আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

২০২৩ সালে তীব্র তাপপ্রবাহে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু: গবেষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২৩ সালে ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিবেশে কার্বন নির্গমন বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের একটি সমীক্ষা বলছে, গত বছর ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর এবং ইউরোপের দ্বিতীয়-উষ্ণতম বছর। এই সময়ে তীব্র তাপের কারণে ইউরোপে ৪৭ হাজার ৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ন্যাচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ইউরোপের ৩৫টি দেশের তাপমাত্রা এবং মৃত্যুর রেকর্ড নেওয়া হয়েছে।

গবেষকরা জোর দিয়ে বলেছেন যে, বয়স্ক ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলো তাপপ্রবাহের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

গত বছরের মধ্য জুলাই এবং আগস্টের দিকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে গ্রিসে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। সিসিলিতে গত ১৮ জুলাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১১ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।

ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, এখানে যে মৃত্যুর সংখ্যা বলা হয়েছে তা অনুমান নির্ভর। সেখানে আরও জানানো হয়েছে যে, তারা ৯৫ ভাগ আত্মবিশ্বাসী যে, মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ৮৫৩ এবং ৬৬ হাজার ৫২৫ এর মধ্যে।

তবে তারা আরও বলছে যে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার যদি গ্রীষ্মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিতো তাহলে মৃত্যুর হার আরও বেশি হতো।

গবেষকরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গ্রীষ্মকালে জীবন বাঁচাতে ঐতিহাসিক এবং চলমান অভিযোজনের যে গুরুত্ব তা আমাদের গবেষণার ফলাফলে তুলে ধরা হয়েছে।

সামনের গ্রীষ্মে মৃত্যুর ঝুঁকি আরও কমানোর জন্য আরও কার্যকর কৌশল জরুরি বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় আরও সক্রিয় পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

জাতিসংঘ বলছে, ইউরোপের তাপমাত্রা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন তাপপ্রবাহের মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোকে আরও দীর্ঘ এবং আরও তীব্র করে তুলছে।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




দেশে ১৪ হাজার নতুন রোহিঙ্গা, অপেক্ষায় আরও ৭০ হাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের কারণে গত ৮-৯ দিনে প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা কমপক্ষে ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে, যার মধ্যে মংডু এলাকা থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেশি।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারে, তবে এই দফায় আরও ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে।

৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন যে, নতুন করে ৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেছেন, এটা কীভাবে ঠেকানো যায়, সেটা আমাদের চেষ্টা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নীতিগতভাবে আমরা নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেব না, যদিও এটা বলাটা আমাদের জন্য কষ্টকর, কিন্তু আমাদের সাধ্যের বাইরে, আমরা তাদের আশ্রয় দিতে পারব না।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গত ৮-৯ দিনে ১৩-১৪ হাজার নতুন রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। মংডু সীমান্তে আরও ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষা করছে। নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কড়া নজরদারির মধ্যেও নানা কৌশলে তারা বাংলাদেশে ঢুকছে। কিছু দালাল তাদের অর্থ নিয়ে ঢুকতে সাহায্য করছে।

উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা ইউনুস আরমান বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি রাখাইন রাজ্যের মংডুতে যুদ্ধ তীব্র হচ্ছে। মংডু টাউনে থাকা সেনা ও বিজিপির দুটি ব্যারাক দখলের জন্য মরিয়া আরাকান আর্মি। গোলাগুলি ও মর্টার শেল, গ্রেনেড-বোমা ব্যবহার করা হচ্ছে, মাঝে মাঝে ড্রোন হামলাও চলছে।

রোহিঙ্গাদের ৯ নাম্বার ক্যাম্পের এক নাম্বার ব্লকের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেছেন, প্রতিদিন নতুন রোহিঙ্গারা আসছেন। তারা নাফ নদী ও অন্যান্য সীমান্ত থেকে আসছেন। স্থানীয় কিছু লোক তাদের বাংলাদেশে প্রবেশে সহায়তা করছে। সবাই ক্যাম্পে আসছে না, ক্যাম্পের বাইরেও তারা অবস্থান করছে।

তিনি আরও বলেন, মংডুতে চলমান তীব্র সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গারা সেখানে টিকতে পারছেন না। তারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

টেকনাফের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল বাসার বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কয়েকদিন সীমান্ত দিয়ে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। এখনও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। দালালরা তাদের ঢুকতে সহায়তা করছে। তারা প্রথমে কক্সবাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে, পরে আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নতুন রোহিঙ্গা প্রবেশের কারণে আমরা আতঙ্কিত। আমরা ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছি, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

