আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

৮০০ বছর পরেও খোঁজ মেলেনি চেঙ্গিসের রত্নখচিত সমাধির

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এক সময় কাস্পিয়ান সাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর মাঝের দীর্ঘ সাম্রাজ্য ছিল তাঁর দখলে। খুন, অপহরণ, রক্তক্ষয়, প্রতিশোধ ছাড়া একটা দিনও কাটাননি। মৃত্যুর পর তাই একটু শান্তি চেয়েছিলেন মোঙ্গল সম্রাট চেঙ্গিস খান। নিজেই নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন সৈন্যদের। আদেশ পালন করেছিলেন অনুগতেরা। তাই মৃত্যুর ৮০০ বছর পরেও খোঁজ মেলেনি চেঙ্গিসের সমাধির।

মৃত্যু আসন্ন বুঝে অনুগত সেনাদের নাকি বলে গিয়েছিলেন, তাঁর সমাধিস্থল যাতে চিরকাল গোপন থাকে। কখনও কেউ যেন পৌঁছতে না পারে সেখানে। সৈন্যরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল সে নির্দেশ। মৃত্যুর পর প্রিয় সম্রাটকে কাঁধে করে নিয়ে গিয়েছিলেন অনুগত সেনারা। পথে যাঁরা তাঁদের দেখেছিলেন, তাঁদের খুন করা হয়েছিল। যাতে গোপন স্থান গোপনই থাকে।

মনে করা হয়, মোঙ্গোলিয়ার মরু অঞ্চলে সমাধিস্থ করা হয়েছিল চেঙ্গিসকে। সমাধিস্থান যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারে, তাই তার উপর দৌড় করানো হয়েছিল এক হাজার ঘোড়াকে।

বিদেশি গবেষক, বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর চেঙ্গিসের সমাধি খোঁজার চেষ্টা করেছেন। অভিযান চালিয়েছেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলও অভিযান চালিয়েছিল। উপগ্রহচিত্র তুলে খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আসলে মোঙ্গোলিয়রাই চেঙ্গিসের সমাধি কখনও খুঁজতে চাননি। চাননি, কেউ খুঁজে পাক। ১২২৭ সালে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে অধরাই থেকেছে সেই সমাধি।

৮০০ বছর পরেও চেঙ্গিস খানের সমাধি যে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তার নেপথ্যে সম্রাটের ইচ্ছা ছাড়াও অন্য কারণ রয়েছে। সেই কারণ হল দুর্গমতা। গ্রেট ব্রিটেনের যা আয়তন, মোঙ্গোলিয়া তার থেকে সাত গুণ বড়। অথচ ব্রিটেনে মোট যত কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে, তার মাত্র দুই শতাংশ রয়েছে এখানে। জনসংখ্যাও কম এই দেশে। সেই কারণে চেঙ্গিসের সমাধি খোঁজা যায়নি।

আর্ডেনেবাটার মনে করেন, ওই সমাধিগুলি জিয়োঙ্গনুদের। এই জিয়োঙ্গনুরা চেঙ্গিসের পূর্বসূরি। চেঙ্গিস নিজেও তাই বলতেন। বিজ্ঞানী মনে করেন, চেঙ্গিসের সমাধিও এই জিয়োঙ্গনু সম্রাটদের সমাধির মতো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মাটির ২০ মিটার গভীরে জিয়োঙ্গনু সম্রাটদের সমাধিস্থ করা হত। কাঠের কফিনে রাখা থাকত দেহ। মাটির উপরে বসানো হত চৌকো পাথর। সেই দিয়েই শনাক্ত করা হত, কার সমাধি। সেই পাথর যদি কোনও ভাবে এক বার সরে যেত, তা হলে সমাধি খুঁজে বার করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ত। চেঙ্গিসের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল বলে মনে করেন গবেষকরা।

আর্ডেনেবাটারের প্রথম সমাধি উদ্ধার করতে সময় লেগেছিল ১০ বছর। যদিও তাঁর আগেই সেই সমাধিতে পৌঁছে গিয়েছিল ডাকাতেরা। লুটও চালিয়েছিল তারা। কারণ জিয়োঙ্গনুদের সমাধিতে রাখা থাকত মূল্যবান জিনিস। যেমন রোমে তৈরি কাচের জিনিস, দামি ধাতু, রত্ন।

গবেষকরা মনে করেন, চেঙ্গিসের সমাধিতেও রাখা আছে এ রকমই দামি জিনিসপত্র। যত দেশ জয় করেছিলেন চেঙ্গিস, সেই সব দেশের স্মারক রাখা রয়েছে তাঁর সমাধিতে। রয়েছেন মহামূল্যবান সামগ্রিও। সে কারণেই সেই সমাধি খোঁজার চেষ্টা করে চলেছেন গবেষকরা।

জনশ্রুতি, খেন্তি পাহাড়ের মাথায় কোনও এক জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়েছিল চেঙ্গিসকে। রাজধানী উলানবাতার থেকে ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সেই জায়গা।

ইতিহাস বলছে, যখন চেঙ্গিসের বয়স খুব কম ছিল, তখন ওই খেন্তি পাহাড়ে শত্রুদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে বেঁচে ফেরেন। তার পরেই দেশজয়ের উদ্দেশ্যে বার হন। চেঙ্গিসের নাকি ইচ্ছা ছিল, মৃত্যুর পরেও সেই খেন্তি পাহাড়েই চিরশান্তিতে নিদ্রা যাবেন। তবে অনেক গবেষক মনে করেন, চেঙ্গিসের এই ইচ্ছা নেহাতই জনশ্রুতি। এর কোনও ভিত্তি নেই।

