আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

৭৫ বছরে যেভাবে পঙ্গু হয়েছে পাকিস্তানের রাজনীতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পঁচাত্তর বছর আগে উপমহাদেশের মুসলমানদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তান। নিরন্তর রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি আদায় করেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি হয়তো পাকিস্তানকে এমন একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন যেখানে জাতি, ধর্ম বা ধর্মের ভিত্তিতে কেউ বৈষম্য করবে না। তবে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে অনেকবারই রাজনৈতিক পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।

ধারণা করা হয়, হিন্দু আধিপত্যের ভয় এবং অভিজাতদের হাতে সাধারণ জনগণের নিপীড়নের আশঙ্কাই ছিল পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে অন্যতম কারণ। আইনজীবী, শিক্ষক, ছাত্র, ক্ষুদ্র জমির মালিক ও কৃষকরা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল শ্রমিক শ্রেণীর জনগণের সম্মিলিত চেতনার একটি কাজ যারা নিজেদের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত রাখতে স্বাধীন রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। এছাড়া সম্মানজনক জীবিকা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা দিতে পারে এমন একটি দেশ চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু এই স্বপ্ন কি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে? ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সফল হলেও প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুতে প্রথম দিকেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক যাত্রা গুরুতর ধাক্কার সম্মুখীন হয়। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ১৯৫১ সালের অক্টোবরে আরেকটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। সেসময় পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাওয়ালপিন্ডিতে হত্যা করা হয়। লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কার্যত পাকিস্তানের গণতন্ত্রের পতন শুরু হয়। আর সেই ধারা দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে আজও অব্যাহত আছে। লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর পর একপর্যায়ে গভর্নর জেনারেলের আদেশের মাধ্যমে খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভাকে অপসারণ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার কখনোই দেশটিতে অগ্রাধিকার ছিল না।

এরপর ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করা হয়। এটি পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে দেশের সম্পদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়। আইয়ুব খান এবং পরবর্তীতে তার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া খান তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের মতোই পাকিস্তানকে শাসন করেন। আইয়ুবের শাসন এবং ইয়াহিয়ার পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে দিয়েছিল। সেসময়ই পাকিস্তানের পূর্বের গণতান্ত্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে মেনে নিতে অস্বীকার করে পশ্চিম পাকিস্তানের অভিজাতরা। আর এরপরই অধিকার আদায় ও বঞ্চনা-শোষণ থেকে মুক্তি পেতে দেশের পশ্চিম অংশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে পূর্ব পাকিস্তান। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলায় মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের বীরত্বগাথা যুদ্ধের পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। ভেঙে যায় পাকিস্তান।

তবে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে জাতীয়তাবাদী দলগুলোর সঙ্গে জুলফিকার আলী ভুট্টোর আচরণ ছিল শোচনীয়। তার সরকার মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে খারাপ নজির স্থাপন করে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে দেয়। আর এর ফলে ভুট্টো বিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে আরেকটি সামরিক আইন জারি হয় পাকিস্তানে। ক্ষমতা গ্রহণের পর জিয়া উল হকের সামরিক আইন পাকিস্তানে সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে। তিনি সংবিধান বাতিল করেন এবং রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকদেরও কারারুদ্ধ করেন। জিয়া প্রায় এগারো বছর ধরে পাকিস্তানে শাসন করেছিলেন। এসময় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সংবিধানের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়ে এবং গণতন্ত্রের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে পাকিস্তানকে শাসন করেন তিনি। আর এই ধরনের শাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে পাকিস্তানে সৃষ্টি হয় ধর্মীয় উগ্রবাদ, সমাজের নানামুখী মেরুকরণ, মাদক এবং কালাশনিকভ সংস্কৃতি।

মূলত প্রেসিডেন্টের সাথে মতবিরোধের কারণেই প্রথমে বেনজির ভুট্টো এবং পরে নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। প্রায় এক দশক ধরে এই দুই নেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীত্ব আবর্তিত হতে থাকে। আর এই যুগের অবসান ঘটে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। আর সেটি হয়েছিল জেনারেল পারভেজ মোশাররফের হাত ধরে। মোশাররফ একটি আলোকিত এবং প্রগতিশীল পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ শাসন শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার শেষ হয়েছিল অন্যান্য সামরিক শাসকদের মতোই। তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন; যার জন্য দেশটি প্রায় ১২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এছাড়া সেসময় পাকিস্তানে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। পারভেজ মোশাররফের বেলুচিস্তান অভিযান প্রদেশটিতে গভীর বিভাজন তৈরি করে। তবে নিজের শাসনের শেষ বছরগুলোতে মোশাররফ ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। ফলে পাকিস্তানে তিনি সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফকে ফিরে আসার অনুমতি দেন। এছাড়া পিএমএল-এন সরকারের শাসন এবং বৈধতাকে দুর্বল ও চ্যালেঞ্জ করার জন্য তেহরিক-ই-লাব্বাইক এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিকের (পিএটি) মতো গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে ইমরানের দলের এই জয়ের পেছনে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর হাত ছিল বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। আবার তাদের (সামরিক বাহিনী) ইন্ধনেই জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পঙ্গুত্বের এই জঘন্য কাহিনীর বহু ভিন্ন দিক বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সম্পৃক্ততা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কারচুপি এবং প্রকৃত রাজনৈতিক কণ্ঠের দমন রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করেছে। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এতোটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে সেখানে সহজেই কারসাজি করা যায়। এটি দেশের পুরো ব্যবস্থাপনায় উদাসীনতা এবং অবিশ্বাস সৃষ্টি করে। যাদের ক্ষমতা ও যোগাযোগ আছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ক্ষমতায় আরোহণের পথ পেয়ে যান।

