বল হাতে নিজের
সেরা ফর্মে আছেন তাসকিন আহমেদ। সদ্য আইপিএলে ডাক পাওয়া তাসকিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের
মাটিতেই গুড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখা তাসকিন সেঞ্চুরিয়নে
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বল হাতে আগুণ ঝরাচ্ছেন।
নিজের করা ৮ ওভারের
মধ্যে পাঁচ উইকেট শিকার করে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ধ্বস নামিয়েছেন। এই রিপোর্ট
লেখা পর্যন্ত তাসকিনের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯ ওভারে ১২৬ রান তুলতে ৮ উইকেট হারিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার
মাটিতে ইতিহাস গড়তে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। এদিন
টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়ান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
শুরুতে ব্যাটিং
করতে নেমে প্রোটিয়ান দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়
দলকে। ৬ ওভারে রান তোলে ফেলে ৪০।
এরপরে মেহেদী
মিরাজ ডি কককে ফেরালে রানের গতি কিছুটা কমে স্বাগতিকদের। ১২ রান করে ডি কক ফিরলেও একপ্রান্তে
আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মালান।
অপরপ্রান্তে তিনে
নামা কাইল ভেরেইনকে তাসকিন ফেরালে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। ওপেনার মালান ও
চারে নামা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা সাবধানী ক্রিকেট খেলতে থাকেন। বাংলাদেশী বোলাররাও
চাপে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে।
বোলারদের চাপে
শেষ পর্যন্ত ধরা দেন মালান ও বাভুমা। ওপেনার মালানকে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে মুশফিকের ক্যাচে
পরিণত করেন তাসকিন। পরের ওভারে সাকিবের বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফেরেন ২ রান করা
বাভুমা।
এর দুই ওভার পরে
ব্যাট হাতে ইনফর্ম ডুসেনকে ফেরান দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে আসা শরিফুল। ওভার দ্য উইকেট
থেকে এই বাঁহাতি পেসারের লাফিয়ে ওঠা বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪ রান করা ডুসেন।
এরপর ষষ্ঠ উইকেট
জুটিতে ২৪ রানের জুটি গড়েন প্রিটোরিয়াস ও মিলার। যার মধ্যে ২০ রানই এসেছে প্রিটোরিয়াসের
ব্যাট থেকে। ১টি করে চার ও ছয় হাঁকানো এই ব্যাটারকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন
তাসকিন।
এরপর এক ওভারে
মিলার ও রাবাদাকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন এই পেসার। মিলার ফেরেন ১৬ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে এখন পর্যন্ত তাসকিন ৮ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়াও মিরাজ ২৭ রানে, শরিফুল ২৪ এবং সাকিব ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।