আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার চূড়ান্ত এ তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

আরও পড়ুন: ফ্রেঞ্চ ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে সাবালেঙ্কা

তিনি বলেন, আমরা অল্প কয়েকটা আসনের সীমানা পরিবর্তন করেছি। সীমানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো ইউনিয়ন ভাগ হয়নি, তবে উপজেলা ভাগ হয়েছে।

আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলার আসামি কালু গ্রেপ্তার

তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যে আবেদনগুলো এসেছিল, সেগুলো শুনানি করে যাদের বক্তব্য বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে তাদেরটাই আমলে নেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকটা আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, অল্প কয়েকটা আসনে সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৪৩২ কোটি টাকা মুক্তির আগেই তুলে নিয়েছে আদিপুরুষ

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সে সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ১৯ মার্চের মধ্যে আপত্তি থাকলে উত্থাপন করতে হবে। এতে ৩৮টি আসনে মোট ১৮৬টি দাবি-আপত্তির আবেদন জমা পড়ে। পরবর্তীতে ৩ থেকে ১৪মে পর্যন্ত চারটি পৃথক দিনে আবেদনগুলোর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। এতে অল্প কয়েকটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।


আরও খবর



মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ১০ মিনিটের মধ্যে পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে যায়।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত ভোর পৌনে ৪টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। সর্বশেষ ৫টা ৬ মিনিট পর্যন্ত আগুন জ্বলছে।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত পৌনে ৪টায় আগুনের সংবাদ পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাত ৩ টা ৫২ মিনিটে। প্রথমে ৭ টি ইউনিট কাজ করলেও আগুনের তীব্রতা বাড়ায় ইউনিট বাড়িয়ে ১২টি করা হয়। আগুনের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি, এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ঐতিহ্য হারাচ্ছে ঈশ্বরদীর মৃৎশিল্প

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

প্লস্টিক তৈরির সামগ্রীর দাপটে পাবনার ঈশ্বরদীর মাটির তৈরি সামগ্রী কারিগর বা মৃৎশিল্পীদের দুর্দিন চলছে। নেই আগের মতো বেঁচা-বিক্রি এবং মাটির তৈরির হাঁড়ি-পাতিল ও খেলনাসহ অন্যান্য সামগ্রী। প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের চাহিদায় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরী হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

কিছু দিন আগেও কেবল মাত্র দই এবং ফুলের টব তৈরি করা হলেও এখন মাত্র দইয়ের পাতিল তৈরি করে কোনো রকমে জীবনযুদ্ধে টিকে আছে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের মধ্য পাল পাড়ার একাধিক কুমার। তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এ পেশায় সংযুক্ত না করে নিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পেশায়। এক সময় বিনামূল্যে মাটি পেলেও এখন উচ্চমূল্যে মাটি কিনে এবং অন্যান্য খরচ করে মাটির সামগ্রী তৈরিতে পোষাচ্ছে না তাদের।

সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া মধ্য পাল পাড়ার সাধন পাল জানান, মূলত এই ব্যবসাটা আগে ছিল এখন আগের মতো আর নেই তারা বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা না পেলে এটা আগামী দিনে ঐতিহ্যবাহী পেশা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাদের কোনরকম সংসার চালানোর চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অপর দিকে উপজেলার মুলাডুলি পালপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার মৃৎশিল্পীগণ এখন শুধু কুয়োর পাঠ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তারপরও বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহী পৈত্রিক এ পেশা ধরে রাখতে কোনো রকমে টিকে আছে তারা। এক সময় দেশের সর্বত্র মৃৎশিল্পী বা কুমারদের সোনালি দিন ছিলো। বছরজুড়ে থাকত কুমারবাড়ি বা পাল পাড়াতে মাটির হাঁড়ি-পাতিল, খাদা প্লেট, কলসি, জগ, গ্লাস, গো-খাদ্যের চাড়ি, মুড়ি ভাজার পাতিলসহ নানা আসবাবপত্র এবং বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী তৈরির জমজমাট কর্মযজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি কুমার বা পালদের তৈরি হাঁড়ি-পাতিলসহ নানা সামগ্রী।

