ক’দিন ধরে শোবিজ ও গণমাধ্যমগুলোতে ঢালাও
করে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে- সময়ের আলোচিত চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের পারিশ্রমিক নিয়ে। যেখানে
রাজের দাবি, নতুন সিনেমার কাজ করার জন্য ৩০ লাখ টাকা চাচ্ছেন তিনি। কারণ, তার অভিনীত
পরপর ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’ আর ‘দামাল’ সিনেমাগুলো দর্শক-মহলে দারুণ প্রশংসিত
হয়েছে। আর সে কারণে তার প্রতি প্রযোজক ও নির্মাতাদের আগ্রহও বেড়েছে কয়েকগুণ।
রাজের এমন পারিশ্রমিক
নিয়ে কথা বলেছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অনেকেই। তাদের কথায়, এই পরিমাণ পারিশ্রমিক চাওয়ায়
রাজকে নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে সিনেদুনিয়ায়। এ বিষয়ে রাজ কিছুটা আড়ালে থাকলেও অবশেষে মুখ
খুললেন তিনি। জানালেন, পুরোটাই নাকি গুজব!
রাজের ভাষ্য,
‘আমি তো কোনো গণমাধ্যমে
আমার পারিশ্রমিক নিয়ে কথা বলিনি। আমার মুখ থেকে কি এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা শুনেছেন? পারিশ্রমিকটা
সবার কাছে একান্তই ব্যক্তিগত। আমার বেলায়ও তাই। আমি যে প্রযোজক-পরিচালকের সঙ্গে কাজ
করব, তাদের সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে কথা হবে- এটাই স্বাভাবিক। এটি কি বাইরে শেয়ার করার
মতো কিছু! অথচ কয়েক দিন ধরে এটি নিয়ে যাচ্ছেতাই হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন,
‘আপনিও তো চাকরি
করেন, আপনার বেতন নিয়ে যদি কেউ বারবার প্রশ্ন করা হয় তাহলে আপনি কি বিব্রতকর পরিস্থিতির
মধ্যে পরবেন না? আমার বেলাও তাই হয়েছে। সবার জানা উচিত, একটি বড় বাজেটের ছবিতে একজন
শিল্পীকে যদি দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হয়, তাহলে সে সময়টাতে কি ওই শিল্পী অন্য কোনো
কাজে অংশ নিতে পারবেন? তাহলে তার পারিশ্রমিকটা তো সে রকমই হওয়া উচিত। ধরেন একটি বড়
বাজেটের ছবিতে আমি ৩০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছি! তাহলে কি অপরাধ করেছি?’
রাজ আরও জানান,
একজন শিল্পী শুধু শুটিংই নয়, এর বাইরে অনেক কিছুই মেইনটেন করতে হয়। শিল্পীদের জীবনযাপনের
খরচেরও একটা ব্যাপার আছে। সুতরাং অভিনয়ের বাইরেও পারিশ্রমিকের বিষয়টিও শিল্পীদের কাছে
বড় একটি ব্যাপার।