আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

৮১ বছর পর বন্ধ হচ্ছে বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘ ৮১ বছর পর বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধ হতে যাচ্ছে। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা এবং রাত সাড়ে ১০টায় বিবিসি বাংলা রেডিওর শেষ দুটি অধিবেশন প্রবাহ আর পরিক্রমা শেষবারের মত প্রচারিত হবে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন লন্ডনে মানসী বড়ুয়া আর ঢাকায় আকবর হোসেন।

জানা যায়, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে ব্যাপক পরিবর্তনের পটভূমিতে বিবিসি বাংলা রেডিও বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ল্ড সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বাংলায় রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে বিবিসি বাংলার সম্পাদক সাবির মুস্তাফা বলেন, বিবিসি বেশকিছু দিন থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে, এখন এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত করা হবে। বিবিসি বাংলা রেডিও ঘিরে অনেক স্মৃতি, অনেক আবেগ রয়েছে। কিন্তু যারা সংবাদের প্রতি আগ্রহী, তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য বিবিসি রেডিও বন্ধ করার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাস্তবতার আলোকে বিবিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা রেডিও বন্ধ করে লোকবল ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়োজিত করতে।

১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর একটি সাপ্তাহিক নিউজলেটার দিয়ে বিবিসি বাংলা রেডিও যাত্রা শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্রান্তিকালে মিত্র পক্ষের বক্তব্য ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হয়েছিল বিবিসি বাংলা রেডিওর যাত্রা। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে বিবিসি নামটি সব চেয়ে বেশি পরিচিতি পায় ১৯৭১ সালে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। বিবিসির খবরের ওপর শ্রোতাদের আস্থা আর বিবিসি বাংলা রেডিওর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। মানুষ তখন যুদ্ধের খবরের জন্য পুরোপুরি নির্ভর করতো বিবিসি বাংলার ওপর।

বিগত আট দশকে বিবিসি বাংলার রেডিও অনুষ্ঠানমালা এবং ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। রেডিওর চূড়ান্ত সম্প্রসারণ ঘটে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে যখন চতুর্থ একটি দৈনিক অধিবেশন শুরু করা হয়। তার চার বছরের মাথায় সকালের দুটি রেডিও অধিবেশন লন্ডন থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিবিসি বাংলার সাংবাদিক সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটে। তবে রেডিওর শ্রোতা কমে যাওয়ায় বিবিসি বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে। চ্যানেল আই-এর সহযোগিতায় বিবিসি প্রবাহ নামক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান নিয়ে ২০১৫ সালে বিবিসি বাংলা বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতে প্রবেশ করে। কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রেডিও শ্রোতা সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে, বিশেষ করে সংবাদ এবং সাময়িক প্রসঙ্গের ক্ষেত্রে। বিবিসির গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন দেশে মানুষ সংবাদের চাহিদা মেটানোর জন্য টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ: বিবিসি বাংলা

আরও খবর



মেঘনায় ভ্রমণতরি ডুবে নারীর মৃত্যু, পুলিশসহ নিখোঁজ ৮

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্রমণতরি ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে। পুলিশ সদস্যসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও আট যাত্রী। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনার পাড় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, সাত বছরের মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রায়সুল, শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল দে, নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।

তাৎক্ষণিক উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিখোঁজের প্রতিবেশী রত্না বেগম বলেন, আমাদের পাশের বাড়ির সাতজন নৌকায় ছিল। চারজন উদ্ধার হয়েছে। তবে আরদ্দা, বেলাল মিয়া ও একজন মহিলাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া বলেন, আমার ভাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকালে ব্রিজের নিচে ঘুরতে আসে। পরে ট্রলারের ধাক্কায় ভ্রমণতরি ডুবে যায়। ভাতিজির বান্ধবী রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভ্রমণতরিটি ডুবে যায়। এতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আর ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারে না। এজন্য উদ্ধার কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরিদল এলে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা আটজনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি। এতে একাধিক নৌ পুলিশটিম ও ফায়ার সার্ভিস টিম উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।


আরও খবর



বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি, মোদির বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে সে দেশের রাজপথ। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এখন কারাগারে। তার অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেছেন তার স্ত্রী।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তারের গুঞ্জন বাতাসে। সত্যি যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে আরও উত্তপ্ত হবে ভারতের রাজনীতি।

এদিকে আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারতের রাজধানী। দফায় দফায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে।

কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশও। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে একাধিক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের তরফে। গোটা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি কোনওরকম মিটিং-মিছিলের উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। নির্দেশ অমান্য করে প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ কর্মী সমর্থকদের জমায়েত শুরু হতেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয়, এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আপনারা এখানে জমায়েত করবেন না। আপনাদের ৫ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে এলাকা খালি করে দিন।''

তবে পুলিশের নির্দেশকে উড়িয়ে আরও কর্মী-সমর্থক এসে জড়ো হয় ওই এলাকায়।

এর পরই বিক্ষোভকারীদের সরাতে মাঠে নামে পুলিশ। শুরু হয় হাতাহাতি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই আটক করা হয় পাঞ্জাবের মন্ত্রী হরজোৎ সিং বাইন-সহ একাধিক আপ কর্মী-সমর্থককে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আপ নেত্রী রিনা গুপ্তা বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন জেল থেকেই তিনি রাজ্য চালাবেন। দুদিন আগে জেল থেকেই নিজের প্রথম সরকারি নির্দেশ দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এবার ফের একবার ইডি হেফাজত থেকেই নিজের দ্বিতীয় সরকারি নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভারদ্বাজ জানালেন, বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্যাথলজি পরীক্ষার দ্বিতীয় নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল। সৌরভ এদিন বলেন, দিল্লিবাসীর যাতে কোনও ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্যেই নিজের কাজ ইডি হেফাজতে থেকেও চালিয়ে যাবেন কেজরিওয়াল।

স্বাস্থ্য পোর্টফোলিওর দায়িত্বে থাকা সৌরভ ভারদ্বাজ একটি প্রেস মিটে বলেন, তিনি ভিতরে বা বাইরে যেখানেই হোন না কেন, যখনই কোনও আন্ডার প্রিভিলেজ ব্যক্তি ওষুধ নিতে সরকারি হাসপাতালে যায়, তখনই তার তা পাওয়া উচিত। একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তি ওষুধ কিনতে পারেন, কিন্তু দিল্লির লক্ষাধিক আন্ডার প্রিভিলেজ পরিবার ওষুধের জন্য সম্পূর্ণরূপে সরকারি হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকের উপর নির্ভরশীল। এই ওষুধগুলির মধ্যে কিছু আজীবন খেতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী কিছু মহল্লা ক্লিনিকে বিনামূল্যে পরীক্ষার সুবিধার সমস্যা সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন। তাই তিনি আমাকে নিশ্চিত করতে বলেছেন যে সমস্ত হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকগুলি যেন বিনামূল্যে পরীক্ষা এবং ওষুধ সরবরাহ করে।

এই বিতর্কের মাঝেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। জঙ্গি মুক্তির বিনিময়ে খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের থেকে ১৩৪ কোটি টাকা নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! এমনটাই দাবি করে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিলেন শিখস ফর জাস্টিস প্রধান। পান্নুনের ভিডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে আম আদমি পার্টি।

কেজরিকে বিপাকে ফেলে খালিস্তানি জঙ্গি নেতার অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত খলিস্তানি সংগঠনগুলির থেকে মোট ১৬ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য পেয়েছে আম আদমি পার্টি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৩.৫৪ কোটি টাকা। অবশ্য পান্নুনের এহেন দাবি পুরোপুরি খারিজ করা হয়েছে আপের তরফে। তাদের বক্তব্য, আম আদমি পার্টি কখনও দেশবিরোধী কাজ করে না। তবে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।


আরও খবর



ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর সর্বকালের সর্বনিম্ন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতের মুদ্রার দরপতন অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবারও (২২ মার্চ) মুদ্রাটির অবমূল্যায়ন ঘটেছে। এতে ভারতীয় রুপির মান সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

তাতে বলা হয়, প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ইউএস ডলারের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে এশিয়ার অধিকাংশ কারেন্সি দর হারিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের মুদ্রার অবনমন ঘটেছে।

আলোচ্য কার্যদিবসের শেষ ভাগে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৪৩ রুপিতে। ভারতীয় ইতিহাসে যা সবচেয়ে কম। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে ইন্ডিয়ান রুপির পতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। সাপ্তাহিক হিসাবে বিগত ৭ মাসের মধ্যে তা সর্বোচ্চ মূল্য হ্রাস।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলোচিত দিনে ভারতের সরকারি ব্যাংকগুলোতে মূল বৈশ্বিক মুদ্রা ডলারের চাহিদা ব্যাপক ছিল। মূলত, আমদানিকারকদের কাছে মুদ্রাটির আবেদন ছিল তুমুল। এছাড়া বৈদেশিক তহবিলের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যাপক চাপে পড়েছে ভারতীয় রুপি।

