আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, কিশোর গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজশাহীর মোহনপুরে ৫ বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে রিফাত হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কোটালিপাড়ার দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন (১৫) একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ৫ বছরের শিশুকন্যাকে তার দাদার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বাড়ি থেকে হাফ কিলোমিটার পশ্চিমে কলিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাড়িতে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে রিফাত।

এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে রিফাত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক রিফাতকে ঘটনাস্থলের পাশ থেকেই গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে রিফাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিউজ ট্যাগ: শিশুকে ধর্ষণ

আরও খবর



ড. ইউনূসকে ৫ বছরের ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১১ সাল থেকে পরবর্তী ৫ পাঁচ বছরের জন্য তাকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।

কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে গত বছরের জুনে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে কর বকেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে নিজের অবস্থান পরিস্কার করা হয়।

ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা। তার উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি লব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।

একটি ট্রাস্ট করলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট এবং অল্প কিছু টাকা দিয়ে (মোট টাকার ৬ শতাংশ) উত্তরসূরীদের কল্যাণের জন্য করলেন ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে এই রূপ বিধান রেখে দিলেন যে তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে ফিরে যাবে। তিনি এটা করলেন যাতে তার বর্তমানে ও অবর্তমানে টাকাটা ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে এবং তারা ট্রাস্ট ২টির লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর থাকে।

দানকর দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে তাকে কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম। দানকরের প্রসঙ্গটি তুলেছেন তার আইনজীবী। আইনপরামর্শক বলেন, ট্রাস্ট গঠনের কারণে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দিলেন যে, এরকম ক্ষেত্রে (অর্থাৎ প্রফেসর ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।

আইনজীবীর পরামর্শের ভিত্তিতে টাকা স্থানান্তর করার সময় প্রফেসর ইউনূস কোনো কর দেননি। কিন্তু তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানালেন যে, এক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন। তিনি টাকার অঙ্কটা রিটার্নসে উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেছেন। আইন পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রফেসর ইউনূস এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলেন। আদালত কর দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

এখানে তার কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকেই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছিল। আদালতে সরকার যায়নি, প্রফেসর ইউনূস গিয়েছেন। কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন উঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। এখন প্রফেসর ইউনূস বিবেচনা করবেন তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন। করের আইন যদি এক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, প্রফেসর ইউনূস তাহলে সে টাকাটা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই হলো কর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার পেছনে তার উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে প্রফেসর ইউনূস ট্রাস্টের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেন। বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতি ভ্রমণে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যয়ও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। প্রফেসর ইউনূসের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। কখনো কখনো তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট উড়োজাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে টাকা খরচের চিন্তা তাকে কখনো করতে হয় না।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করব না: ফেরদৌস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। বুধবার (৬ মার্চ) ফেনীতে রেমন্ড শপের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, অনেকেই বলছে শিল্পী সমিতি নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করব। কিন্তু আমি এখন সবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করব না। আগে ছিলাম পর্দার নায়ক এখন মাঠের নায়ক হতে চাই। দেশের দশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি এটা আমার বড় প্রাপ্তি। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলেছি, আরো জোরালোভাবে বলবো বলে জানান তিনি।

শুরুতে ফিতা কেটে ও কেক কেটে শো-রুম উদ্বোধন করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। শোরুমটির উদ্বোধন করেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আজমেরী গ্রুপের ডিরেক্টর মফিজুর, রেমন্ড শপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শরীফ হোসেন। এ সময় ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের তিন বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

এ ছাড়া বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, আন্দোলনে সরগরম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা সানজানা আহসান যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

গত রোববার (৩ মার্চ) সাজন সাহার অনৈতিক প্রস্তাবের একাধিক স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেন ওই শিক্ষার্থী।

যৌন হয়রানির বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০১৯ সাল থেকেই ঐ শিক্ষক তাকে নানা ধরনের হয়রানি করাসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। সেখানে তিনি সাড়া না দিলে তাকে নানা দিক থেকে হেনস্থা করে আসছে সাজন সাহা। অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় বসতে জরিমানা নেওয়া, পরীক্ষার খাতায় নম্বর কমে যাওয়া, থিসিস পেপার আটকে দেয়া সহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় ওই শিক্ষার্থীকে। এসব বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে মৌখিকভাবে ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে তিনি সমাধানের নামে একাধিক শর্ত বেঁধে দেন, যার মধ্যে অন্য দুই সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক রিমন সরকার ও সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা সুলতানার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে দেওয়া অন্যতম।

এসব বিষয়ে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র এবং অভিযুক্ত শিক্ষক সাজন সাহাকে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা বিভাগে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভাগের নামফলক কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়াসহ অভিযুক্ত শিক্ষকের নামফলক পুড়িয়ে দেয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা রেজুয়ান আহমেদের কাছে যাই। বিষয়টি আসলে অবরুদ্ধ করে রাখার মতো নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে রেজুয়ান আহমেদকে কক্ষ থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের যে অভিযোগ তারা এটি বিভাগীয় প্রধান বরাবর জানালে ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু তারা সেটা করেনি। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে এ বিষয়ে কোন তথ্যপ্রমাণ থাকলে সবাই জানতো। অভিযোগ করলেই হবে না শুধু, ‍সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তার হয়রানির ঘটনা বর্ণনা করেন। পরে বুধবার দিনব্যাপী মানববন্ধন করে এবং ছয় দফা দাবি পেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই দিনই ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক করে শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মৌন মিছিল সহ শুক্রবার বাদ জুম্মা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি খুবই বিব্রতকর ব্যাপার। আমার কাছে ছেলেমেয়েরা এসেছে। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের পর একে একে আরো ত্রিশোর্ধ শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার নিশ্চিতের দাবি নিয়ে বিভাগের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠ্য কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



পাথরঘাটায় দুইটি হরিণের চামড়াসহ আটক ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় দুইটি হরিণের চামড়াসহ তিনজনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। এঘটনায় চক্রের মূল হোতা আবু বকর পালাতক আছে বলে জানিয়েছে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাববাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি হরিণের চামড়াসহ দক্ষিন চরদুয়ানী এলাকার জাহাঙ্গীর আকনের ছেলে ফিরোজ আকন (২৬), দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমানের ছেলে মহিবুল্লাহ হাওলাদার (১৯), মঠেরখাল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার(২৬) কে আটক করা হয়।

জানা যায়, এএসআই ওয়াসিম এর নেতৃত্বে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দুইটি হরিণের চামড়াসহ চোরাকারবারি চক্রের তিনজনকে আটক করা হয়।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরদুয়ানি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে হরিণের চামড়া সহ তিনজনকে আটক করা হয়। চক্রের মূল হোতা আবু বকর পালাতক রয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের চামড়া পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার চলমান।


আরও খবর