আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি লোকসান গুনেছেন নির্বাহীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ অক্টোবর 2০২2 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ অক্টোবর 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটাই অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মন্দার শঙ্কা ও স্টক মার্কেটের পতনের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এসব কারণে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেটার শেয়ার ৫৮ শতাংশ কমেছে। গুগল ফাইন্যান্সের তথ্যানুযায়ী, অ্যামাজন ও গুগলের বাজার শেয়ারও ৩০ শতাংশ কমেছে। শেয়ারে পতন হওয়ায় অনেক ধনকুবের লোকসানের মুখে পড়েছে।

যাদের মধ্যে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর প্রধান নির্বাহীরাও রয়েছেন।  ভক্স এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভক্স জানায়, অর্থনৈতিক দৈন্যদশার মধ্যে থাকলেও প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো বর্তমানে ভালো অবস্থানে রয়েছে। অধিকাংশ বিলিয়নেয়ারদের কাছে কোভিড-১৯ মহামারীর আগের সময়ের তুলনায় আরো বেশি অর্থ রয়েছে। তথ্যানুযায়ী, ফোর্বসের শীর্ষ ৪০০ আমেরিকান ধনীদের মধ্যে থাকা প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্টরা সামগ্রিকভাবে ৩১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে।

২০২২ সাল শেষে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের অর্থের পরিমাণ ১৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। এর আগে তিনি ৫ হাজার কোটি ডলার লোকসান করেছেন। সে হিসাবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার বেশি রয়েছে। ২০১৯ সালে যেখানে এর পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৫০০ কোটি। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার লোকসান গুনলেও তার কাছে এখনো ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলার রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর আগের সময়ের তুলনায় তিনি আরো সম্পদের মালিক হয়েছেন। যেখানে গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সার্জে ব্রিন ২০১৯ সালের হিসাবে এখনো ৩ হাজার ৫৫০ কোটি ডলারের মালিক।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী অটোমোটিভ তালিকার অন্তর্গত। অন্যদিকে মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিভাগে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বাজারে দুরবস্থা চললেও ফোর্বসের তালিকায় থাকা ৬৫ জন টেক বিলিয়নেয়ারের মধ্যে ৫৬ জনই ২০১৯ সালের তুলনায় আরো বেশি সম্পদশালী হয়েছে।

এদের মধ্যে মাইক্রোসফটের বর্তমান সিইও স্টিভ বলমার, গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সার্জে ব্রিন, টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি ও ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন রয়েছেন। ২০২১ সালে ৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার লোকসানের পরও জাকারবার্গ বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী অর্জনের মধ্যে রয়েছেন। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার, যা ২০১৯ সালের ৬ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডাস্টিন মস্কোভিটজের সম্পদও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০১৯ সালে ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলার থাকলেও ২০২২ সালে তা ৮১০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।

অন্যদিকে ভার্চুয়াল সম্মেলনের হার কমে যাওয়ায় ও অফিসে কর্মীরা ফেরত আসতে শুরু করায় জুমের প্রতিষ্ঠাতা এরিক ইউয়ানও বড় ধরনের আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে জুমের প্রতি শেয়ারের মূল্য ছিল ৫৮৮ দশমিক ৮৪ ডলার। বর্তমানে যার হার ৭৫ ডলার। তবে ভক্সের মতে, এটি দীর্ঘমেয়াদি কোনো ক্ষতি নয়। প্রযুক্তি খাতের অধিকাংশ ধনকুবের তিন বছরে তাদের সম্পদের পরিমাণ বাড়িয়েছে। ইলোন মাস্ক এদিক থেকে সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। ২০২০ সালে কোভিড-১৯-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও লকডাউন থাকা সত্ত্বেও তার মোট সম্পদের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ২৪২ শতাংশ বেড়েছে। 

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




গুজবের অভিযোগ আমলে না নিলে দেশে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

