আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

৮ দাবিতে গার্মেন্টসকর্মীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের টঙ্গীতে বেতন-বোনাসসহ আট দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দত্তপাড়া লেদু মোল্লা রোডে বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হোসেন মার্কেটের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয়পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন দত্তপাড়া লেদু মোল্লা রোডে বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব, পশ্চিম থানা ও শিল্পপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, ওই কারখানায় তারা প্রায় দুই হাজার ৮০০ শ্রমিক কাজ করেন। কয়েক দিন যাবত চলতি জুন মাসের অর্ধেক বেতন ও ঈদুল আজহার বোনাস চাইলে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বেতন-বোনাসের বিষয়ে রোববার পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসায় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

আরও পড়ুন<< বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের প্রতিবাদে দিনাজপুরে মানববন্ধন

একপর্যায়ে তারা কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ২০ তারিখের মধ্যে চলতি মাসের অর্ধেক বেতন ও ঈদ বোনাস, বার্ষিক ছুটির টাকা, ওভারটাইম কর্তন না করা, রিজাইন দিলে যথাসময়ে পাওনা পরিশোধ করা, প্রতিমাসের বেতন পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ, মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা যথাসময়ে পরিশোধ, ওভারটাইম রাত ৯টা পর্যন্ত নয়, কারখানার কর্মকর্তা ইসমাইল ও শামীমকে চাই না এবং ছুটি ও গেট পাশ কেন দেওয়া হয় না এসব দাবি উত্থাপন করে কাজ বন্ধ রেখে বাসায় চলে যায়।

পরে সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এলে কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেন। এতে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয়পাশে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কে চলাচলরত অফিস-আদালতগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ যাত্রীসাধারণ ভোগান্তিতে পড়েন।

আরও পড়ুন<< শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত ‘ভণ্ডপীর’ গ্রেপ্তার

পরে খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব, পশ্চিম থানা ও শিল্পপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বেতন-বোনাসের আশ্বাস দিলে সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এ ব্যাপারে টঙ্গী শিল্পপুলিশের এসআই ওসমান গনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন- বোনাসের বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।


আরও খবর



ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধবিরোধী এই প্রতিবাদের সূচনা হয় দেশটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তা দ্রুত সময়ের মধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে চাপে পড়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিক্ষোভ থামাতে বিভিন্ন পদক্ষেপে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃপক্ষ। আটক করা হয়েছে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এসেছে। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট প্রেসিডেন্ট মিনোশি শফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি ৬২-১৪ ভোটে পাস হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখার মতো বিষয়।

শুক্রবার রাতে এনবিসি টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকাজুড়ে ৪০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বোস্টনের ইমারসন কলেজেও। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশি।

জর্জিয়ার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গত বৃহস্পতিবার রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন দর্শন বিভাগের প্রধান নো লি ম্যাকাফিকে আটকের পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। আটকের আগে তিনি আটলান্টা পুলিশকে শিক্ষার্থীদের তাঁবুর দিকে এগোনোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তিনি ওই সময় পুলিশকে থামতে বলার পর তাকে আটক করা হয়। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারোলিন ফোহলিনকেও আটক করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতে হাতকড়া পরানো হয়।

ওহাইওতেও পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীদের আটকের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। সেখানে ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে লাগাম টানতে আইনপ্রণেতাদের ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই জেরে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল কলাম্বিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যক্রম তদন্ত শুরু করেছে।


আরও খবর



কত ভোটে হারলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীর। তবে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সমালোচিত এ নারীর বাক্সে ভোট পড়েছে ১৭০ টি।

এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীর ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হেরেছেন সুজাতা আজিম, সঞ্জু জন, স্বপ্না, সাইফ, মো. সাইফুল, মো. ফিরোজ মিয়া, বাদল শেখ, পীরজাদা শহীদুল হারুন, নাদের চৌধুরী, নিরঞ্জন সরকার, নাসরিন, তানভীর তনু, জেসমিন আক্তার, সাদিয়ায় মির্জা, ইউসুফ খান।

নিপুণের হাত ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। সেসময় অভিযোগ উঠেছিল নীতিমালা না মেনে এই তাকে শিল্পী সমিতির সদস্য পদ দিয়েছে সদ্য ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেয়া হয়।

নির্বাচনে অংশ নিয়েই হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি।

সেসময় তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্য হওয়ার খবরে নিন্দা জানান শিল্পীরা।


আরও খবর



যেকোনো সময় ইরান থেকে ইসরায়েলে হামলা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শুক্রবার যেকোনো সময় ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে হামলা চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তেল আবিব। সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। দেশের বড় একটি অংশজুড়ে জিপিএস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত সোমবার সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হবার পর ইরান ও ইসরালের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।হামলায় ইরানের একজন সিনিয়র জেনারেল নিহত হয়েছে। হামলায় ইসরায়েল জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস ঘোষণা দিয়েছে যে সেনাবাহিনীতে যেসব সৈন্য কমব্যাট ইউনিটে রয়েছে তাদের সব ছুটি স্থগিত করা হয়েছে।

ইসরায়েল আশঙ্কা করছে ইরানের দিক থেকে হামলা হবে যেকোনো সময়।শুক্রবার এই হামলা হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে। কারণ এই দিনটিকে আল কুদস দিবস বা জেরুসালেম দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাছাড়া এই দিনটি মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার, যেটি জুমাতুল বিদা হিসেবে পরিচিত। এই দিনটিতে ইরানে ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ করা হয়।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে জিপিএস সিস্টেম বিঘ্ন হতে দেখা গেছে। প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে ইসরায়েল এ কাজ করেছে। কারণ, জিপিএস সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দূরপাল্লার অস্ত্রের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ঠিক করা হয়।

ইসারায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস-এর মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি নিশ্চিত করেছেন যে ইসরায়েলের ভেতরে জিপিএস ব্লক করা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলিদের আহবান জানানো হয়েছে তারা যাতে তাদের মোবাইল ফোনের অ্যাপে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জিপিএস সেট করে। এর মাধ্যমে তারা যে কোনো রকেট আক্রমণের সতর্কবার্তা আগে থেকে পাবে।

ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যম রিপোর্ট করেছে যে ইরানের হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের বিভিন্ন দূতাবাসকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে অথবা খালি করা হয়েছে।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলায় যেসব ভয়ংকর অস্ত্র ব্যবহার করল ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান। হামলার পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম করপোরেশন জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় ইরান ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬০টি সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।


আরও খবর



বান্দরবানে সব বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বান্দরবানে আমরা সব বাহিনীর সদস্য আরও বাড়াবো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা যা করা দরকার তা করব।

আজ শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে বান্দরবান জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না। বান্দরবানের রুমার ঘটনায় সন্ত্রাসীরা তাদের সক্ষমতা প্রর্দশন দেখানোর চেষ্টা করেছে মাত্র। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ধূলিসাৎ করে দেবে।

তিনি বলেন, বান্দরবানের ঘটনায় বিদেশি কোনো মদদ নেই। বিদেশি যাদের কথা বলা হচ্ছে, তারা নিজেদের সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত। এই অপরাধে জড়িত কেউ দেশের বাইরে গেলে সেখান থেকে তাকে এনে বিচার করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেএনএফ যে হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন শক্তিশালী অভিযান চালানোর। সমন্বিত অভিযানের বিষয়ে সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বাহিনী তাদের মতো অভিযান চালাবে।

এর আগে আজ সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে রুমা উপজেলায় যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে সোনালী ব্যাংকে শাখা পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন।


আরও খবর