কিন্তু বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে প্লাস্টিক সামগ্রীর কারণে মাটির তৈরির হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্যান্য মাটির সামগ্রীর কদর কমে আসে। ৩-৪ বছর আগেও কেবল মাত্র মিষ্টি ও দই এবং ফুলের টবের কিছুটা চাহিদা ছিল। হাজার বছরের ঐতিহ্য বহণকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা আগের মত না থাকায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনের ফলে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। আধুনিক জিনিসপত্রের ভিড়ে মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকট এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।


আরও খবর



বরগুনায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ডেঙ্গুবাহিত এডিসের বাসস্থান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

সারাদেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে মারাও যাচ্ছে অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যেন ডেঙ্গুবাহিত মশার বাসস্থান হয়ে উঠেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ডেঙ্গুমশা থেকে বাঁচতে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকগণ নানা পরামর্শ দিলেও নিজেরাই মানছেন না সেসব নিয়মকানুন। হাসপাতাল এরিয়ার মধ্যে জমে থাকা ময়লার স্তূপে ডেঙ্গুর বংশবিস্তার হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনের পেছনের ড্রেনগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। প্রতিটি ড্রেনে রয়েছে পঁচা কালো রঙের দুর্গন্ধযুক্ত পানি। যেখানে- সেখানে রয়েছে ময়লার স্তূপ ও জলাবদ্ধতা। এসব ময়লায় জন্ম নিচ্ছে মশা, সঙ্গে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। এছাড়াও হাসপাতাল কম্পাউন্ডের মধ্যে গজিয়ে উঠেছে কচু গাছ, নানা জাতের আগাছা, গাছগাছালি ও ঘাস। এগুলোর নিচে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে এবং ওখান থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা ও পোকা-মাকড়। ভবনের দেয়ালে ও ছাদেও নানা জাতের আগাছা গজিয়ে উঠেছে। দেয়াল বেয়ে পানি পড়ছে। এতে আয়ু কমছে ভবনের।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা জানান, হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই যদি ডেঙ্গু মশা বিস্তারের স্থান তৈরি করা হয়, সেটা বড় কষ্টদায়ক। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তেমন ভ্রূক্ষেপ নেই বলে জানালেন একাধিক রোগী। হাসপাতালটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও ইদানিং দায়সারা কাজ করেন। আবার কখনো হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনায়েম সাদ বলেন, আমাদের হাসপাতাল নিয়মিতই পরিষ্কার করা হয়। অপরিষ্কার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে, রোগীরা ওষুধের প্যাকেট, খাবারের অবশিষ্ট অংশ ও নানা ময়লা আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলানোর কারণে মাঝেমধ্যে আমাদের কিছুটা সমস্যা পোহাতে হয়। তবে, রোগী ও তাদের স্বজনদের একটু সচেতনতা এ সমস্যার সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তারে জলাবদ্ধতা ও আবর্জনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করব।


আরও খবর



দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর : আরও তিন দিন সময় পেল তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আরও তিনদিন সময় পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দাখিল করতে আরও সাতদিন সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিনদিন সময় মঞ্জুর করেছেন ডিএমপি কমিশনার।

প্রথম দফায় দুইদিনের সময় পাওয়ার পর এ নিয়ে দুই দফা আবেদন করে সময় পেল তদন্ত কমিটি। সময় বাড়ানোর বিষয়টি ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন করেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ।

ভুক্তভোগী দুজন হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।

পরে হারুনকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি আদেশ জারি করে ডিএমপি। তবে ওইদিন বিকেলেই পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সই করা এক আদেশে তাকে এপিবিএন-এ বদলি করা হয়। পরে তাকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়।

গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলেই ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি আগামী দুদিনের মধ্যে দ্রুত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে ডিএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপি সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) আবু ইউসুফকে। দুই সদস্য হলেন, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

