আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২০৪৬ সালে পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুর সংঘর্ষের আশঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সম্প্রতি মহাকাশে একটি গ্রহাণুর আবিষ্কার হয়েছে। এটির আকার অলিম্পিক গেমের একটি সুইমিংপুলের সমান। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৩ বছরের মধ্যে, সম্ভাব্য ২০৪৬ সালের ভালোবাসা দিবসে পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুটির সংঘর্ষ হতে পারে।

নাসার প্ল্যানেটরি প্রতিরক্ষা সমন্বয় অফিস এই তথ্য জানিয়েছে। গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ ডিডব্লিউ। নাসার ঝুকিপূর্ণ বস্তুর তালিকায় থাকা গ্রহাণুটি টরিনো ইমপ্যাক্ট হাজার্ড স্কেলে ১০ এর মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে। অন্যান্য বস্তুর র‌্যাংকিং ১০ এর মধ্যে শূন্য।

জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি অনুসারে, যদিও ২০২৩ ডিডব্লিউ তালিকার শীর্ষে রয়েছে, তবে র‌্যাঙ্কিংয়ে ১ এর অর্থ হলো পৃথবীর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। র‌্যাংকিংয়ে শূন্য মানে হলো সংঘর্ষের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির নেভিগেশন ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড ফার্নোচিয়া বলেছেন, এই বস্তুটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক নয়।

নাসার কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছে, আঘাতের সম্ভাবনা নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। তাছাড়া গ্রহাণুটিকে আরও পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার পূর্বাভাসমূলক তথ্য অনুযায়ী, গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ৬২৫টির মধ্যে ১টি। অন্যদিকে নাসার হিসাব অনুযায়ী, আঘাত হানার সম্ভাবনা ৫৬০টির মধ্যে ১।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের একপেশে ভূমিকার জন্য এর আগেও জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিদ্যমান পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। বিএনপি ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারে হামলা এবং শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

এর আগে সোমবার দুপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে একই মনোভাবেব কথা জানিয়েছিলেন রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত (অংশগ্রহণ না করা) বহাল আছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা আমরা আগেই পরিষ্কার করেছি। সবকিছু আমরা বলেছি। ওই সিদ্ধান্তটাই এখনো বহাল আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ওটা তো নাকচ হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।


আরও খবর



বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে : মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ৬৯ নম্বরস্থ বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেখেছি যে, প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত এবং কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। আমাদের নিয়মিত গাড়ি চালক ছিল না। যানবাহনগুলো সবই প্রায় পুরনো ও লক্কর-ঝক্কর ছিল। ফলে সংগ্রহ ও সরবরাহ ব্যবস্থা খুবই নাজুক অবস্থায় ছিল। ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতো। কিন্তু সেখান থেকে আমরা অনেকটা উত্তরণ ঘটিয়েছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২৫টি ডাম্প ট্র্যাক কিনেছি। নতুন প্রায় ১০০ জন নিয়মিত ভারী গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। আগে যাকে তাকে দিয়েই গাড়ি চালানো হতো। সেটা এখন নেই বললেই চলে। আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সংস্কার করেছি। এখন আর রাস্তায় উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এভাবেই আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করছি, শৃঙ্খলায় নিয়ে আসছি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ধাপে ধাপে উন্নতি করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, একটি শহর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে সেই শহরের নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ততই বৃদ্ধি পাবে। আগে ঢাকা শহরে নালা-নর্দমা, হাঁটার পথসহ যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে থাকত। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই একটি করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এসব কাজ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হলো জায়গার সংকুলান। আমরা এ পর্যন্ত ৬৪টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করতে পেরেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটি নিয়ে চল্লিশতম বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। আগে আমাদের মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিলো। অল্প সময়ের মধ্যে ৪০টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমে আমরা আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আর মাত্র ১১টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করলেই পুরো ঢাকা শহর আমাদের এই কার্যক্রমে আওতায় চলে আসবে। সুতরাং আগে আমরা দেখতাম যে, ১০০ ভাগ বর্জ্য রাস্তার উপরে উপচে পড়ত। নোংরা ময়লা মাড়িয়ে মানুষ মসজিদে যেতে পারত না। সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা ধাপে ধাপে উন্নতি করছি। বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ বর্জ্য আমরা সংগ্রহ করতে পারছি। ইনশাল্লাহ, অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বাকি ২০ ভাগও শেষ করতে পারব এবং উপচে পড়া বর্জ্যের জঞ্জাল থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতে পারব।

এ সময় এডিস মশার প্রকোপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবার যে সকল এলাকায় দশ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে সেসকল এলাকায় আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা থানা, আবাসন, প্রাথমিক-উচ্চ ও মহাবিদ্যালয়ে যৌথভাবে অভিযান করেছি। এর মাধ্যমে সচেতনতা যেমন বেড়েছে তেমনি জনগণের সম্পৃক্ততাও বেড়েছে। কিন্তু তারা যদি দায়িত্বশীল হয়ে কোথাও পানি জমতে না দেয়, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখে তাহলেই আমরা এডিস মশার প্রকোপ হতে ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে পারব। আমরা ১০০ ভাগ সফল হতে পারব। না, হলে আমাদের এই প্রতিবন্ধকতা রয়েই যাবে।

পরে ঢাদসিক মেয়র কোনাপাড়া থেকে গলাকাটা সেতু সংলগ্ন খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬৯ নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহমেদ, ৬৪ নং ওয়ার্ডের মো. মাসুদর রহমান মোল্লা, ৬৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মতিন সাউদ ও সংরক্ষিত আসনের মাহফুজা আক্তার হিমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েটের রাজনৈতিক কাঠামো বুয়েট ঠিক করবে, তবে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। রোববার (৩১ মার্চ) বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে শহিদ মিনারে ছাত্রলীগের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে। কোন ক্যাম্পাসে যাওয়াটা মৌলিক অধিকার। অনুমতি নেয়ার দরকার নেই। কোথাও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নিয়ম নেই। থাকলেও তা সংবিধান বিরোধী। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। ছাত্র সংসদ নিবাচন দিতে হবে। বুয়েটে ইতিয়াজ রাব্বির সিট ফিরিয়ে দিতে হবে।

রোববার সকাল ১১ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বেলা ১২ টায়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালো ছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে এবং বুয়েট কর্তৃক গৃহীত সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার পরিপন্থী শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।

এ সময় নেতাকর্মীদের মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, শিবিরের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, জায়ামাত-শিবির-রাজাকার, তাড়াতাড়ি বাংলা ছাড়, শিবিরে আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।


আরও খবর



ইসরায়েলের সাত শতাধিক এলাকায় বাজছে বিমান হামলার সাইরেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। হামলার পর পর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে। খবর আলজাজিরার।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান।

ইরানের হামলার পরপর ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ভেতর ব্যাপক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইরানি হামলায় সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।


আরও খবর



দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে ৭ দিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ঈদের আগের তিন দিন ও ঈদের পরের তিন দিন মোট সাত দিন এই নৌরুটে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও ঘাট এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের সভায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রুটে ফেরি, লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত এবং ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এ সভা হয়। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় এই সাত দিন জরুরি ও পচনশীল পণ্য ছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে অন্য ট্রাক পারাপার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও নৌপথটিতে দুর্ঘটনা এড়াতে ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন নদীপথে মালবাহী নৌযান, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলও বন্ধ থাকবে বলে জানা যায়।

কথা হয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় যানবাহন পারাপারে থাকবে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি।


আরও খবর