আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

৫০ শতাংশ উপস্থিতি বাস্তবায়ন হচ্ছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
৫০ শতাংশ উপস্থিতির বিষয়টি আমাদের ডিপার্টমেন্টে প্রায় শতভাগ নিশ্চিত করেছি। কারা অফিসে থাকবে বা কারা বাসায় থাকবেন, সে রোস্টার করা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা নির্দেশনার একটি- অফিস-আদালতে ৫০ শতাংশ উপস্থিতির বিষয়টি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় এটি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে। আর অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোও বাস্তবায়ন করছে এবং এ হার প্রায় ৭০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত নির্দেশনাগুলোর একটিতে বলা হয়েছে, জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানাগুলো ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী/অসুস্থ/বয়স ৫৫-ঊর্ধ্ব কর্মকর্তা/ কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার পরদিন শবে বরাতের সরকারি ছুটি শেষে বুধবার (৩১ মার্চ) প্রথম অফিস। সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দেখা গেছে, প্রায় স্বাভাবিকের মতোই উপস্থিতি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মাস্ক পরা নিয়ে নির্দেশনা, তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। 

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ৫০ শতাংশ উপস্থিতির বিষয়টি আমাদের ডিপার্টমেন্টে প্রায় শতভাগ নিশ্চিত করেছি। কারা অফিসে থাকবে বা কারা বাসায় থাকবেন, সে রোস্টার করা হয়েছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোতেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হয়তো ৭০ ভাগ হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় এবং বড় সিদ্ধান্ত, দুই-একদিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, গর্ভবতী, অসুস্থ ও যাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি বা যাদের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে, তারা বাড়িতে অবস্থান করে অফিস (হোম অফিস) করবেন।


আরও খবর



এসএসসিতে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে ডিজিটালি আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তবে পাসের হার বাড়লেও এবার জিপিএ-৫ কমেছে। এ বছর ১১টি বোর্ডে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১ হাজার ৪২৬ জন।

এদিকে, ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড, আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় তাপ; যেন শরীর জ্বালাপোড়া করে পুড়ে যাচ্ছে! অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। গরমে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চিকিৎসকেরা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । মাংসও ঘন ঘন খেতে বারণ করেন। পরিমাণেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বরং সবজি দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল কিংবা ডাল খেতে বলেন। তবে ডিমের বিষয়টি আলাদা।

ডিম শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। চনমনে রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। তাই বলে গরমে ইচ্ছেমতো ডিম খেয়ে যাওয়া কি ঠিক? পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খাওয়া যাবে না, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। ডিম খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভাল করে সেদ্ধ করে নিলে সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণেরও ভয় নেই। গরমের সঙ্গে ডিমের কোনও বিরোধ নেই।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খেলে যে ক্ষতির কোনও কারণ নেই কিন্তু কী খাচ্ছি, তার চেয়েও কতটা খাচ্ছি, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। গরমে ডিম খাওয়ার পরিমাণে কতটা রাশ টানা জরুরি? আসলে পরিমাণটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত কিংবা অক্লান্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া জরুরি সে ক্ষেত্রে। সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে দিনে দু-তিনটি ডিম খান অনেকেই। কিন্তু অনেকের আবার শারীরিক পরিশ্রম কম। শরীরচর্চাও করেন না। সে ক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। বয়স, উচ্চতা, শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ এবং আরও বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িয়ে থাকে ডিম খাওয়ার সঙ্গে।

গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, গরমের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন ডিমকে। ডিম হল সুপারফুড। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, জিংক ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর ডিম।

স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতা প্রদান করে ডিম। এমনকি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। হজমের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু একটার বেশি ডিম খেলে এই গরমে কি শারীরিক সমস্যা বাড়বে?

অনেকের ধারণা, গরমকালে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এটা শুধু ধারণা মাত্র। ডিমের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা আদতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গরমে ভারী খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

এমনকি পেট গরম হতে পারে ভেবে অনেকে ডিম খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন। গরমে ডিম খাওয়া মানা নয়। তবে পরিমাণের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। গরমে দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কারও হজমশক্তি খুব ভাল হলেও বেশি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। ডিম দিয়ে কী বানাচ্ছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ডিম দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। জেনে নিন গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

ডিম সেদ্ধ করুন এমন ভাবে, যাতে ডিমের সাদাটি সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অথচ কুসুমটি নরম তুলতুলে থাকে। এই ভাবে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ভাবে সেদ্ধ করলে ডিমের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুও মরে যায়। টোস্ট আর ডিম পোচ জুটির বাঙালি বাড়িতেও কম জনপ্রিয়তা নেই। এই গরমে ডিম খেতে হলে পোচ বানিয়ে খাওয়াই ভাল। পেটের গোলমাল হওয়ার ভয় নেই। শরীরও শক্তি পায়। শারীরিক কোনও অস্বস্তি হয় না।

অনেকেই হাফ বয়েল ডিমে আঁশটে গন্ধ পান। তাদের জন্য পুরো সেদ্ধ ডিমই সেরা। মিনিট পাঁচেক পানিতে ফুটিয়ে নিলেই ডিম সিদ্ধ তৈরি। চটজলদি খাবার হিসাবে ডিম সেদ্ধর বিকল্প নেই। লবণ আর মরিচ দিয়েই খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়াও সেদ্ধ ডিম দিয়ে বানাতে পারেন এগ সালাদ কিংবা এগ স্যান্ডউইচ।

গরমকালে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। এতে সহজেই ওজন কমবে। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই স্বাস্থ্যের কোনও গন্ডগোল না থাকলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।


