আসছে ৪৫তম বিসিএস।
এই বিসিএস হবে সাধারণ (জেনারেল) বিসিএস। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আগামী নভেম্বরে প্রকাশের
জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের
একটি সূত্র বলছে, ৪৫তম বিসিএসে কত শূন্য পদ নির্ধারণ করা হবে, সেটির জন্য মন্ত্রণালয়
কাজ করে যাচ্ছে। কিছু পদের তালিকাও তারা পেয়েছে, অবশিষ্ট পদের তালিকা নির্ধারণ করতে
কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারি কর্ম
কমিশন (পিএসসি) সূত্র বলছে, এ বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য
তারা প্রস্তুত। জনপ্রশাসন থেকে পদের তালিকা পিএসসিতে এসে পৌঁছালে তারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
করবে।
এদিকে জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, তারা ৪৫তম বিসিএসের পদ নির্ধারণ করার জন্য ধারাবাহিকভাবে
কাজ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নব নিয়োগ শাখার যুগ্ম সচিব
সায়লা ফারজানা বলেন, ‘৫৭ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শূন্য পদের চাহিদা চাওয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত
৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাঁদের কর্মকর্তাদের পদের তালিকা পাঠিয়েছে। সেগুলো যাচাই–বাছাই করার কাজ চলছে।
এ ছাড়া অন্য
মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যাতে তাঁদের নির্ধারিত শূন্য পদের তালিকা যথাসময়ের মধ্যে পাঠায়,
সে জন্য আমরা তদারক করছি। আশা করছি, সময়ের মধ্যেই সব শূন্য পদের তালিকা আমাদের হাতে
পৌঁছাবে।’
আগামী ৪৫তম
বিসিএস থেকে ক্যাডারের মতো নন-ক্যাডারেও পদ বেছে নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পিএসসি। চাকরিপ্রার্থীরা
এখন শুধু পছন্দের ক্যাডারের পদ নির্বাচন করতে পারেন। নন-ক্যাডারের পদের নিয়োগ দেওয়া
হয় সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) আসা শূন্য পদের তালিকার ভিত্তিতে।
পিএসসির একটি
সূত্র বলছে, নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে ৪৫তম বিসিএস থেকে আবেদনের শুরুতে
ক্যাডারের মতো নন-ক্যাডারেও পছন্দের পদ নির্বাচনের সুযোগ রাখা হচ্ছে। ৪৫তম বিসিএসের
বিজ্ঞপ্তি আগামী নভেম্বর মাসে জারি করা হতে পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
নব নিয়োগ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৪৫তম বিসিএস সামনে রেখে সম্প্রতি পিএসসি নন-ক্যাডারের
শূন্য পদের তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে পিএসসি নন-ক্যাডারের শূন্য পদের তালিকা
দিতে জনপ্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে আহ্বান জানিয়েছে।
পিএসসি থেকে
পাঠানো চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নব নিয়োগ শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন।
পিএসসি জানায়,
২৯তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ শুরু হয়েছে। এত দিন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের
পর চাকরিপ্রার্থীরা ক্রমানুসারে তাঁদের পছন্দের ক্যাডার নির্বাচন করতে পারতেন। সে অনুসারেই
মেধার ওপর নির্ভর করে তাঁরা ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেতেন।
যাঁরা বিসিএসে
পাস করেছেন, কিন্তু কোনো ক্যাডার পান না, তাঁদের নন-ক্যাডারের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা
হয়। পরে শূন্য পদ আসার ওপর নির্ভর করে এই নন-ক্যাডারের অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা বিভিন্ন
মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে নবম থেকে ১২ নম্বর গ্রেডের বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুযোগ পান।