কক্সবাজারে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, প্রতিদিন ক্যাম্পে নতুন রোহিঙ্গারা আসছে। এটা স্পষ্ট যে, সীমান্ত থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা ঢুকছে। তবে আমরা এখনও তাদের কোনো তালিকা তৈরি শুরু করিনি। সরকার থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল হক বলেন, যদি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো না যায়, তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পে মাদক, অস্ত্র ব্যবসা ও নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখনই এই সমস্যা সমাধানের সময়। সরকারের উচিত কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা। আমরা নতুন রোহিঙ্গা নিতে পারব না।

আরেক সাবেক কূটনীতিক ও কসোভোতে সাবেক ইউএন আঞ্চলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে আশা করি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা ইস্যুটি শক্তভাবে তুলে ধরবেন। তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। আশা করি, তার প্রচেষ্টায় কাজ হবে।

তিনি আরও বলেন, এখনই সময় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে এই সমস্যা সমাধানের। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবসনই একমাত্র সমাধান। প্রয়োজনে আমাদের আরাকান আর্মির সাথে ভিন্ন চ্যানেলে কথা বলতে হবে।

আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাথে দৃশ্যমান শক্তি দেখাতে হবে। একটি দেশে সীমান্তের ওপার তো নন-স্টেট অ্যাক্টরদের দখলে থাকতে পারে না বলেন মো. শহীদুল হক।


আরও খবর



৪ উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন, ৮ জনের পুনর্বণ্টন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরও চার উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। ইতোমধ্যে নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়াসহ পুরোনোদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন ও পুনর্বণ্টন করা হয়।

নতুন চার উপদেষ্টার কে কোন দায়িত্ব পেলেন?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন চার উপদেষ্টাকে একাধিক মন্ত্রণালয় ও কার্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, লে. জেনারেল জাহাংগীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় এবং আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

৮ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন

সালেহ উদ্দিন আহমেদকে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খানকে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান; ফারুক-ই-আজম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ব্রি. জেনা. (অব.) এমন সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে তিন দফায় শপথ গ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।

পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর বিলুপ্ত করা হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।


আরও খবর



বেলাবতে সীমাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট জনজীবন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

বেলাব উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ঘন ঘন লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কোনরকম কারণ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে বেলাব উপজেলার ৮ ইউনিয়নে। এছাড়া সামান্য বাতাস বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা দিলে বিদ্যুৎ চলে যায় দীর্ঘসময়ের জন্য। দিনরাতে এ এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা।

সর্বশেষ সোমবার সকাল থেকে সারাদিন দেখা দেয় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট। শুধু গতকাল সোমবারই নয় এ এলাকায় বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং কিংবা বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখন হয়ে পড়েছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। বিদ্যুৎ এর লাগামহীন লোডশেডিং এর কারন জানতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অফিসে গ্রাহকরা ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ঝুঁকে পড়ছে আশির দশকের হাতপাঁখা আর মোমবাতি ও কুপির দিকে। এলাকাবাসির অভিযোগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের স্বীকার হচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ গত আগষ্ট মাসে পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর আওতায় বেলাব উপজেলার সকল গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল রহস্যজনক কারণে বেশি এসেছে। প্রতি বিলেই বিগত মাসের তুলনায় ৫শ থেকে এক হাজার অনেক ক্ষেত্রে এর উপরে পর্যন্ত বিল বেশি আসছে।

গ্রাহকরা জানান, গত মাসেও বিদ্যুৎ এর ভয়াবহ লোডশেডিং ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলেও অতিরিক্ত বিল আসায় গ্রাহকদের ধারনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরি করা রিডিং প্রস্তুতকারী ব্যক্তিরা বাসায় বসে অনুমানের উপর ইউনিট লেখার কারণেই এসেছে এই ভূতুরে বিল। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন ইউনিট অনুযায়ীই বিল এসেছে। তবে যদি কোথাও কোন বিলে ভুল অংক এসে থাকে তাহলে সেটা অফিসে আসলে আমরা দেখেশুনে ঠিক করে দিব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মরজাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন বেলাব উপজেলার ৮ ইউনিয়নে মরজাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও শিবপুর শাখা হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে মরজাল এলাকা ও বেলাব উপজেলার বেশ কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২।

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাব এরিয়ার এক অংশে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। এই ৩৪ হাজার গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন ৩২ মেঘাওয়াট। কিন্তু তারা পায় ১০ থেকে ১১ মেঘওয়াট। ঘাটতি থাকে প্রায় ২৩ মেঘাওয়াট। এই ২৩ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ এর ঘাটতির কারনেই সৃষ্টি হয় ঘন ঘন লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