বেসরকারি খাতের মাঝারি আকারের এক ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে চীনের মুদ্রা ইউয়ান দুর্বল হয়েছে। এটিও বিশ্ববাজারে প্রচলিত অন্যতম মুদ্রা। ভারতীয় রুপির ওপর যা অধিক চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলে নিম্নগামিতায় আগের নজির ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে এটি।

এদিন ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। বর্তমানের তা ১০৪ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত ১ মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক। এই প্রেক্ষাপটে কোরিয়ান ওনের মান হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। মার্কিন শেয়ারবাজারও নিম্নমুখী হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনের শুরুতে ডলার সরবরাহ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। তবে কর্মদিবসের শেষদিকে ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেই প্রবণতা দেখা যায়নি। ফলে দেশটির মুদ্রা রুপির মূল্য সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে।


আরও খবর



রাজধানীতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মশার ঘনত্ব গত ৪ মাসে বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরা আর দক্ষিণখানে। এখানকার প্রতিটি ড্রেনে ভাসছে লার্ভা, পচা আর নোংরা পানির প্রতিটি জলাধার যেন একেকটি মশার খামার। স্থানীয়রা জানান, অগণিত মশা। কয়েল জ্বালালেও যায় না। সারাদিন বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে মশারির ভেতর বসে থাকো এমন একটা অবস্থা।

গত নভেম্বর থেকে চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজধানী ও আশপাশের ৬টি স্থানে ফাঁদ পেতে মশা ধরে চালানো হয়, গবেষণা। যাতে দেখা যায়, ফাঁদপ্রতি নভেম্বরে ২শ', জানুয়ারিতে ৩শ', ফেব্রুয়ারিতে ৩৮৮, আর মার্চের মাত্র এক সপ্তাহে ৪২০টি মশা ধরা পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরা আর দক্ষিণখানে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, মার্চে মশার বংশবিস্তার চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, এ বিষয়টি আগেই সতর্ক করেছিলেন তিনি। আমরা জানুয়ারি মাসেই সতর্ক করে বলেছিলাম মার্চ মাসে মশার ঘনত্ব চরমে পৌঁছাবে। এই মশাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই কিউলেক্স মশা। তবে এরা কোন রোগ ছড়ায় না। তবে দেশের কিছু কিছু জায়গায় এই মশার কামড়ে ফাইলেরিয়া রোগ হতে পারে।

সতর্কবার্তা যে সিটি করপোরেশন আমলে নেয়নি, সেটি স্পষ্ট স্থানীয়দের কথাতেও। তারা জানায়, জায়গায় জায়গায় শুনি মশা মারে, কিন্তু একটা মেশিনও এখনে বসা না। সিটি করপোরেশনেরও দেখা পাই না। মশার অত্যাচারে আমরা ঘরে বসতেও পারি না। আপনারা আসলে ওদের একটু খোজ পরে, তখন পয়ঃপরিষ্কার করে, তারপরে তাদের আর কোন খবর থাকে না।

এ জন্য সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয়হীনতার ওপর দায় চাপালেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। দয়া করে আসুন একসঙ্গে কাজ করি। চেষ্টা করবো এর থেকে ভালো করার জন্যে।

ফাঁদে ধরা পড়া মশার মধ্যে ৯৯ শতাংশই কিউলেক্স। যার কামড়ে হতে পারে গোদ ও বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ। ময়লা পানিতে বংশ বিস্তার করে এটি। এই কিউলেক্স মৌসুম শেষ হলে আবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হবে। গত বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যার মধ্যে ৯৮০ জনই ঢাকায় মারা গেছেন।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩, আহত ১২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

গত ১১ মার্চ মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তালেবান কর্মকর্তারা কয়েকটি বিস্ফোরণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল হলেও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কয়েক দশক ধরে তালেবান আন্দোলনের শক্ত ঘাঁটি কান্দাহার শহরে বসবাস করছেন।

কান্দাহার প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ইনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, একটি আত্মঘাতী হামলায় তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে কান্দাহার শহরের নিউ কাবুল ব্যাংকের শাখার বাইরে অপেক্ষমাণ একদল লোককে লক্ষ্য করে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

তিনি বলেন, মানুষজন সেখানে বেতন নিতে জড়ো হয়েছিলেন।


আরও খবর