আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

৫-৬ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ: বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সেই সঙ্গে আগামী শুক্রবার সারা দেশে দোয়া মাহফিলেরও ঘোষণা দেন তিনি। চলমান আন্দোলন বিএনপির নিহত নেতাকর্মীদের জন্য এই দোয়া মাহফিল হবে।

নিউজ ট্যাগ: অবরোধ বিএনপি

আরও খবর



কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৯ সেনা নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর কলম্বিয়ার একটি গ্রামীণ এলাকায় দেশটির সেনাবাহিনীদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই হেলিকপ্টারে থাকা ৯ সেনা নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২ জন সার্জেন্টও ছিলেন। হেলিকপ্টারে থাকা যাত্রীদের কেউই বেঁচে নেই।

দেশটির সশস্ত্র বাহিনী গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।

একটি বিবৃতিতে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি সান্তা রোসা দেল সুরের পৌরসভায় যাচ্ছিল। যেখানে সম্প্রতি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গেরিলা গ্রুপ এবং উপসাগরীয় গোষ্ঠী নামে পরিচিত মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং সেই অভিযান চলমান রেখেছে সামরিক বাহিনী।

তবে সামরিক বিবৃতিতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তকে একটি দুর্ঘটনা বলেই বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, হেলিকপ্টারটি একটি অভিযানের জন্য নতুন সৈন্যদের নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।

প্রেসিডেন্ট আরও জানান, গালফ ক্লানের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে নতুন সেনা সদস্যদের বহনকারী এ হেলিকপ্টারটির কোন যাত্রীই বেঁচে নেই।

তবে রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ হেলিকপ্টারটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে কিছু জানানো হয়নি।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর



‘চার মাসে নির্যাতনে ৩৬ শ্রমিকের মৃত্যু’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত ১২৯ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৬ জন। আহত হয়েছেন ২১৩ জন।

শ্রমিক নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটেছে কারখানা, বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও নৌপথে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এইচআরএসএসের তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ৯২টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২৮ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এ সময়ে সাতটি গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া এপ্রিল মাসে ৩৭টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন শ্রমিক। এ সময়ে নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৮৫ জন। এপ্রিল মাসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৭ জন শ্রমিক মারা গেছেন।


আরও খবর



ভুয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্সে চলছে জবির ক্যাফেটেরিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ভুয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়া ট্রেড লাইসেন্সটি (TRAD/DSCC/901214/2019) ভুয়া, যেখানে টেম্পারিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বসানো হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ইস্যু করা আসল ট্রেড লাইসেন্সে প্রতিষ্ঠানের নাম 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া' এবং মালিকের নাম মাসুদ আলম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মাসুদ সেই লাইসেন্সের সব তথ্য ঠিক রেখে খুব চতুরতার সাথে টেম্পারিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মাসুদ এন্ড কোং করেন। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে লাইসেন্সের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। কিন্তু ৪ বছরেও নবায়ন করা হয়নি লাইসেন্স।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকায় পরিচালনার দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শরিফুল ইসলাম। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত থাকায় শরীফুল নিজের নামে কাগজপত্র করতে পারেননি। তাই তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মাসুদ আলমের নামে সব কাগজপত্র করেন শরিফুল। তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার তদারকির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে মাসুদ আলমকে বুঝিয়ে দেন। সকল কাগজপত্র মাসুদের নামে থাকায় পরবর্তীতে মূল অংশীদার শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে এককভাবে মাসুদ আলমকে মালিকানা হস্তগত করেন।

এদিকে প্রতারণা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে মাসুদ আলম দাপটের সাথে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেন শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রভাবশালী ও কর্তাব্যক্তিকে ম্যানেজ করে আমাকে বাদ দিয়ে মাসুদ ক্যাফেটেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেন।

বর্তমান ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাসুদ আলম বলেন, এখন ট্রেড লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স নবায়নের কাজ চলমান আছে, কয়েকদিনের মধ্যে পেয়ে যাবো। আমি মাসুদ এন্ড কোং নামে ট্রেড লাইসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেইনি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া নামে জমা দিছি। শরীফুলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, ওনার কথা সত্য নই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক জিএল আল আমিন বলেন, ২০২৩ সালে আগস্টে ৩ বছরের জন্য ক্যাফেটেরিয়ার নতুন ইজারা নিয়েছে মাসুদ আলম। যেহেতু আমি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ছাত্রকল্যাণের দায়িত্ব পেয়েছি, তাই ট্রেড লাইসেন্সসহ এর আগের কোন বিষয়ে আমার জানা নেই।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বাংলাদেশকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।


আরও খবর