আরেকটি বিষয় যা রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্বল করে তোলে তা হলো- দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতি। নিয়মিত আন্তঃদলীয় নির্বাচন হয় না এবং বেশিরভাগ দল ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করে। উন্নত দেশগুলোর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে পাকিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলো প্রকৃত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারেনি এবং পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই রয়ে গেছে। বংশীয় রাজনীতি গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতার চেতনাকে হত্যা করেছে। এই কারণেই যখন কোনো স্বৈরশাসক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন বা আঘাত হানে তখন জনগণ সেটির প্রতিরোধ করে না। তারা নিজেকে প্রান্তিক বলে মনে করে এবং নেতাদের বিপদে রক্ষা করার জন্য রাস্তায় নামতে প্রস্তুত থাকে না।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানজুড়ে বড় বড় শহরগুলোর পাশাপাশি মফস্বল এলাকাতেও একের পর এক সমাবেশ করে চলেছেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। এসব সমাবেশে পিটিআই নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো এবং সেখানে তিনি বরাবরই আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। ইমরান খানকে অপসারণের পর পাকিস্তানের শহরাঞ্চলে বড় ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভও শুরু হয়। পিটিআই এই জনপ্রিয়তাকে একটি টেকসই রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে পারে কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ধর্ম-রাজনীতির মিশ্রণে সৃষ্ট যেকোনো গণতন্ত্র, সংবিধান ও সংসদের ধারণা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধারায় আসা পাকিস্তানের জনসাধারণকে বিভক্ত করেছে এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের মতো দলের সাম্প্রতিক উত্থান এবং তাদের তৃণমূল সমর্থন দেশটির মূলধারার রাজনৈতিক দল, নীতিনির্ধারক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা।

এছাড়া পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতারও সম্মুখীন হয়েছে। ভুল সময়ে ভুল দেশে ইমরান খানের উপস্থিতি ভুল ধারণা দিচ্ছে। এর ওপর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর এর পেছনে বিদেশি হাত রয়েছে বলে ইমরান খানের দেওয়া বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রকে (পাকিস্তান থেকে) বিচ্ছিন্ন করেছে। এছাড়া আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠীকে নিঃশর্তভাবে সমর্থন পাকিস্তানের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ নীতি হতে পারে। তবে এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য পাকিস্তানে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্মুক্ত করে এটি অর্জন করা যেতে পারে।

একইসঙ্গে পাকিস্তান এগিয়ে যেতে চাইলে দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বিচার বিভাগের উচিত সংবিধান মেরামত বা সংস্কার না করে ন্যায়বিচার প্রদান এবং ব্যাখ্যা করা। আইন প্রণয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টের। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীদের ফাঁসির মঞ্চে বা কারাগারে পাঠানো কেবলমাত্র রাজনৈতিক পঙ্গুত্ব এবং সামরিক বাহিনীর বদনাম নিয়ে আসবে। জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতি রক্ষা করা সম্ভব। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সম্প্রীতি প্রয়োজন এবং এটি পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে নিদারুণভাবে অনুপস্থিত।

নিউজ ট্যাগ: পাকিস্তানি

আরও খবর



হিট ওয়েভ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের কবলে দেশের বিভিন্ন অংশ। ইতোমধ্যে দেশে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি বছরই বিশ্বে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই হিট স্ট্রোকে। অনেকেই রোদের মধ্য থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এতে যেমন ঠাণ্ডা বসে যায় তেমনই কিন্তু স্ট্রোকের (হিট ওয়েভ) সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হিট ওয়েভ বা হিট স্ট্রোক বাঁচতে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তার কয়েকটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো-

স্বভাবিক পানি পান করুন, তাও আবার ধীরে ধীরে।

ঠাণ্ডা পানি পান পরিহার করুন। বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিই পরিহার করুন।

যখন তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সংকুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি এবং ধীরে ধীরে পান করুন।

ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাইতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন- যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচণ্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠাণ্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দিলেও হঠাৎই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।


আরও খবর



গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অসহ্য গরমে সুস্থ থাকতে খাবার ও পোশাকের প্রতি সবারই বিশেষ নজর থাকে। এ সময় শরীর আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। খাদ্য তালিকায় দই রাখলে নিজেকে কিছুটা শিথিল লাগবে। এটি মুড ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এ সময় খুব ক্লান্ত লাগলে একটু দই খেয়ে নিন।

এই গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস।

শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দইয়ের রয়েছে আরও উপকারী গুণ। দইয়ের কিছু উপকারী গুণ এবং গরমে দই খাওয়া কেন ভালো- এ বিষয়ে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে একটি প্রতিবেদন।

দইয়ের মধ্যে রয়েছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই শরীরে বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

দুধ খেতে ভালো না লাগলে দই খেতে পারেন। এতে দুধের মতোই পুষ্টি থাকে। হাড় ও দাঁতকে ভালো রাখে দই। এটি হাড়ে অসুখ অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কাজ করে। গরমের সময় ডিসেনটির সমস্যা অনেকের হয়। এক কাপ দই খাওয়া ডিসেনটির সমস্যা উপশমে অনেকটাই কাজ করবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে ব্যারিস্টার এ এম খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান এ অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহারের চিঠি পৌঁছে দেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্টের ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে দেওয়া অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০ এপ্রিল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২.২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র তাপদাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপদাহে। এতে জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

এদিকে তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে শান্তি মিলছে না সেখানেও। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। চলমান হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। যা তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে পরিণত হয়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।


আরও খবর