অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন
১.
‘যারা গণহত্যা করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে’ ‘নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু সেই সব পশুদের’ অভিশাপ দিয়েছেন বাঙালির এক কবি। অভিশপ্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র জনগণের উপর অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। বাঙালি জাতির জীবনে এক ভয়াল এবং বিভীষিকাময় রাত্রি নেমে এসেছিল সেদিন। পূর্ব পরিকল্পিত নীল নকশা অনুযায়ী বাঙালি নিধনের এই সেনা অভিযানের সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন সার্চ লাইট’। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কজনক এবং বর্বরোচিত নিকৃষ্টতম গণহত্যা ছিল এটি।
২.
১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে অতর্কিতে গণহত্যা শুরু করে নিরীহ বেসামরিক লোকজনের উপর।তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। ঐ দিন সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা সেদিন দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা ফিরে আসে। দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে।
গভীর রাতে পাকিস্তানি সেনারা পিলখানা,রাজারবাগ,নীলক্ষেত,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা মেশিনগান, ট্যাংক, মর্টারের মাধ্যমে দখল করে নেয়। মেশিনগানের গুলি, ট্যাংক-মর্টারের গোলা আর আগুনের লেলিহান শিখায় রাতের ঢাকা হয়ে উঠে বিভীষিকাময়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের অসহায় ছাত্রীরাও পাকিস্তানি হায়েনাদের কবল থেকে রক্ষা পায়নি। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব,ড.মনিরুজ্জামান,জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা,অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞটি চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। সেনা অভিযানের শুরুতেই বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৫ মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকল বাঙালির প্রতি আহবান জানান। তাঁর এই আহবানে সাড়া দিয়ে জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াই শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন,সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
৩.
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অপারেশন সার্চ লাইট নামের যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে,সে অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করেছিল পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। এই নির্দেশনামার কোন লিখিত নথি রাখা হয়নি বলে জানা যায়। গণহত্যার পুরো নির্দেশটি মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। ২০১২ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত খাদিম হোসেন রাজার লেখা A Stranger in my own Country নামক আত্মজীবনী গ্রন্থে প্রথমবারের মত অপারেশন সার্চ লাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়। তিনি আরো লিখেছেন,‘১৭ মার্চ,সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউজে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি।গিয়ে দেখি সেখানে জেনারেল আব্দুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া কোন মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয় পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’
খাদিম হোসেন রাজার বইটিতে আরো উল্লেখ আছে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মার্চের উত্তাল আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই সামরিক হামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জেনারেল নিয়াজির লেখা The betrayal of East Pakistan বইটি পড়ে জানা যায় যে জেনারেল টিক্কা খান তাঁকে বলেছিলেন,"আমি পূর্ব পাকিস্তানের মাটি চাই,মানুষ চাই না।" বইটি পড়ে আরো জানা যায় যে টিক্কা খান পোড়া মাটি নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং সে অনুযায়ী জেনারেল রাও ফরমান আলী এবং ঢাকার ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জানজেব আরবাব হুকুম পালন করেন। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় জেনারেল রাও ফরমান আলী তাঁর টেবিল ডায়রিতে লিখে রেখেছিলেন,‘পূর্ব পাকিস্তানের সবুজ মাটি বাঙালির রক্তে লাল করা হবে।’
নিয়াজি তাঁর বইটিতে আরো লিখেছেন,"২৫ মার্চ রাতে জুলফিকার আলি ভুট্টো ঢাকায় ছিলেন এবং তিনি দেখেছেন সেদিন রাতে টিক্কা খান কী করেছেন। সারা রাত ট্যাংক,কামান,মেশিনগানের শব্দ ভেদ করে ভেসে এসেছে ঢাকার অসহায় মানুষের আর্তনাদ।" ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক নামের অন্য একজন সেনা কর্মকর্তার লেখা Witness to Surrender বইটির ৭৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সকালে শেরেবাংলানগরে অবস্থিত নিজের কমান্ড পোস্ট থেকে বাইরে এসে শহরের দিকে তাকিয়ে টিক্কা খান বিদ্রূপের হাসি হেসে বলেছিলেন,ঢাকা শহরে কয়েকটা নেড়ি কুত্তা ছাড়া মানুষজন আছে বলে তো মনে হয় না।’
৪.
যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় বরণ করার পর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি হামুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অনেক চেষ্টা করেও গণহত্যার বিষয়টি সম্পূর্ণ ধামাচাপা দিতে পারেনি। ঠাণ্ডা মাথায় গণহত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী তদন্ত কমিটির কাছে বলেছিলেন, লে.কর্নেল ইয়াকুবের নির্দেশে ১৯৭১ সালের ২৭ ও ২৮ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসে বাঙালি অফিসারসহ ১৯৫ জন নিরীহ মানুষকে জবাই করে হত্যা করা হয়। সালদা নদী তীরবর্তী এলাকায় ৫০০ জনকে হত্যা করা হয় এবং গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরগুলো শত্রুমুক্ত করার নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যাপক ধ্বংস,অগ্নিসংযোগ আর হত্যাযজ্ঞ চালায়। একজন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ইকবালুর রহমান তার জবানবন্দিতে বলেছেন,পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল গুল হাসান পূর্ব পাকিস্তানের সেনা ইউনিট পরিদর্শনের সময় সৈনিকদের জিজ্ঞাসা করতেন তুমি কয়জন বাঙালিকে হত্যা করেছ? আর একজন অফিসার লে.কর্নেল আজিজ আহমদ খানের সাক্ষ্য থেকে জানা যায় ঠাকুরগাঁওয়ে তার ইউনিটে গিয়ে জেনারেল নিয়াজি জিজ্ঞেস করতেন তোমরা কতজন হিন্দুকে হত্যা করেছ?
৫.
১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলাকালে ভয়াবহ গণহত্যার চিত্র ফুটে উঠেছে বিদেশি সাংবাদিক এবং কূটনৈতিকদের রিপোর্টেও। ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ সাংবাদিক সায়মন ড্রিংয়ের বহুল আলোচিত সেই রিপোর্টটি ছাপা হয়েছিল লন্ডনের দৈনিক পত্রিকা টেলিগ্রাফে।রিপোর্টির কিছু অংশের বাংলা অনুবাদটি ছিল এরকম ‘পাকিস্তান ও ধর্ম রক্ষার নামে ঢাকা নগরীকে ধ্বংস করে একটা ভয়ঙ্কর ভূতুরে নগরীতে পরিণত করা হয়েছে। ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে কম করে হলেও শুধু ঢাকায়ই ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ঢাকার অনেক এলাকাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।’ মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়,গ্রেফতার করা হয় আরো ৩০০০ লোককে।
ঢাকায় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল মাত্র। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘরবাড়ি,দোকানপাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হলো। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হলো। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশানভূমি।’ ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাডের লেখা ‘ক্রুয়েল বার্থ অফ বাংলাদেশ’ বইটির ২১৩ পৃষ্ঠায় পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যার বিবরণ পাওয়া যায়। এই গণহত্যার রিপোর্ট তিনি ২৮ মার্চ ওয়াশিংটনেও পাঠিয়েছিলেন। একই রকম গণহত্যার বর্ণনা পাওয়া যায় দিল্লিতে নিযুক্ত তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেন কিটিংয়ের রিপোর্টেও।
৬.
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ব মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন তো ছিলই,পরবর্তীকালেও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মিডিয়াও বাংলাদেশের গণহত্যার গবেষণালব্ধ তথ্যপ্রমাণসমূহ প্রকাশ করেছে। ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে বলা হয়-'মানব ইতিহাসে যত গণহত্যা তার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে সংখ্যার দিক থেকে সর্ববৃহৎ গণহত্যা হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে। প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ১২ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।' ঘটনার ১০ বছর পর এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল, তার মানে যথেষ্ট গবেষণা আর তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ ঘোষণাপত্রটি প্রকাশ করেছিল। যে আমেরিকা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল,সেই আমেরিকার এনসাক্লোপিডিয়া আমেরিকায় উল্লেখ আছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়। বইটির প্রচ্ছদেই উল্লেখ আছে- ১৯১৫ সালে আর্মেনিয়ায় গণহত্যার শিকার হয় ৮ লাখ মানুষ,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৬০ লাখ ইহুদি এবং ৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার শিকার হয় ৩০ লাখ মানুষ।
১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পত্রিকা 'প্রাভদা'য় প্রকাশিত হয় 'গত ৯ মাসে বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।' লন্ডনের 'মর্নিং নিউজ' প্রকাশ করে-গত ৯ মাসে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে।' ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যে এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল এ কথা আজ সর্বজন স্বীকৃত। মাত্র ৮ মাস ২২ দিনে ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। রেকর্ডকৃত তথ্যমতে মানবসভ্যতার ইতিহাসে এত অল্প সময়ে এত বড় ভয়াবহ গণহত্যা বিশ্বের আর কোথাও ঘটেনি। প্রাচীন যুগ থেকে অত্যাধুনিক কাল পর্যন্ত বিশ্বের নানা দেশেই বিভিন্ন রকমের গণহত্যা হয়েছে,বেশিরভাগই হয়েছে গোপনীয় বা বিশেষ বাহিনী দ্বারা। ব্যতিক্রম ঘটেছে শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র,নিরীহ মানুষের উপর সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে। পাকিস্তানিদের আক্রমণের পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ থেকে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয় যে পাকিস্তানই আগ্রাসী পক্ষ এবং প্রথম আক্রমণকারী দেশ। জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী পাকিস্তান কোনভাবেই গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার দিবসটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দিবসটিকে খুব শীঘ্র গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করবে বলে আমরা গভীরভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
লেখক: অধ্যক্ষ ভাসানটেক সরকারী কলেজ, ঢাকা