অপ্রতিরোধ্য হয়ে
উঠেছেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম। রানের বন্য বইয়ে দিচ্ছেন ঘরের মাঠে।টেস্টের
পর ওয়ানডে সিরিজেও তার ব্যাট হাসছে। একের পর এক সেঞ্চুরি করে চলেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও সেঞ্চুরি করলেন বাবর। বাবরের সেঞ্চুরির
কারণে স্বাগতিকের কাছে পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ৭৩ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল
ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে পাকিস্তান।
এ জয়ের সঙ্গে
২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজের করে নিল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ৮৮ রানে হেরেছিল পাকিস্তান।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। ফলে
২০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান।
সেই সঙ্গে ক্রিকেট
ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগে আরও ১০ পয়েন্ট পেল বাবর আজমের দল।১২ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে
অষ্টম স্থানে উঠে এলো তারা পয়েন্ট টেবিলে। শনিবার লাহোরে তৃতীয় দিবারাত্রির ওডিআইতে
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬ রানেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল তিন উইকেট।
শাহিন শাহ আফ্রিদির
করা ম্যাচের প্রথম বলেই বোল্ড হন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেড। দ্বিতীয় ওভারে
আগের ম্যাচের মতো ডাক মেরে বিদায় নেন অসি অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ। তাকে এলবিডব্লিউয়ের
ফাঁদে ফেলেন হারিস রউফ। ষষ্ঠ ওভারে মার্নাস লাবুশেনকে ফেরান হারিসই। ৭ রানে ব্যাট করতে থাকা লাবুশেন ইফতিখার আহমেদের
ক্যাচে পরিণত হন।
এমন পরিস্থিতিতে
হাল ধরেন বেন ম্যাকডারমট ও অ্যালেক্স ক্যারি।
বেন ৩৬ রানে ফিরে গেলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ক্যারি। তার ৬১ বলে ৫৬ রানের ইনিংসই দলের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ রান আসে শন অ্যাবটের ব্যাট থেকে। মাত্র ১ রানের জন্য তাকে হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত
করেন হারিস।
এ ছাড়া ক্যামেরন
গ্রিন ৩৪ রান করলে ৪১.৫ ওভারে ২১০ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। পাকিস্তানের
হয়ে হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া শাহিন শাহ আফ্রিদির
শিকার ২ উইকেট।
বাবর আজম ও ইমাম-উল-হকের
১৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি সিরিজ জয়ে সহায়তা করে পাকিস্তানকে। ২১১ রানের ছোট লক্ষ্যের
তাড়ায় ব্যাট হাতে নেমে ১২ বলে ১৭ রান করে আউট হন পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামান। এরপর
বাবর-ইমামের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১২ ওভারের বেশি হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
১১৫ বলে ১০৫ রানে
অপরাজিত থাকেন বাবর। ১২টি বাউন্ডারির মার ছিল
তার এই ইনিংসে। ইমামের ব্যাট থেকে আসে ১০০ বলে অপরাজিত ৮৯ রান। ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরা
হয়েছেন বাবর আজম।