রবিবার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, 'তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব সেবা বন্ধ থাকবে। আমরা প্রথমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঠিকভাবে জানাব যে তারা (সোশ্যাল মিডিয়া) আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে এই অপরাধ এবং গুজব চালাতে দিচ্ছে এবং এগুলো প্রতিরোধে তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমে কয়েকবার বলা হবে। প্রয়োজনে আমরা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও বলব, যেন মনে না হয় যে এখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইনের বিধান হলো কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। তারা আমাদের অভিযোগের তদন্ত করছে না। আমরা এখন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে তাদের উদাসীনতা সম্পর্কে জানাব, যেন বাধা (সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ) দেওয়া হলে দায় সরকারের ওপর না পড়ে, বরং তাদের ওপরই বর্তায়।


আরও খবর



মুফতি আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর দারুস সালাম থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি মো. আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গত ২৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে চার্জশিটের বিষয়টি আজ বুধবার জানা গেছে।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান, অলিউন নবী সবুজ, মো. কাদের কিবরিয়া সাগর ও এম যুবায়ের আহমেদ।

এছাড়া মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, তাসনিমুল করিম রিজভী ও আব্দুল্লাহ আল আমিনের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মামলাটি করেন।

ধর্মীয় ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ২০২১ সালের ২৪ মে মুফতি আমির হামজাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। সংসদ ভবনে খোলা তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনায় অভিযোগে করা মামলায় আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ওই বছর ৩১ মে মুফতি আমির হামজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তিলাভ করেন।


আরও খবর



কুড়িগ্রামে ফেনসিডিল-বিদেশি মদসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের কচাকাটায় ও নাগেশ্বরীতে পৃথক দুটি মাদক বিরোধী অভিযানে ৬৬ বোতল বিদেশি মদ এবং ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪২) ও কুড়িগ্রাম সদর থানার একতা পাড়া এলাকার মাদক কারবারি মোঃ হিমন মিয়া (২২)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সোমবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কচাকাটা থানা পুলিশের একটি টিম মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে কচাকাটার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ জাহিদুল ইসলামকে ৬৬ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের শঠিবাড়ী নামক স্থানের নাগেশ্বরী থেকে কুড়িগ্রামগামী রাস্তা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকা থেকে কুড়িগ্রাম সদর থানার একতাপাড়া এলাকার মাদক কারবারি মোঃ হিমন মিয়াকে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী ও কচাকাটা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, কর্মসংস্থানের আশায় সরকারি নিয়ম মেনে দেশটিতে গিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়তে হয় অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা অসম্মানজনক অবস্থায় বাস করছেন।

এসব শ্রমিকদের ওপর যেন কোন শোষণ, অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন না করা হয় সেজন্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেখেন যে তাদের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী কর্মসংস্থান নেই। এমন অবস্থায় প্রায়শই তাদের ভিসা শেষ করতে বাধ্য করা হয়। ফলস্বরূপ এ অভিবাসীরা গ্রেফতার, আটক, দুর্ব্যবহার এবং নির্বাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অপরাধ নেটওয়ার্ক দ্বারা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের আহবান করেছে। যদি এতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।


আরও খবর



রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর চার প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীতে স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের এ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।

স্যালাইন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়া আরও দুই নারী এখনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন। এদিকে, মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মারা যাওয়া নারীদের মধ্যে দু-একজনের স্বজনদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের আগে আইভি স্যালাইন দেওয়ার পর ছয় নারীর একই রকমের শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। অপারেশনের পরে ধীরে ধীরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কমে যায় কিডনির কার্যক্ষমতা, হার্টে দেখা দেয় ব্লক। এতে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আরও দুইজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সূত্রটি মৃত নারীদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালের ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেনকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে কমিটি হয়েছে। তারা কাজ করছেন।

বেসরকারি এই হাসপাতালটির ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. সুজন আল হাসান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি ওই স্যালাইন পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটা শুনলাম, সেটাও অন্য মাধ্যমে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা সব তথ্য চেয়েছি হাসপাতাল থেকে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। হাসপাতালের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবির বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগকে ঘটনাটি না জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্যায় করেছে। এটা খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। আমাদের জানানো উচিত ছিল। আমরা জানতে পারলে আমাদের মতো করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তারা কেন আমাদের কাছে এটা লুকিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর