আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৯৫১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৯২২ জন। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৯২ লাখ।

আজ শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও তাইওয়ান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৯২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯৩ জন এবং মারা গেছেন ১২৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ২০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭২ হাজার ৫১ জন মারা গেছেন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৬১৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৯৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৪ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৭১ জন এবং মারা গেছেন ১১৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৫১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৪৫ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন।


আরও খবর



কোনো দুর্নীতি না করার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের অবস্থান সব সময় সেন্টারে থাকবে, প্লাস-মাইনাস হবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

তিনি বলেছেন, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করবো না। ভুল হলে আপনারা শুধরে দেবেন। আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নূরুল হক বলেন, আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রতিটি মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা খাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, এতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।

কারও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে, তারাই আমার লোক।

এসময় সাবেক উপাচার্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান উপাচার্য শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সঙ্গে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাই।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা আমি নিশ্চিত করবো। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. টিটো বলেন, তিন বছরের দুর্নীতির তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করার সাহস না করেন।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চায় ইউনেসকো কমিশন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইউনেসকোর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ও মিথ্যাচার করায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন।

বুধবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের এমন অবস্থানের কথা জানানো হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রি অব পিস প্রদান: বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের বক্তব্য’ শীর্ষক এ বিবৃতিতে সই করেছেন কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবপেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেসকো কর্তৃক ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

ইউনূস সেন্টার প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু ইউনেসকো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেসকো সদরদপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১১তম বাকু ফোরাম যেখানে এ সম্মাননা দেওয়ার সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেখানে ইউনেসকোর কোনো অফিসিয়াল প্রতিনিধিত্বই ছিল না। অধিকন্তু ইউনূস সেন্টারের দাবি করা সম্মাননা ইউনেসকোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয়। ড. ইউনূসকে ট্রি অব পিস’ নামক একটি ভাস্কর্য স্মারক/সম্মাননা প্রদান করেন ইসরায়েলি ভাস্কর্যশিল্পী মিস হেদভা সের। হেদভা নিজে নিশ্চিত করেছেন যে, ড. ইউনূসকে ট্রি অব পিস’ প্রদানে ইউনেসকোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

নিজামি গজনবী ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টারের আমন্ত্রণে ইসরায়েলি ভাস্কর্যশিল্পী মিস হেদভা সের ড. ইউনুসকে এটি প্রদান করেন। মিস হেদভা সের ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক কূটনীতিবিষয়ক গুইউইল অ্যাম্বাসেডর। কিন্তু ইউনেসকোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি নন এবং ইউনেসকোর কোনো পুরস্কার/সম্মাননা দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। সুতরাং উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন ড. ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টারের পাঠানো এবং প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতারণামূলক বলে মনে করে তার নিন্দা জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ ইউনেসকোর অন্যতম সক্রিয় সদস্যরাষ্ট্র। ভবিষ্যতে ইউনেসকোর মতো জাতিসংঘের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং সুখ্যাতিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহারের বিষয়ে ড. ইউনূস এবং ইউনুস সেন্টারকে সতর্ক করা হলো। একই সঙ্গে বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে।

বিবৃতিতে একেবারে নিচের অংশে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের আদালত ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। ড. ইউনুস এবং তার সহযোগীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন, যেটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া আয়কর আইন লঙ্ঘনের জন্য তার ব্যক্তিগত আয়কর দাবি আদালতে বিচারাধীন। সুতরাং তিনি যতদিন আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণ না হন ততোদিন তাকে কোনো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার বা সম্মাননা প্রদান সমীচীন নয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে ইউনেসকোর সঙ্গে কার্যক্রমের জন্য সরকারের ফোকাল পয়েন্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, কেউ যেন ইউনেসকোর নামের অপব্যবহার বা অপপ্রয়োগ না করতে পারে—সেটি নিশ্চিত করা। সে হিসেবে ইউনেসকোর নাম অপব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেসকো ঢাকা অফিস এবং ইউনেসকোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনেসকো সদরদপ্তরকে অবহিত করা হবে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পাপারাজ্জিদের ওপর চটে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নোরা ফাতেহির

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিমানবন্দর, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে সেলেবরা যেখানেই যাবেন, সেখানেই হাজির হন পাপারাজ্জিরা। অন্যদিকে তারকাদের এক্সক্লুসিব ছবি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন ছবি শিকারিরা। সম্প্রতি পাপারাজ্জিদের ওপর চটলেন বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম গার্ল নোরা ফাতেহি। এক সাক্ষাৎকারে নোরা জানালেন, মাঝে মধ্যেই ছবি শিকারিরা শরীরের নানা অংশে ক্যামেরা জুম করেন! শুধু তাই নয়, আজব প্রশ্নও নাকি করেন পাপারাজ্জিরা!

নোরা বললেন, মনে হয় আমার মতো নিতম্ব কখনও দেখেনি ওরা। সব সময় এমন হয়। শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, অন্য অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। হয়তো তাদের নিতম্ব নির্দিষ্ট করে ক্যামেরায় দেখানো হয় না, কারণ তাদের নিতম্ব খুব একটা উত্তেজনামূলক নয়। তবে অপ্রয়োজনীয় ভাবে তাদের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্যামেরার নজরে আসে। আমার মনে হয়, এটা ক্যামেরায় নির্দিষ্ট করে দেখানোর মতো কিছু নয়। কোন দিকে নজর তাদের?

নোরা ফাতেহি জানান, সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড ধরে রাখার জন্য এই সব করা হয়। শরীরের কারণে বার বার শিরোনামে এসেছেন। তবে নিজের শরীর নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই নোরার। আমার শরীর সুন্দর এবং আমার সম্পদ নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। আমি কখনোই আমার শরীর নিয়ে লজ্জিত নই।

ছবি শিকারিদের এই প্রবণতা হয়তো ভুল কিন্তু সেটা আলাদাভাবে আলোচনার বিষয়। আমি এক একজনকে ধরে ধরে ঠিক ভুলের শিক্ষা দিতে পারব না বললেন অভিনেত্রী।

নোরার মতে, বলিউডে তার সফর নিয়ে মানুষ বাহবা দেন। বিশেষত যাদের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান ও সহযোগিতা পেয়েছেন। কাজ নিয়ে কখনও আপস করেন না অভিনেত্রী।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ঈদযাত্রায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন প্রসূতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের মধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। পরে মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রসূতি স্বর্ণা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি তার পরিবারসহ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে কোনো চিকিৎসক আছেন কি না জানতে চেয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা শুনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আক্তার দ্রুত নম্বর বগিতে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরে তার সহযোগিতায় ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি।

এ বিষয়ে ডা. নাজনীন আক্তার জানান, তিনি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। মাইকিং শুনে বগিতে ছুটে যান। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।

জন্ম প্রসবে কোনো সমস্যা হয়নি, তাই বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

এ প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন।


আরও খবর