এদিকে গ্রাহকদের একটি অংশ মনে করছেন বেলাবতে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের লাইন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহক সেবায় উদাসীনতা,কর্তব্য অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনেই এ এলাকায় দফায় দফায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়।

বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বেলাব বাজারের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, দিনরাতে ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে কিনা সন্দেহ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অব্যবস্থাপনা,বিদ্যুৎ চুরি ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের গাফিলতির কারনেই বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং হচ্ছে  বলে তিনি মনে করেন।

আমলাব বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রতন মিয়া বলেন, গতমাসে বিদ্যুৎ লোডশেডিং ছিল অনেক। এ মাসেও  বিদ্যুতের সার্ভিস ভালনা। তবে গতমাসে হঠাৎ করেই আমার বিদ্যুৎ বিল আসে তিনশ টাকা বেশি। লোডশেডিং কারনে এমনিতেই বিদ্যুৎ ব্যবহার কম হয়েছে। তাহলে তিনশ টাকা বিল বেশি আসবে কেন?

বেলাব প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, দিন-রাতে কয়েক দফায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে মানুষের জীবন প্রায় বিপর্যস্ত। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাচ্চারাও লেখাপড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। জুটমিল ফিডমিলসহ বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বেলাব সাব অফিসের এজিএম এনামুল হক বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ এর এ সমস্যাটি থাকবেনা। খুব শ্রীঘ্রই আমরা এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ হবো। তবে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং কেন হচ্ছে সেটা একমাত্র কারিগরি বিভাগই বলতে পারবে।

তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কারিগরি বিভাগের ডিপুটি জেনারেল ম্যানাজার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়ার পর তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



ভারতের বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রাবি) শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা রাবির মেইনগেইটে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি চালান।

এসময় সেখানে 'তুমি কে আমি কে, আবরার আবরার' 'ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান', 'আমার দেশ ডুবলো কেন, সরকারের কাছে জবাব চাই', 'পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়তে হবে ভারত ভক্তি', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা' স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে আন্তর্জাতিক নদীগুলো আছে তার পানিগুলোর ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। ইতোপূর্বে ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে ভারতের যে অন্যান্য ও গোপন চুক্তিগুলো হয়েছিল তা দ্রুত বাতিল করতে হবে এবং বাংলাদেশের সাথে আলোচনা না করে কোনো বাঁধ খুলে দেওয়া যাবে না।

আরবি বিভাগের শিক্ষক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ বলেন, ভারতের সাথে প্রতিবেশি কোনো রাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক নেই। উগ্র, ফ্যাসিস্ট, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সেখানে শাসন করছে। তারা যেভাবে আমাদেরকে শোষণ করেছে তার অন্যতম একটি হলো নদীর পানি শোষণ।

তিনি আরো বলেন, 'আজকে এখানে তরুণ প্রজন্ম দেশ প্রেমের চেতনায় জেগে উঠেছে। কতটা দূরদর্শী ছিল আবরার ফাহাদ। এই ভারত নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় তাকে ফ্যাসিস্টদের দোসররা মেরে ফেলে। সন্ত্রাসীরা দেশের প্রতিটা জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে ক্যান্টনমেন্ট বানিয়ে ফেলেছিল। তারা শিক্ষার্থীদেরকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে দেয়নি। রাজনৈতিকভাবে ভারত বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তারা এখন পানি নিয়ে খেলা শুরু করেছে।'

প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটা অত্যন্ত দূর্বল পররাষ্ট্রনীতি এবং একই সাথে এই রাষ্ট্রকে ভারতের অলিখিত কলোনিতে পরিণত করেছিল। এই কাজটি তারা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার সাথে কোন আধিপত্যবাদ চলে না। কোন জাতি কখনো আধিপত্যকে মেনে নেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় হাজারাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ থেকে সরে গেল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো। বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

ক্রিকবাজ জানায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এক বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন আয়োজক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। আগামী ৩-২০ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আইসিসির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ক্রিকবাজ। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।

এর আগে, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হলেও ১৯ আগষ্ট অস্ট্রেলিয়া নারী দলের অ্যালিসা হিলি জানিয়েছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা ও সিলেটে বিশ্বকাপ আয়োজন করা ভুল হবে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের এমন মন্তব্যের পরদিন জানা যায়, বাংলাদেশ নয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

২০ ওভারের বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের বোর্ড পরিচালক ও কর্মকর্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরানোর প্রস্তাব দেয়া হলে সেটাতে সম্মতি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ হলেও আয়োজক স্বত্ব থাকবে বাংলাদেশের হাতেই। এমনটা জানিয়েছে ক্রিকবাজ।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