেকে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গত শনিবার থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর চার প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের এ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।

স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়া আরও দুই নারী এখনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন। এদিকে, মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মারা যাওয়া নারীদের মধ্যে দু-একজনের স্বজনদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে আইভি স্যালাইন দেওয়ার পর ছয় নারীর একই রকমের শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। অপারেশনের পরে ধীরে ধীরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কমে যায় কিডনির কার্যক্ষমতা, হার্টে দেখা দেয় ব্লক। এতে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আরও দুইজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সূত্রটি মৃত নারীদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালের ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেনকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে কমিটি হয়েছে। তারা কাজ করছেন।

বেসরকারি এই হাসপাতালটির ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. সুজন আল হাসান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি ওই স্যালাইন পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটা শুনলাম, সেটাও অন্য মাধ্যমে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা সব তথ্য চেয়েছি হাসপাতাল থেকে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। হাসপাতালের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবির বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগকে ঘটনাটি না জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্যায় করেছে। এটা খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। আমাদের জানানো উচিত ছিল। আমরা জানতে পারলে আমাদের মতো করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তারা কেন আমাদের কাছে এটা লুকিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর



উখিয়া ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ, সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল, সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ এবং এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, রবিবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০/১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর