কোনভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না বাজারমূল্যের। প্রতিদিনই বেড়ে চলছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে নাভিশ্বাস নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের। গত দুই সপ্তাহে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পযর্ন্ত। এছাড়া পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়েছে চালের। একই সঙ্গে তেল ডিমের দামও আকাশচুম্বি।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলক্ষেত বাজার, আজিমপুর কাঁচাবাজার ও হজ্জ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে এ বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, আদা, শুকনা মরিচসহ অন্যান্য মশলাজাতীয় পণ্যের দাম।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চালের মজুদ রয়েছে রেকর্ড পরিমাণে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চালের মজুদ ছিল ১৭ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন৷ এরপরও বাজারে বাড়ছে চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৬ টাকা এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫১ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় , দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে মুরগির ডিমের। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা কেজি এবং খাসি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা পযর্ন্ত বেড়েছে। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৭ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল
১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৮ টাকায়, খোলা পামওয়েল তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৭ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা এবং পামওয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।
ভরা মৌসুমেও লাগাম টানা যাচ্ছে না সবজির দামে। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, প্রতি পিস মাঝারি আকারের ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা আর বড় আকারের ফুলকপি ৫০ টাকায়, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম প্রতিকেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, করলা ৭০, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। খিরা ৪০, পেঁপে ৩০, গাজর ৪০, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, ঝিঙে ৬০, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়, নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কালবাউশ ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, কই মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া১৬০ থেকে ২৫০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি চিংড়ি আকারভেদে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা , ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি এবং বড় বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
কোনভাবেই লাগাট টানা যাচ্ছে না বাজারমূল্যের। প্রতিদিনই বেড়ে চলছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে নাভিশ্বাস নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের। গত দুই সপ্তাহে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পযর্ন্ত। এছাড়া পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়েছে চালের। একই সঙ্গে তেল ডিমের দামও আকাশচুম্বি।