আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল’

প্রকাশিত:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর ৭৫-এ বাংলাদেশকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। দেশকে সাম্প্রদায়িক করার পাঁয়তারা চালায়। তবে ধীরে ধীরে আমরা সেই জায়গা থেকে ইউটার্ন নিয়ে আবার আর জায়গায় আসতে পেরেছি। এখন বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক দেশ। শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে আয়োজিত বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশনা ও আলোচনা  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল  এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বুকে লালন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। দেশও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সেই স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছাতে চাই। তবে আমি বলব না যে আমরা এখনই সেই জায়গাতে পৌঁছে গেছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা একের পর এক দৃশ্য দেখেছি। ইতালির নাগরিক ট্রাভেল সিজার, জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও হত্যাকাণ্ড দেখেছি। খ্রীষ্টান ধর্মযাজককে হত্যা প্রচেষ্টা দেখেছি, মসজিদের মধ্যে বোমা হামলা দেখেছি। এই যে জঙ্গির উত্থান হয়েছিল, কারা করেছে, আমরা কিন্তু তা জাতির সামনে তুলে ধরেছি। র‌্যাব-পুলিশসহ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সব ইউনিট তাদের সবার নিজ অবস্থান থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এদেশের মানুষকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেশের ছাত্র-শিক্ষক, যুব সমাজ, ইমাম, পুরোহিত বুদ্ধিজীবীসহ সবাই প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দেশে জঙ্গিবাদের মোকাবিলা করেছি। এই আহ্বানে মা তার জঙ্গি ছেলেকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। রাজধানী ঢাকা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আজ আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছি। তবে জঙ্গিবাদের মূল শতভাগ উৎপাটন করা যায়নি। সেখানে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে।

তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মে মানুষ হত্যা করতে বলেনি। তাছাড়া কোনো ধর্মেই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের স্থান নেই। জঙ্গিবাদে আমরা যেখানে যার সম্পৃক্ততা পেয়েছি, তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কারণ আমাদের দেশের মানুষ কখনই জঙ্গিদের পছন্দ করে না।

বিচার বিভাগ আজ স্বাধীন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক জঙ্গী গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আবার অনেকেই আদালত থেকে জামিনে বের হয়েছে।

তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে সবাই একসঙ্গে কাজ করছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ বলে কোনো ভেদাভেদ ছিল না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবার রক্তে রঞ্জিত এই বাংলাদেশ। সবাই মিলেই দেশকে স্বাধীন করেছি। এখানে ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ নেই। যুদ্ধের সময়ও কোনো ভেদাভেদ ছিল না, এখনও নেই। কাজে কেউ এসে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশকে বিলুপ্ত করে দেবে, সেই সুযোগ নেই।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শুরুতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের অডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়।

কমিটির সভাপতি লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক সমাজকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর, রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য সমাজকর্মী কাজল দেবনাথ, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।


আরও খবর



সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারে। এবার ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এ সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সৈকতের নানা বিষয়। এছাড়া ছিল সিসি ক্যামেরা। সেগুলো পরিচালনার জন্য ছিল বড় বড় এলইডি মনিটর।

এবার পুরো শহরটিকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়বে তা দেখা যাবে শহরের মোড়ে মোড়ে রাখা বড় এলইডি মনিটরে। ফলে শহরের অপরাধ কমে আসবে অন্যদিকে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পর্যটকরা বিপদে পড়লে যাতে খুব সহজেই স্বজনদের ফোন করতে পারেন তার জন্য বিভিন্ন মোড়ে ইন্টারকম সার্ভিস এবং বসটন টেলিফোন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো দুটি পর্যটন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই কাজে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ক্যামেরায় অপ্রীতিকর কিছু ধরা পড়েনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা ঢাকায় বসে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে রাখা হয়েছিল এই সুবিধা। তার ফলও তারা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাগনো হয়েছিল কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি এলার্মিং বাটন। পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়ামাত্র বাটনে টিপ দিয়ে তা ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে আওয়াজ তৈরি করেছে। ফলে দ্রুত সময়ে সেই স্থানে পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।


আরও খবর



অঙ্গীকারনামা দিয়ে জামিনে মুক্তি পেলেন সঞ্জয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের স্টোরিতে লালন সংগীতের লাইন দেওয়াকে কেন্দ্র করে সঞ্জয় রক্ষিত (৪০) নামে এক যুবককে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছিল পুলিশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা দিয়ে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

শরীয়তপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফেসবুকের স্টোরিতে স্ট্যাটাসকে ঘিরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের হরি নারায়ণ রক্ষিতের ছেলে সঞ্জয় রক্ষিতকে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ রোববার আটক করে। সঞ্জয় পেশায় একজন স্বর্ণকার। ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ (১) ধারায় তাকে তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে অঙ্গীকারনামায় এই মর্মে স্বাক্ষর করেন যে ভবিষ্যতে তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

প্রসঙ্গত, সঞ্জয় রক্ষিত তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে স্টোরিতে লিখেন সুন্নতে খাতনা দিলে যদি হয় মুসলমান, তাহলে নারী জাতির কি হয় বিধান। এ নিয়ে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কায় সঞ্চিত রক্ষিতকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা মোতাবেক আটক করেছিল পুলিশ।


আরও খবর



আরও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।

এর আগে সোমবার সেতুর উপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে বলে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সেতুর উপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সারি তৈ‌রি হয়েছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর উপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে।


আরও খবর



সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া সেই শামীমাও মারা গেলেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত বছরের জানুয়ারি মাসে সারাহ ইসলামের মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট (ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন) করা হয়। এই কার্যক্রমটি সফল প্রতিস্থাপন দাবি করা হলেও কিডনি নেওয়া দুজনেই কেউই আর বেঁচে রইলো না।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কিডনি নেওয়া দ্বিতীয় রোগী শামীমা আক্তার (৩৪)। ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।

শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিল শামীমা। সম্প্রতি শামীমার ভাই জানায়, ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে শামীমা। পরে তিন সপ্তাহ আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিল সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে।

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে এই সার্জন বলেন, তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল, অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ রাত ৯টার দিকে মারা যান তিনি।

কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া এই চিকিৎসক আরও বলেন, হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে ব্লাড কাজ করে না। এজন্য বিশেষ করে রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময়ে অবস্থা খারাপ হলেও সময় মতো আমাদের জানানো হয়নি। অনেকটা অবহেলা ছিল। খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তাহলে হয়তো এই অবস্থা দেখতে হতো না।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে মারা যান সারাহ ইসলামের আরেক কিডনিগ্রহীতা হাসিনা আক্তার। কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন আর রশিদ সে সময় জানিয়েছিলেন, হাসিনা আক্তারের শরীরে যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তা ছিল দুর্বল। তাতে দুটি টিউমার ছিল। প্রতিস্থাপনের আগে টিউমার দুটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রতিস্থাপনের পর থেকে হাসিনা বারবার সংক্রমণে ভুগছিলেন। পরে কিডনি ফাউন্ডেশনে মারা যান তিনি।


আরও খবর