পাকিস্তানের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। কারাদণ্ডের
পাশাপাশি ইমরান খান আগামী পাঁচ বছর কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন
না। এছাড়া এক লাখ পাকিস্তানি রুপি জারিমানা করা হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) ইমরান খানকে
দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেওয়া হয়।
রায়ে
বিচারক বলেন, তোষাখানা মামলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন
ইমরান খান। এই মামলায় দুর্নীতির জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের
১৭৪ ধারা অনুযায়ী তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ রুপি জরিমানা দেওয়া হলো।
রায়
ঘোষণার ২৯ মিনিটের মাথায় লাহোরে নিজের বাসভবন থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে
লাহোরের কেন্দ্রীয় জেলখানা কোট লাখপত জেলে নেওয়া হয়।
ইমরান
খানের আইনজীবী ইন্তেজার পাঞ্জোথা নেতার গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বার্তা
সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আজকেই (শনিবার) তা করা হবে।
৭০
বছর বয়সি খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রীয় উপহার
ক্রয় ও বিক্রয় করেছেন তিনি। এসব উপহারের অর্থমূল্য প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার রুপি। বিদেশ
সফরে তাকে এসব উপহার দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, ব্যক্তি ইমরান
খানকে নয়। তাই এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
চলতি
বছরের নভেম্বরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
গ্রেপ্তারের কারণে ইমরান খান সেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র
: দ্য ডন, জিওনিউজ, আল-জাজিরা, এনডিটিভি