মোঙ্গোলিয়ার ইতিহাস বলে, চেঙ্গিসের সমাধির সমস্ত চিহ্ন লোপ করার জন্য তার উপর ছোটানো হয়েছিল এক হাজার ঘোড়া। কিছু গবেষক প্রশ্ন তুলেছেন, পাহাড়ের উপর এক হাজার ঘোড়া ছোটা কী ভাবে সম্ভব? তাঁদের মত, কোনও সমতল মরু এলাকাতেই সমাধিস্থ করা হয়েছিল সম্রাটকে।

এত রকম গবেষণার পরেও মোঙ্গোলিয়রা সম্রাটের সমাধি খুঁজতে কিন্তু খুব একটা আগ্রহী নন। কারণ তাঁরা চেঙ্গিসের শেষ ইচ্ছাকে ভীষণ ভাবে শ্রদ্ধা করেন। পশ্চিমের দেশগুলিতে তিনি পরাক্রমশালী সম্রাট হিসাবে পরিচিত। কিন্তু মোঙ্গোলীয়রা তাঁকে মনে রেখেছেন আরও অনেক কারণে।

চেঙ্গিসের জন্যই সিল্ক রুটে ব্যবসা, বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছিল। কূটনীতিকরা আজ যে রক্ষাকবচ পান, এই ধারণা চালু করেছিলেন চেঙ্গিসই। ধর্মীয় স্বাধীনতার হয়ে সওয়াল করতেন তিনি।

কাস্পিয়ান সাগর থেকে প্রশান্ত সাগরের মাঝে বিশাল ভূখণ্ড ছিল চেঙ্গিসের দখলে। এই বিশাল ভূখণ্ডের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে কী ভাবে? চেঙ্গিসই ডাক ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। চেঙ্গিস প্রথম মুদ্রা হিসাবে কাগজের নোট চালু করেন।

মোঙ্গোলীয়রা দাবি করেন, চেঙ্গিস শুধু দেশ জয় করেননি, নিজের সাম্রাজ্যকে আধুনিকও করে তুলেছিলেন। এ হেন সম্রাটের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে তাই বদ্ধপরিকর সে দেশের প্রতিটি মানুষ। মৃত্যুর ৮০০ বছর পরেও তাই খোঁজ মেলেনি চেঙ্গিসের সমাধির। আর মিলবে বলে আশা রাখেন না বহু ইতিহাসবিদ।


আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




দেশের যেসব অঞ্চলে রোজা শুরু আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হবে। রোববার (১০ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় রাতে তারাবির নামাজ ও সেহরি খাওয়ার মধ্যদিয়ে সৌদি আরবসহ আরব দেশের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা সোমবার (১১ মার্চ) রোজা পালন করবেন।

ঐতিহাসিক সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯৩২ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সাহেব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।

তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাল্লাহ সোমবার থেকে আমাদের গ্রামে রোজা শুরু হবে।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (১১ মার্চ) রমজানের প্রথম দিন হবে বলে ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোতেও আজ রোজা শুরু।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




জামিন পেলেন সাংবাদিক রানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম‍্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার এ জামিনের আদেশ দেন।

এর আগে শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা আবেদন করেন। তিনি ওই আবেদনের রিসিভড কপি চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন ওই ইউএনও। এ সময় তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিক রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনে নিহতদের পরিবার পাবে ২৫ হাজার টাকা: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। শুক্রবার (০১ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি অনুদানের এ ঘোষণা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগুনের ঘটনা সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রাথমিকভাবে অনুদান দেওয়া হবে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য যেখানে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সরকারের পক্ষ থেকে তা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আগুনের ঘটনার পরপরই সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



যুথির জামিন শুনতে বিব্রতবোধ: নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ভোট গণনা ও ফলাফল নিয়ে মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর আগাম জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতির দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই আগাম জামিন শুনানির জন্য এরই মধ্যে নথি পৌছে দেয়া হয়েছে। এর আগে (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও বিচারপতি সাহেদ নুরুদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য গেলে বিব্রত বোধ করেন ওই বেঞ্চ। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু বলেন, আগাম জামিন আবেদন গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। একজন জামিন শুনানিতে বিব্রতবোধ করায় আবেদনপত্র ফেরত দেয়া হয়েছে। আমরা চারজনের জামিন আবেদন করেছিলাম।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ভোট গণনা ও ফলাফল নিয়ে মারামারির অভিযোগে করা মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী ও অন্যান্যরা। তিনি ছাড়া মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যুথীর আইনজীবী জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথী এক নম্বর আসামি।


আরও খবর



নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি পুকুরে মিলেছে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম করে।

বুধবার সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছগ্রামের পুকুরে জাল ফেললে মাছগুলো ধরা পড়ে।

জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০টি পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি। বুধবার সকালে পানি প্রায় কমে আসলে জেলেদের জাল দিয়ে মাছগুলো ওপরে তুলেন। এ সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে প্রায় ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা পড়ে। বিগত বছরেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গিয়েছিল।

পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, প্রায় ৪০টি পরিবার যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছগ্রামের পুকুরটি ব্যবহার করে। প্রায় সাত দিন ধরে পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীকাল সেচের পুরো কাজ শেষ হবে। আজ পুরো পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলা হয়েছে। সে জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসলে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকুরটিও ছিল। সেখানে আবদুল মান্নান ২০২২ সালেও ৬ থেকে ৭ কেজি ইলিশ মাছ পেয়েছিলেন। এবার ১০ কেজি পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছগুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। নিঝুমদ্বীপ নিম্নাঞ্চল তাই জোয়ারে প্লাবিত হয়। পুকুরটি যখন প্লাবিত হয়েছে, তখন ইলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই।


আরও খবর