প্রাক বাংলাদেশ
সময়ের ৬-দফা আন্দোলন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রধান সোপান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিতা এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলাভ
এ অনুজ্ঞাকেই প্রমাণিত করলো। ৭ জুন ২০২১, ৬-দফা দিবস। ঐতিহাসিক ৬ দফা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার
৭ জুন ২০২২ইং তারিখ সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)’র বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও সি ব্লকের
সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন
আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এছাড়াও স্বাধীনতা চিকিৎসক
পরিষদ (স্বাচিপ), বিএসএমএমইউ শাখার পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের
সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা
ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ
হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. স্বপন
কুমার তপাদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখসহ সম্মানিত ডীনবৃন্দ,
শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, অফিস প্রধানগণ, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা,
নার্স, টেকনোলজিস্ট, ল্যাব টেকিনিশয়ান, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন
আহমেদ বলেন, বাঙালির মুক্তির সনদ বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই প্রকৃত অর্থে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। মাননীয় উপাচার্য বলেন, ৭ই জুন এই ঐতিহাসিক দিনটি বাঙালির
স্বাধীনতা, স্বাধিকার ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম মাইলফলক, অবিস্মরণীয় একটি
দিন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে যেসব আন্দোলন বাঙালির মনে স্বাধীনতার চেতনা ও স্পৃহাকে
ক্রমাগত জাগিয়ে তুলেছিল ৬ দফা আন্দোলন তারই ধারাবাহিকতার ফসল। এরই ধারাবাহিকতায় উনসত্তরের
গণ অভ্যুত্থান সত্তরের নির্বাচনে বাঙালির অবিস্মরণীয় বিজয়, একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর
ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা
ঘোষণার পথ ধরে দেশ স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বর ৯ মাসের মুক্তি যুদ্ধের চুড়ান্ত
বিজয়ের মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয়
ঘটে। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬ দফা দাবির সাথে যেমন এদেশের মানুষ একাত্মতা প্রকাশ
করেছিল, ঠিক তেমনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। যার ধারাবাহিকতায়
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের
এই উত্তরণ-যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম
আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য
নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সব কিছুই সম্ভব হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের করণে।
মাননীয় উপাচার্য
তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, দেশে আজ পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। শুভ উদ্বোধনের অপেক্ষায়
আছে। মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার
হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। চলমান উন্নয়নকে ধরে রাখতে ও বেগবান করতে
আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাতে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো দেশের মানুষের জন্য
দেশ পরিচালনার সুযোগ পান সে লক্ষ্যে এখন থেকেই সকলকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কাজ করতে
হবে।