আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

৫২ ঘণ্টা পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরুদ্ধ ভিসি মুক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৫২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো. ফরহাদ হোসেন শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে বের হতে পেরেছেন।

৫২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) মো. ফরহাদ হোসেন শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে বের হতে পেরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থী তাকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন।

তৃতীয় শ্রেণির ২২ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবিতে ভিসিকে তার কার্যালয়ে বুধবার সকাল সোয়া ৯টায় অবরুদ্ধ করেন কর্মচারীরা। তারা ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

উপাচার্য মো. ফরহাদ হোসেন জানান, ২০১৯ সালে তৎকালীন ভিসি ২২ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে দুই দফায় ১৫টি পদের অনুমোদন পাওয়া গেছে।  ওই ১৫ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এ সময় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। তারা ১৫ পদের বিপরীতে ২২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি তুলেন। তারা কোনো লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিও করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতারা তাদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন; কিন্তু তারা তাদের দাবিতে অনড়।

তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের কর্মবিরতি এখনো অব্যাহত আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।


আরও খবর



মস্কোর কনসার্টে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে একটি কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএসকে)। এবার তাদের ছবি প্রকাশ করেছে জঙ্গি সংগঠনটি।

শনিবার হামলাকারীদের চার সদস্যের ছবি প্রকাশ করেছে তারা। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ছবি প্রকাশ করে আইএস বলেছে, কনসার্ট হলে হামলা চালিয়েছে এই চারজন।

ছবিটি ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থা আমাক-এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করা হয়েছে। আমাক এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত দেশগুলোর সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের তুমুল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই হামলা করা হয়েছে।

এদিকে ইসলামিক স্টেট হামলার দায় স্বীকার করলেও এর সঙ্গে ইউক্রেনের যোগসূত্র খুঁজছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, হামলাকারী চার ব্যক্তি ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। তারা সীমান্ত অতিক্রম করার আশা করছিল।

পুতিন এই হামলাকারীদের শত্রু এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, যেসব রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে চায়, সেই রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাজ করতে রাশিয়া প্রস্তুত।

রুশ ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) বরাত দিয়ে রবিবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই হামলায় চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের ইউক্রেনে যোগাযোগ ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের মস্কোতে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

তবে ইউক্রেন এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

এর আগে, শুক্রবার রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। তখন সেখানে একটি কনসার্ট চলছিল। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক।


আরও খবর



যুথির জামিন শুনতে বিব্রতবোধ: নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ভোট গণনা ও ফলাফল নিয়ে মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর আগাম জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতির দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই আগাম জামিন শুনানির জন্য এরই মধ্যে নথি পৌছে দেয়া হয়েছে। এর আগে (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও বিচারপতি সাহেদ নুরুদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য গেলে বিব্রত বোধ করেন ওই বেঞ্চ। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু বলেন, আগাম জামিন আবেদন গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। একজন জামিন শুনানিতে বিব্রতবোধ করায় আবেদনপত্র ফেরত দেয়া হয়েছে। আমরা চারজনের জামিন আবেদন করেছিলাম।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ভোট গণনা ও ফলাফল নিয়ে মারামারির অভিযোগে করা মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী ও অন্যান্যরা। তিনি ছাড়া মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যুথীর আইনজীবী জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথী এক নম্বর আসামি।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করব না: ফেরদৌস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। বুধবার (৬ মার্চ) ফেনীতে রেমন্ড শপের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, অনেকেই বলছে শিল্পী সমিতি নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করব। কিন্তু আমি এখন সবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করব না। আগে ছিলাম পর্দার নায়ক এখন মাঠের নায়ক হতে চাই। দেশের দশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি এটা আমার বড় প্রাপ্তি। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলেছি, আরো জোরালোভাবে বলবো বলে জানান তিনি।

শুরুতে ফিতা কেটে ও কেক কেটে শো-রুম উদ্বোধন করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। শোরুমটির উদ্বোধন করেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আজমেরী গ্রুপের ডিরেক্টর মফিজুর, রেমন্ড শপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শরীফ হোসেন। এ সময় ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নিহত ৪

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে চারজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের চকে এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী। গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত একটার দিকে বাঘরী বিলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখা যায়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রথমে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। গ্রামবাসী তখন চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলেন। তারা পালানোর জন্য বিলের পানিতে ঝাঁপ দেন। পরে স্থানীয় লোকজন কয়েকজনকে আটক করে পিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। মৃতদেহগুলো নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাঘরী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা সাতজন বিলের পাড়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানে আরও তিনজনের আসার কথা ছিল। এ সময় গ্রামবাসী টের পেয়ে তাদের পিটুনি দেন। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি, আজ আমি অনার্স ফেল’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঠিক সে সময়ে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবন্তিকার মতো শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের শিকার হন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ১৩তম আবর্তন ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

মিম জানান, দুই বছর আগে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এখনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো তাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এমনকি তার মা-বাবাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি বলে আমার মনে হয়। কারণ, আজকে আমি ফেল। আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে। কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে আমাকে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা করা হয়। আমি হয়ত তার মতো সাহসী হতে পারি নাই। তার জন্য হয়ত আমি মারা যাই নাই। কে জানে এর পর আমি বেঁচে থাকব কি না। আমাকে একঘরে করে দিয়েছে শিক্ষকেরা। আমাকে অনার্সের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে। প্রতিবাদের ফলাফলস্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। একজন শিক্ষক আমাকে ৪০ মার্কের ইনকোর্স পরীক্ষায় ডাবল শূন্য দিয়েছে। এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে খুন করে ফেলা হচ্ছে।’