সেই তদন্ত কমিটি সময় পেয়েছিল দুই কার্যদিবস। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল সম্ভব না হওয়ায় আরও পাঁচ কার্যদিবস সময় বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। সেটি সম্ভব না হওয়ায় কমিটি পাঁচ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর আবেদন করে।

পরে গত (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপি কমিশনার সময় বাড়ানোর অনুমতি দেন। সে সময়ের মধ্যেও প্রতিবেদন দাখিল না করতে পারায় ফের আজ (মঙ্গলবার) আরও সাত কার্যদিবস সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন কার্যদিবস সময় মঞ্জুর করেন ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



বেতাগীতে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, স্যালাইনের হাহাকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না, বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

Image

বরগুনার বেতাগীতে বাড়ছে ডেঙ্গু প্রকোপে কেড়ে নিয়েছে ৪ জনের প্রাণ। চলছে শিরায় দেওয়া স্যালাইনের হাহাকার।

এ বছরের মত এত বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু আগে কখনো দেখা যায়নি। রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গুর প্রকোপবৃদ্ধিতে রোগীদের চাহিদামতো স্যালাইন দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। এমন পরিস্থিতিতে বাজারেও শিরায় দেওয়া স্যালাইন কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে  মিললেও বেশি দাম দিয়ে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে এমনই অভিযোগ একাধিক ক্রেতাদের।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে উপজেলার মোকমিয়া ইউনিয়নের জোয়ার করুনা গ্রামের উত্তম মল্লিকের গৃহীনী স্ত্রী শিল্পী রানী (৩৮), বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের আব্দুল জালিল (৫০), বেতাগী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন (৬৫) ও ১নং ওয়ার্ডের মো: শাহ আলম (৩২)র মৃত হয়। গত কয়েক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এরা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের অনেককে বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠনো হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে এক দিনের ব্যবধানে শনিবার দুইজন মারা যান।

সোমবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক মাসেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে জুলাই মাস থেকে এর প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেয়ে দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হয়। বেতাগী হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা হাসপাতালে ১৮৬ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

বেতাগী হাসপাতালে দেখা যায়, বর্তমানে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। উপজেলার কদমতলা থেকে আসা সীমা বেগম (২৭) গত ২১ সেপ্টেম্বর এখানে ভর্তি হন। সেদিন থেকে তাঁকে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে হয়েছে। আজও তাঁর জন্য হাসপাতালের বাইরে থেকে চড়া দামে ২০০ টাকায় স্যালাইন কেনা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্র জানায়, উপজেলার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালেও সাধারণ স্যালাইন (এনএস) ও গ্লুকোজ-সোডিয়াম ক্লোরাইড (ডিএনএস) উভয় স্যালাইনের মজুতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ওষুধের দোকানগুলোতেও এই সংকট রয়েছে। বেতাগী পৌর শহরের একাধিক ফার্মেসির মালিক ও ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলেন, কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না। সিফাত মেডিকেল হলের মালিক হাফেজ মো: আলাউদ্দীন জানান, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্যালাইনের জন্য প্রতিদিন মানুষ ভীড় জমাচ্ছে। কিন্ত সংকটের কারণে তাদের মাঝে সরবরাহ করতে পারছি না। 

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্কর বলেন, ডেঙ্গ রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে স্যালাইনের চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইনের কিছুটা ঘাটতি হতে পারে। স্যালাইন চেয়ে ইতোমধ্যে চাহিদাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। এটা পেলে সংকট কেটে যাবে।

বাজারে কেন স্যালাইন সংকট চলছে এমন প্রশ্নের উত্তরে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, আমদানি করা স্যালাইন উপজেলা পর্যায় পৌঁছালে আশা করি সমস্যা আর থাকবে না। তবে যাতে বাজারে কোন সংকট না থাকে সে বিষয় আমরা স্থানীয় ওষুধ বিক্রেতা ও কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালাবো।


আরও খবর