আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণও এ সময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরশেনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোঃ মতিউর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, মৎস্য বিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব, নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাতকে কোনভাবেই ধ্বংস হতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার নির্দেশনা, নজরদারি ও পৃষ্ঠপোষকতায় ভাতে-মাছে বাঙালির বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে এবং দেশের রফতানি আয় বাড়ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্যজীবীদের স্বার্থেই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় স্বার্থ যারা ধ্বংস করতে চাইবে, তাদের বিষয়ে কোন ধরণের বিবেচনা বা অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কঠিন থেকে কঠিনতর পদক্ষেপ নিতে আমরা কুন্ঠা বোধ করবো না। দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় যত কঠিন হওয়া লাগে, তত কঠিন হতে হবে। কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই

ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত বছরের তুলনায় অধিক সফল করার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় নিজ দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে সঠিক কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের এ সময় আহ্বান জানান তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সব ধরনের দায়-দায়িত্ব নেবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




১২ ঘণ্টা পর মুক্তি মিললো উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করে র‍্যাব। পাশাপাশি নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি ও ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭শ' টাকা জব্দ করা হয়। এর ১২ ঘণ্টা পর তাকেসহ আটক ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে র‍্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের পর মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে র‍্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর মোঃ এহতেশামুল হক খান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের অংশ হিসেবে টহলরত অবস্থা শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। এসময় শাহিনের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭শ টাকা জব্দ করা হয়েছে। টাকাগুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে শাহিনুজ্জামান শাহীন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

আটকদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে, তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।

পরে মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ এহতেশামুল হক খান। তিনি জানান, আটকের পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। যেই টাকা জব্দ করা হয়েছিল সেটি নির্বাচনী ব্যয়ের সীমার মধ্যেই ছিল। জব্দকৃত টাকা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে এবং শাহিনসহ সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ আটক ১১ জনের মুক্তির দাবিতে সুজানগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শাহীনের কর্মী সমর্থকরা। মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর রাত থেকে মুক্তি দেয়ার আগ মুহূর্তে পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সুজানগর থানার সামনে সুজানগরের প্রধান সড়ক ও বাজার অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এ সময় সুজানগর বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ দোকান-পাট বন্ধ ছিল। পরে মুক্তির খবর সেখানে পৌঁছালে আনন্দে মেতে উঠেন নেতাকর্মীরা।

মুক্তি পাওয়ার পর শাহিনুজ্জামান শাহীন বলেন, নির্বাচনী সকল ব্যয় পরিশোধের জন্য টাকাগুলো আনা হচ্ছিল। এটা কোনো অসৎ উপায়ের জন্য ব্যবহার হচ্ছিল না। সম্পূর্ণ বৈধ টাকা। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিজয় ঠেকাতে প্রতিপক্ষরা শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। আজকের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, আগামীকাল ৮ মে পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আনারস প্রতীকের শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব (মোটরসাইকেল)।


আরও খবর



দেশে এক মাসে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে সাড়ে ৪৩ লাখ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা পাঁচ মাস দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমার পর ফেব্রুয়ারি থেকে তা বাড়তে শুরু করে। বছরের দ্বিতীয় মাসে এক লাফে ১১ লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক বাড়ে। সবশেষ মার্চে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক ৩৭ লাখ ৯০ হাজার বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার। এর আগের মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়েছে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার।

গ্রাহক বেড়েছে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটেরও। ফেব্রুয়ারিতে আইএসপির গ্রাহক সংখ্যা ছিল এক কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার। মার্চে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার। এ মাসে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার।

এদিকে, মোবাইল এবং আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটের গ্রাহক বাড়ায় দেশে মোট ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে। মার্চে দেশের মোট ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৪৭ লাখ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে মোট গ্রাহক ছিল ১৩ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজারে। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ৪৩ লাখ ৫০ হাজার।

জানা গেছে, বিটিআরসি প্রতি মাসে দেশের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। এবার কিছুটা দেরিতে অর্থাৎ, মে মাসে এসে মার্চের ইন্টারনেট গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এর আগে টানা পাঁচ মাস দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোর কারণে তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি ইন্টারনেটের দাম আরও বেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চে আরও গ্রাহক হারাবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো। তবে বিটিআরসির তথ্যে দেখা গেলো উল্টোচিত্র।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ টানা দুই মাস মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন পর আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহকও বাড়লো।

জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, এটা বিভিন্ন কারণে কমতে-বাড়তে পারে। খরচ বাড়া-কমা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। অন্য বিভিন্ন কারণও থাকে। ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক সংখ্যা কিছুটা বেড়েছিল। মার্চে বেশ ভালো অগ্রগতি দেখছি আমরা। প্রকৃতপক্ষে আমরা যে তথ্য পাই, সেটাই প্রতি মাসে প্রকাশ করে থাকি। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই।


আরও খবর



মুম্বাইয়ে বিলবোর্ড ভেঙে নিহত ১২, আহত অন্তত ৬০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের মুম্বাইয়ে ধুলিঝড়ের মধ্যে বিশালাকায় একটি বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬০ জন। মঙ্গলবার (১৪ মে) এ তথ্য জানা গেছে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় একটি ফুয়েল স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাউস আকৃতির বিলবোর্ডটি ফুয়েল স্টেশনটির বিপরীতে ছিল। প্রবল ধূলিঝড়ের মাঝে বিলবোর্ডটি ভেঙে ঠিক ফুয়েল স্টেশনটির মাঝখানে এসে পড়ে। এতে মানুষের পাশাপাশি চাপা পড়ে পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও।

দুর্ঘটনার পর ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ধ্বংসস্তূপ অনেকাংশে সরানো সম্ভব হয়। সংস্থাটির পরিদর্শক গৌরব চৌহান জানান, নিহতদের মধ্যে আটজনের মরদেহ ‍উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহরাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার এ ঘটনায় বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ৯ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, ফারুক আব্বাসী,আদনান সিদ্দিকী, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।


আরও খবর



হামাস চাইলে কালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার সিয়াটলে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের।

বাইডেন বলেন, আমি যেমনটা বলেছি, এটি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা চায় তাহলে আমরা আগামীকালই একটি যুদ্ধবিরতি করতে পারব। আর যুদ্ধবিরতি আগামীকাল থেকেই শুরু হবে।

গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে।

গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জো বাইডেন

আরও খবর