সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছয় দিন ব্যাপী নাট্যোৎসবের শেষ দিনে নাট্যজন সম্মাননা প্রদান করেছে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার। এই সম্মাননা দেয়া হয় নাট্য শিল্পী খায়রুল আলম সবুজকে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে, ছয় দিন ব্যাপী নাট্যোৎসবের শেষ দিনএ অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন, থিয়েটারের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান টিটো।
খায়রুল আলম সবুজ বলেন, ‘এ মঞ্চে আমি এর আগে বহুবার দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আজকের অনুভূতি সম্পূর্ণ অন্যরকম। আমি খুবই কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি। আমি নিজে কখনও নিজেকে বড় ভাবি না। আমি শুধু কাজটুকু করে যেতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ পথ চলা আনন্দের, আপনারা সেই আনন্দ থাকুন, মানুষকে রাখুন। মানুষকে ভাবতে হয়, চিন্তা করতে হয়। আর এগুলো করতে হয় ভবিষ্যতের জন্য। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিংবা জনগোষ্ঠীর সৌন্দর্যের জন্য। আমরা নাটক করছি আর করে যাবো, জীবনের জন্যই করে যাবো।’
নাট্যকার খায়রুল আলম সবুজ ১৯৪৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে কবি, লেখক, অনুবাদক এবং নাট্য শিল্পী। মঞ্চাভিনয়ের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করা সবুজ পরবর্তী কালে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত হন।
অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চার সাথেও জড়িত। গুণী এই অভিনেতা অনুবাদ সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ‘শিল্পের সৃজন হোক নিসর্গের প্রেরণায়’ এই স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের ৪৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ছয়দিন ব্যাপী নাট্য উৎসবের আয়োজন করা হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই উৎসবে শুক্রবার ছিল শেষ দিন।