আরও খবর



কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে প্রায় ২৩ লাখ পশু বেশি আছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এ বছর কোরবানির জন্য এক কোটি ৭ লাখ দুই হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদার বিপরীতে এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ বছর এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। যা গতবারের চেয়ে চার লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। আর এবার এক কোটি ৭ লাখ দুই হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদা থাকতে পারে বলে সম্ভাবনার জায়গা থেকে আমরা ধরে নিয়েছি। বাইরে থেকে যেন পশু না আসে, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আর এবার এ সুযোগ নেই। চোরাই পথে যেন না আসে, সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক এবং সজাগ থাকব। এ বছর সারা দেশে তিন হাজার পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে বসবে ২১টি।

কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য তিনি খামারিদের পরামর্শ দেন। মন্ত্রী বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও অনলাইন প্লাটফর্মে সারা দেশে কোরবানির পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু থাকবে। যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য সুখকর অবস্থা তৈরি করবে।

তিনি বলেন, লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু যেন কেউ বিক্রির চেষ্টা না করে। প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কি না বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কি না তারা সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।

মন্ত্রী যোগ করেন, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যেন না হয়, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যেন রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। পশুর হাটে কোনো রকম সমস্যা হলে হটলাইন নম্বরে কল করলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুন্দরভাবে আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন করতে চাই। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি যেন স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায় সে লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। কোরবানির পশুর জন্য অতীতে অন্য কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু আমরা এখন দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকসহ অন্যান্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিরিয়ানির প্যাকেট নিতে এসে লাশ হল ৬ বছরের শিশু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লায় টাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ছয় বছরের শিশু সুমাইয়া। ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৮ মে) বিকেলে উপজেলার পদ্মকোট গ্রামের সরকার বাড়ি মসজিদের পাশে।

নিহত সুমাইয়া পদ্মকোট গ্রামের রিক্সা চালক আব্দুল আউয়ালের মেয়ে।

পদ্মকোট বাজারের প্রত্যক্ষদর্শি কাঠমিস্ত্রি জুয়েল মিয়া জানান, পদ্মকোট গ্রামে একটি ঈদগাঁহ প্রতিষ্ঠার জন্য এলাকার সভা শেষে আগতদের বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ করা হয়। ওই বিরিয়ানি নিতে এসে শিশু ফারজানা আফরুজা সুমাইয়া সড়কের পাশে দাড়িয়েছিল, এসময় উপজেলার চরবাকর মনির ব্রিকস ফিন্ডের ইট বহনকারী একটি দ্রুতগামী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা সুমাইয়াকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফারহানা ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নয়ন মিয়া জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহতের বিষয়ে কেউ মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করেননি। ইট বহনকারী ট্রাক আটক করা হলেও ড্রাইভার পালিয়ে যায়।

নিউজ ট্যাগ: কুমিল্লা

আরও খবর



বাসমতি চালের বিকল্প হতে পারে ‘বিনা ধান-২৫’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়েবিনা ধান-২৫এর পরীক্ষামূলক চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। কম সময়ে ধানের বাম্পার ফলনে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা জুগিয়েছে। নতুন উদ্ভাবিত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বোরো জাতেরবিনা ধান-২৫ বাসমতি চালের বিকল্প হিসেবে ধান চাষাবাদে চিকন চাল আমদানি কমাতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামেবিনা ধান-২৫জাতের প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখা যায়, ধানের শীষে সোনালি আভা। সবগুলো ধানের গোচা সোজা সারি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ধান গাছের প্রতি শীষে ধরে আছে চিকন ধান। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। দুই একর জমিতে জামালপুর গ্রামের বাবুল কান্তি মজুমদার, পলাশ দত্ত, রাজু মজুমদার, সুমন চন্দ্র দে কমল কান্তি দে পার্টনারশিপ প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবেবিনা ধান-২৫চাষ করেছেন। ধানের ফলন দেখে তাদের মুখে হাসি দেখা গেছে।

কৃষক পলাশ দত্ত বলেন, ‘আমরা কৃষি প্রণোদনা পেয়ে দুই একর জমিতে পরীক্ষামূলক বিনা-২৫ ধানের আবাদ করেছি। এই প্রথম নতুন জাতের চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান গাছের শিষ প্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০টি ধান ধরেছে। অন্য জাতের তুলনায় জাতে শীষ প্রতি ধানের পরিমাণও বেশি। বিঘাপ্রতি ২০-২৫ মণ উৎপাদনের পাশাপাশি বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় বেশি লাভের আশাবাদী আমরা।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মিরসরাইয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাস্টার প্রযুক্তি প্রদর্শনী (বোরো) ‘বিনা ধান-২৫আবাদ করা হয়েছে।

উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে জাতের ধানের প্রদর্শনী করা হয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে পার্টনারশিপে একাধিক কৃষককে একর জমির জন্য ২০ কেজি করে মাদার সিড দেওয়া হয়। পরীক্ষামূলক আবাদে এবার সুবিধাভোগী কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছিল।

হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. এমরানুল হক বলেন, ‘জামালপুর গ্রামের পাঁচজন কৃষক পরীক্ষামূলকবিনা ধান-২৫প্রদর্শনী দেখে এখানকার অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবারে বাম্পার ফলন এবং বাসমতি চালের বিকল্প ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় অনেক চাষি ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিনা ধান-২৫জাতটি মিরসরাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এবং সুগন্ধি। ধানটি দেশে বাসমতি চালের বিকল্প হতে পারে। কৃষিকে বহুমুখীকরণ কৃষকদের ভালো লাভের মাধ্যমে কৃষিকাজে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাত আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।


আরও খবর