পরীক্ষা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের ৯০ সেকেন্ড আগে খাতা নিয়ে নেন শিক্ষক। আর এতে করেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক শিক্ষার্থী ১৫ হাজার ৪০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকারও বেশি। তাদের আইনজীবীরা বলছেন, শিক্ষকের ভুলের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজন্য পুরো বছরের পড়াশোনার খরচ দিতে হবে তাদের।
দেশটির কলেজ ভর্তি পরীক্ষা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। সুনেয়ং নামে এই পরীক্ষা চলে আট ঘণ্টা ধরে। একটার পর একট প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় এবং পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। বিশ্বে অন্যতম কঠিন ভর্তি পরীক্ষা এটি।
প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী সারাবছর প্রস্তুতি নিয়ে এই পরীক্ষা দিয়ে থাকে। ৮ ডিসেম্বর এর ফল প্রকাশিত হয়। ফল প্রকাশের পর ৩৯ শিক্ষার্থী গতকাল মঙ্গলবার এই মামলা করে। তাদের দাবি, একটি পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই ঘণ্টা বেজে উঠে। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলেও শিক্ষক তাদের খাতা নিয়ে নেন।
পরবর্তীতে অবশ্য এই ভুল বুঝতে পারেন শিক্ষকরা। মধ্যাহ্নবিরতির সময় তাদের দেড় মিনিট ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার খালি কলামগুলো তারা শুধু লিখতে পেরেছেন। কোনো উত্তর পরিবর্তনের সুযোগ পাননি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে পরের পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারেননি।
শিক্ষার্থীদের মামলার করার ঘটনা এবরাই প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালের পরীক্ষায় দুই মিনিট আগে ঘণ্টা বাজায় মামলা করেছিল শিক্ষার্থীরা। চলতি বছর এপ্রিলে আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয় এবং ৫ হাজার ২৫০ ডলার ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয় তাদের।