‘আমি যখন অভিযোগ দায়ের করি, তখন কোনো সেল ছিল না। কোনো সেল না থাকায় আমাকে সরাসরি উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করতে হয়েছিল। উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করায় আমার ওপর অনেক ধরনের প্রেশার আসে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তারা আমার গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আমার বাবা-মা অসুস্থ, তাদের ওপর প্রেশার করেছে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য। অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আমাকে বিভাগের রুমে কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাংবাদিক সমিতি আছে সেখানে ওই টিচার ক্ষমতাবলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে আমার প্রসঙ্গে যেন কোনো নিউজ না আসে।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমি যে এত স্বাভাবিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করছি- আমি ভেতর থেকে এতটা স্বাভাবিক না। আমার একটা অভিযোগ দায়ের করার কারণে ওইটা যেন অপরাধ হয়ে উঠেছে। আমার ক্লাসমেটরা আমার সঙ্গে মিশতে ভয় পায়। আমি দুই বছর যাবৎ কারও সঙ্গে মিশতে পারি না। আমাকে একা করে ফেলা হয়েছে। ওই শিক্ষক ডিপার্টমেন্ট বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াই। উনাকে কোনো লিভে পাঠানো হয় নাই। আমাকে এইট সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমার এসাইমেন্ট টিচাররা নিতে চাই না। আমাকে সেভেন সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমাকে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে।’

‘আমি আজীবন পড়াশোনা ব্যতীত কিছুই করিনি। আমি ননপলিটিক্যাল ছাত্রী। আমি কোনো অর্গানাইজেশনে জড়িত না। সেখান থেকে আমার জন্য সহজ ছিল না প্রতিবাদ করার। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে আমি প্রতিবাদ করেছি। সেই  প্রতিবাদের ফলাফল স্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। প্রতিবাদ করা আমার অন্যায় ছিল। আমার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আমি মিশতে পারি না। আমি যতই হাই ক্যালিভার আমি প্রকাশ করি- আমি  মার্কস পাই না। আমার কি তাহলে উচিত ছিল ওই শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি হওয়া। আমি রাজি না হয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছি। আমি মার্কসিট পুণর্মূল্যায়নের আবেদন জানালেও তা করা হয়নি। এবার চেয়ারম্যান স্যার উনার দুইটা কোর্সে আমাকে ১০০ এর মধ্যে তিন দিয়েছেন। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কতটুকু খারাপ মেধার অধিকারী হলে আমি তিন পাই। আমার প্রসঙ্গে আমি বুজতে পারি আমার মেরুদণ্ড কতটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে কাউন্সিলিং নিতে হয়। আমিতো স্বাভাবিক না। আমার বিভাগে এমনকি ক্যাম্পাসে অনেক আছে- এই একটা কারণে কেউ প্রকাশ করে না।’

‘আজকে যে অবন্তিকা মারা গেল, দেড় বছর আগে থেকে যুদ্ধ করে আসছে- মেয়েটা যদি বিচার পেত তাহলে কি আজ মারা যেত? এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের খুন করে ফেলা হচ্ছে। সে বিচার পেলে আজ এই ঘটনা ঘটত না।’

অভিযুক্ত কে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, উনি ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার। উনি সিনেমা নির্মাণ করেন, আবার আমার বিভাগের লেকচারার ছিলেন। এখনো উনি বহল আছেন। উনি আমাকে কাজের জন্য উনার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে হ্যারাজ করেন। এটা নিয়ে আমি অনেকদিন ভুগেছি। যখন আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে- আমাকে প্রতিনিয়ত ফেল করানো হচ্ছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হচ্ছে। আমার বাবাকে বলা হচ্ছে-আপনার মেয়েকে বহিষ্কার করে দেব। নতুন করে যে কিমিটি করা হয়, এখন যিনি ভিসি আছেন তিনি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ভিসি সাদেকা হালিম ম্যাডাম অনেক নারী বান্ধব।’

‘কিন্তু ম্যাডামের উপস্থিতি থাকা স্বত্বেও আমি এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না। কয়েক দফা রিপোর্ট আসা স্বত্বেও ওই আবু সাইদ ইমন যিনি শিক্ষক এবং উনাকে সাহায্যকারী আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার অধ্যাপক জুনাইদ হালিম এতগুলো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরও উনারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছন। একজন শিক্ষক কতটা বেহায়া হলে নিজের দোষ ঢাকতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও তারা হেরে গেছেন। তারা সিন্ডিকেটের প্রতিবেদন না মেনে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। উনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার বলে ক্ষমতা বলে কি সকাল জায়গায় পার পেয়ে যাবেন।’

অন্যরা অভিযোগ না করার বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ফেল করার ভয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাইদ ইমনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো কথা বলেন। আমিতো ফেল করে গেছি। আমারতো স্টুডেন্ডশিপের কোনো ভয় নাই। আমি রাস্তা দিয়ে যখন চলাফেরা করি-তখন আততায়ীরা আমাকে ফেরে ফেলতে পারে। আমি সারাক্ষণ অনিরাপত্তায় ভুগি। আমার পরিবার অনিরাপত্তায় ভোগে। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না বা প্রকাশ করছে না তারাও যে নিরাপদ না বিষয়টা তেমন না। একজন শিক্ষার্থী যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়-তখন তার চরিত্র নিয়ে যেসব কথা বলা হয় তা প্রকাশ করা যায় না। আমার বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যখনই কেউ কথা বলেন-তখনই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেন।’


আরও খবর