আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৩৫৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ০৩ শতাংশে।

বুধবার ২ হাজার ৯১৬ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এদিন করোনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়।  বুধবার শনাক্তের হার ছিল  ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




দাবদাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের কয়েকটি জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অর্ধশত জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। চলমান এই গরম চলতি মাসে কমার সম্ভবনা নেই বলে বলে জানিয়ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে দাবদাহে প্রতিদিনই 'হিট স্ট্রোকে' মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

এ অবস্থায় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান ৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

দূষিত শহরের তালিকায় ৪০১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ, ১৯৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ’ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।


আরও খবর



ওমরাহ পালনে সৌদি গেলেন সাকিব

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে গেছেন। যে কারণে ডিপিএলে শেখ জামালের পক্ষে এই অলরাউন্ডারকে মাঠে দেখা যায়নি।

জানা যায়, ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ এপ্রিল (সোমবার) দেশে ফেরার কথা রয়েছে সাকিবের।

এদিকে জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে ফেরার আগে ডিপিএলে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। টেস্ট শেষে আবারও ডিপিএলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।

তবে ওমরাহ পালনের কারণে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে দেখা যায়নি সাকিবকে। তবে ঈদের ছুটির পর আবারও ডিপিএলে দেখা যেতে পারে তাকে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ফের শুরু হবে ডিপিএল।


আরও খবর



অন্যকে বাঁচাতে জীবন দেওয়া নাজিউল ছিলেন মায়ের একমাত্র সন্তান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

অপরিচিত এক নারীকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দেওয়া সেই কলেজছাত্র তার মায়ের একমাত্র ভরসা ছিলেন। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যাওয়া যুবকের নাম জোবায়ের রহমান নাজিউল (১৮)।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা শহরর মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে সন্তানসহ দাঁড়িয়ে থাকা গৃহবধূ রাজিয়া বেগমেকে বাঁচাতে গিয়ে নাজিউলের মৃত্যু হয়।

জোবায়ের রহমান নাজিউল গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার ভরখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও জেবা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা-মা। জোবায়ের রহমান নাজিউলের এমন ত্যাগে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকে কাতর হয়ে পড়ছেন।

নাজিউলের মা জেবা বেগম অচেনা মানুষ দেখেই চিৎকার করে আহজারী করছেন। আর বলছেন, আমার কলিজার টুকরাকে এনে দাও। আমার ধনকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম। আমার একমাত্র ভরসা ছিল আমার ছেলে। ভালো করে লেখাপড়া করবে, সেজন্য শহরে ভালো স্কুলে ভর্তি করালাম। মাসে মাসে এখন আমি কার কাছে টাকা পাঠাব। এখন আমি কাকে নিয়ে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের এই ত্যাগে মৃত রাজিয়া বেগমের কোলে থাকা শিশুটি বেঁচে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে অনেকেই এই তাকে মানবিক কিশোর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত গৃহবধূ রাজিয়া বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন মাদকাসক্ত ও কর্মহীন। মোবাইল ফোনে প্রেম করে সুনামগঞ্জের রাজিয়াকে বিয়ে করে আনোয়ার। পেশা হিসেবে আনোয়ার হোসেন অন্যের রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। আবার কিছু সময় দিনমজুরের কাজ করেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে কাজ না করে আনোয়ার হোসেন প্রায়ই বাড়িতে বসে থাকতেন। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। শিশু সন্তানের খাবার ঠিকমতো দিতে পারত না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। 

ঘটনার আগের রাতে স্বামীকে কাজ করতে বলায় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সোমবার রাজিয়া বেগম সকালে তার শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারা যান। ওই গৃহবধূর কোলে থাকা ওই শিশু আবির হোসেনসহ তিনজনকে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত গৃহবধূ ও কলেজছাত্র জোবায়েরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওযার পথে তারা মারা যান। তবে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে আহত দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন বর্তমানে শঙ্কা মুক্ত রয়েছে। পরিবারের লোকজন তার দেখভাল করছেন।

স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত রাজিয়া শিশু সন্তানের গায়ে হাত তুলত। এ নিয়ে ঘটনার আগের রাতে তাকে গালিগালাজ করি। এরপর রাতেই আমার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সকালে আমি কাজে যাই। পরে সাড়ে ১১টার দিকে শুনতে পাই আমার স্ত্রী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছে। আমি এই ছোট শিশুকে নিয়ে তার মা ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের সহপাঠী জিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, জোবায়ের রহমান নাজিউল নিজের জীবন দিয়ে যে কাজটি করেছে তা ভোলার মতো না। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তার স্বপ্ন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন। কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তবুও তরতাজা জীবন দুটো বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিতে হলো।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এ এস এম রুহুল আমিন জানান, দেড় বছরে শিশু আবির হোসেন মাথায় ও পেটে কিছুটা আঘাত পেয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় শিশু আবির হোসেন শঙ্কামুক্ত রয়েছে।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় সদর খানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর গৃহবধূর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