ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ
গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ষষ্ঠ মাসে গড়িয়েছে। গত বছর ৭ অক্টোবর
শুরু হওয়া এমন হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও চাপ উপেক্ষা করে ঘনিষ্ট মিত্র
ইসরায়েলকে অর্থ ও অস্ত্রসহ সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন তেলআবিবের
কাছে শতাধিকবারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রয় অনুমোদন দিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলি নেতারা বেসামরিক
নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগ না নিলেও অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখে ওয়াশিংটন।
প্রতিবেদনে বলা
হয়, সাম্প্রতিক এক গোপন নথিতে মার্কিন কর্মকর্তারা কংগ্রেসের সদস্যদেরকে জানিয়েছেন,
হাজার হাজার দূরনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র, ছোট ব্যাসের বোমা, বাঙ্কার বাস্টার, ছোট অস্ত্র
ও অন্যান্য প্রাণঘাতী অস্ত্রসরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের
ওপর শত বছরের নজিরবিহীন নির্যাতন-নিপীড়ন ও আল আকসা মসজিদের অবমাননার জবাবে গত ৭ অক্টোবর
ইসরায়েলের মূল-ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র কয়েকটি গোষ্ঠী। এরপরই
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল যা পাঁচ মাসের বেশি সময় অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি সশস্ত্র
বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ৩০ হাজারের বেশি
ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ২২ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায়
৭৫ হাজার।
তেলআবিবের এই
হত্যাযজ্ঞকে এরই মধ্যে গণহত্যা অভিহিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ। গণহত্যার
অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক
বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেই শুরু থেকেই
এই গণহত্যায় জোরালো রাজনৈতিক সমর্থন এবং অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে চলেছে পশ্চিমা
বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি নিয়ে অনেক শীর্ষ
মার্কিন কর্মকর্তার গভীর উদ্বেগ সত্ত্বেও শতাধিকবার অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের মানে
হলো পাঁচ মাসব্যাপী সংঘাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েছে ওয়াশিংটনও।